ঢাকা, শনিবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জুন ২০২৪, ২১ জিলহজ ১৪৪৫

মুক্তমত

অমর্ত্য সেনের সাত ইচ্ছার কয়টি পূরণ হচ্ছে?

. | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৫ ঘণ্টা, মে ৩, ২০১৪
অমর্ত্য সেনের সাত ইচ্ছার কয়টি পূরণ হচ্ছে? অমর্ত্য সেন

দুনিয়াখ্যাত মানুষ খুব অল্প নেই ভারতে। কিন্তু একশ বিশ কোটি মানুষের দেশটিতে খুব অল্পই আছে যারা খ্যাতি আর মর্যাদার পাল্লায় কাছাকাছি হতে পেরেছে এই মানুষটির।

অর্থনীতির নোবেল জয় করেছেন ১৯৯৮ সালে। অর্থনীতি, উন্নয়ন, জাতিগত সংঘাত আর ন্যায়বিচার নিয়ে রচনা করেছেন অসংখ্য গ্রন্থ। কাজের খাতিরে বহু দশক ধরে বাস করে আসছেন পশ্চিমা বিশ্বে। যদিও মনেপ্রাণে ভারতীয় পরিচিতি ছাড়েননি কখনও। জীবন্ত এ কিংবদন্তি সম্প্রতি এক সাক্ষা‍ৎকারে মন খুলে কথা বলেছেন ‘মনডিলাল নিউজ’-এর সঙ্গে, বাদ-বিসম্বাদে আমুণ্ডু জড়িয়ে থাকা ভারতে গত ৭ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া বিশ্বের বৃহত্তম নির্বাচন নিয়ে। ‘মনডিলাল নিউজ’-এর সাক্ষা‍ৎকারটি নেন জি গরিস, বাংলায় অনুবাদ করেছেন মিলটন মোললা। দুই কিস্তির প্রথমটি ছাপা হলো আজ

কিস্তি এক

আমি যখন মনে মনে ভাবছি লোকটি চা না কফি খেতে বেশি পছন্দ করবেন, তখন তিনি বলতে শুরু করলেন ইউরোপে কত অল্প মানুষই না কফির মধ্যে দুধ পছন্দ করেন। এমনকী এও জানালেন, চায়ের সঙ্গে দুধ মিলিয়ে খাওয়াটা নাকি নিতান্তই ইংরেজ অভ্যাস। তার গল্প শুনে জানা গেল, নবম শতকের দিকে এক ভারতীয় পর্যটক তিব্বত বেড়াতে গিয়ে সেখান থেকে শিখে আসেন কীভাবে চায়ের সঙ্গে দুধ মিশিয়ে খেতে হয়। যদিও চায়ের চাইতে কফির প্রতিই তার আকর্ষণ বেশি এখনও।

আজ থেকে প্রায় আশি বছর আগে শান্তিনিকেতনের ক্যাম্পাসে জন্ম তার। বাবা ছিলেন সেখানকার সংস্কৃত বিষয়ের শিক্ষক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রবল উদ্যমে চেষ্টা করে যাচ্ছেন শিক্ষা বিষয়ক তার নিজস্ব ধারণাগুলো বাস্তব রূপ দানের। ‘ভারতীয় উন্নয়নের বিবর্তন পর্যবেক্ষণের জন্য শান্তিনিকেতন কী চমৎকার একটি ঘাঁটি মনে হয় আপনার?’ সেন জানালেন, ‘ঘটনাটা নিদারুণ দুঃখজনক। স্কুলটি যখন প্রথম শুরু হয় তখন এটা ছিল চরম প্রগতিশীল। অথচ আজ তার চেহারা দাঁড়িয়েছে যে কোনো জায়গার অখ্যাত যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের মতই। শান্তিনিকেতন আজ ভারতজুড়ে ছড়িয়ে থাকা অজস্র ব্যর্থতার নগণ্য এক নমুনা মাত্র। ’
 
এক শতক আগে যখন মায়ের সঙ্গে শান্তিনিকেতন স্কুলে থাকা হতো তার, তখনই শিক্ষা কারিকুলামের একটি অঙ্গ ছিল জুডো। ছেলেমেয়ের একসঙ্গে পড়াশুনা করাটা ছিল স্বাভাবিক এক ঘটনা। আজকের প্রেক্ষিতে তাকিয়ে সেদিনের উদ্যোগটিকে প্রশংসা না করে পারা যায় না। কেবল যুক্তরাজ্য নয়, থাইল্যান্ড, চীন, আফ্রিকা এবং ইউরোপ সব বিষয়ে পড়াশুনার সুযোগ ছিল সেখানে। এক পর্যায়ে আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্যের কথা ভেবে এর কর্তাব্যক্তিরা স্কুলটিকে রূপ দিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে।

শান্তিনিকেতনের মৌলিক ধারাটা এখনও ধরে রেখেছে চেন্নাইয়ের কলাক্ষেত্র স্কুল। এখানে কর্নাটক সঙ্গীতের পাশাপাশি শেখানো হয় ধ্রুপদী ভারতনাট্যম। কোনো ডিগ্রি প্রদানের সুযোগ নেই তাদের যদিও, তথাপি আমি মনে করি শিল্পকলার জন্য এর চাইতে ভালো কোনো স্কুল ভূ-ভারতে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। সেন বিশ্বাস করেন, বৃহত্তর ভারতীয় জনগণের কাছে ভারতের ধ্রুপদী সঙ্গীত পৌঁছে দেয়ার কোনো বিকল্প নেই।

বর্তমান বিশ্বে ভারতের নেতিবাচক ভাবমূর্তির বিষয়টি প্রতিফলিত হয় বেলজিয়ান-বংশোদ্ভূত-ভারতীয় জাঁ দ্রিজের সঙ্গে যৌথভাবে রচিত তার ‘ইন্ডিয়া: অ্যান আনসার্টেন গ্লোরি’ নামের গ্রন্থে। দীর্ঘদিন ধরে জাঁর সঙ্গে কাজ করে আসছেন তিনি। দুয়ে মিলে রচনা করেছেন অন্তত ছয়খানা গ্রন্থ। ‘চমৎকার একটি বোঝাপড়া রয়েছে আমাদের মধ্যে,’ মজা করে বলেন সেন, ‘কাজের ৯০ শতাংশ করে ও, অথচ, কাজের ৯০ শতাংশ কৃতিত্বই শেষমেষ দেয়া হয় আমাকে। বোঝাপড়াটি কী ভালো নয়, কী বলেন?’

আজকের ভারতে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের ৪৩ শতাংশকে বছরভর ভুগতে হয় অপুষ্টিতে। গোটা দেশের অর্ধেকের বেশি পরিবারকে আজও মলত্যাগ করতে হয় খোলা আকাশের নিচে। অথচ প্রতিবেশি বাংলাদেশে এর পরিমাণ মাত্র ৮ শতাংশ। ৩০ শতাংশ ভারতীয় এখনও বঞ্চিত বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে। অথচ চীনে এ সংখ্যা মাত্র ১ শতাংশ।

সেনের ভাষায়, অর্থনৈতিক উন্নয়ণ সূচকে ধাঁই ধাঁই করে এগিয়েছে ভারত। অথচ তারা নিদারুণ পিছিয়ে রয়েছে সামাজিক সূচকে। অর্থটা কী এর? তবে কী আমূল ব্যর্থ হয়েছে ভারতের স্বপ্ন? ‘এটা বলার কোনো অর্থ হয় না নিজের মানুষগুলোর জন্য ইতিবাচক কোনো ফল বয়ে আনতে পারেনি ভারত। উপনিবেশিক শাসনামলে অচল হয়ে ছিল আমাদের অর্থনীতি। স্বাধীনতার চার বছর আগে দেশটিতে হানা দেয় পৃথিবীর ইতিহাসের বৃহত্তম দুর্ভিক্ষ। অথচ ১৯৪৭-এর পর থেকে আজ অবধি এ ধরনের বড় কোনো দুর্যোগে পড়তে হয়নি আমাদের। যদিও বন্যা আর খরা আমাদের ছেড়ে যায়নি এখনও। বরং ২০১৩ সালের শেষদিকে এসে যখন ভয়ঙ্কর ঝড়ের পূর্বাভাস পাওয়া গেল, দেশটির সরকার সাফল্যের সঙ্গে দুর্যোগপ্রবণ এলাকা থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে পেরেছে দশলাখ মানুষ। ফলে রক্ষা পেয়েছে বিপুল মানুষ। নিয়মটা হচ্ছে, সরকার যদি আন্তরিক হস্তক্ষেপ করে কোনো কাজে, বেশিরভাগে ক্ষেত্রেই তার ফল হয় ইতিবাচক। যদিও বাস্তবতা হচ্ছে, গণতন্ত্রের মাধ্যমে সুযোগের যে অবারিত দুয়ার খুলে যায় আমাদের সামনে, তার অতি অল্পটাতেই কাজে লাগাবার মতো আন্তরিকতা প্রদর্শন করে থাকে সরকার।

অভিজাত আর সাধারণের মাঝখানে সৌভাগ্যের ব্যবধান থাকা সমাজ আরও আছে এশিয়ায়। যদিও তাদের কোথাও এই ফারাক অতোটা গভীর নয় যতোটা রয়েছে ভারতে। সেন বলেন, ‘এর অন্যতম কারণ ভারতের পিছিয়ে থাকা শিক্ষা ব্যবস্থা। তিনি বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একবার বলেছিলেন, ভারতের সবচেয়ে বড় সমস্যা শিক্ষার অসম সুযোগ। দুর্ভাগ্যজনকভাবে মহাত্মা গান্ধীকেও এর জন্য কম দায়ী করা চলে না। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার চাইতে তিনি বেশি গুরুত্ব দিতে চাইতেন ব্যক্তিগত অনুশীলনের ওপর। পরবর্তীতে এ ধারণা বাতিল হয়ে যায় যদিও সেই ক্ষত সারিয়ে সিঙ্গাপুর, চীন বা কোরিয়ার মতো এখনও সুস্থ-সবল হয়ে দাঁড়াতে পারিনি আমরা। বরঞ্চ প্রান্তিক শিক্ষার ব্যাপারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সবার আগে ভেবেছিলেন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওয়াহেরলাল নেহেরু। সেদিন তার ধারণার অনুসরণে গড়ে তোলা ভিত্তির ওপর ভর দিয়েই পরবর্তী সময়ে দাঁড়িয়ে যায় ম্যানেজমেন্ট আর টেকনোলজির ওপর আমাদের সেই সব প্রতিষ্ঠান যাদের কল্যাণে আজ দুনিয়ার বুকে অন্যতম এক অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হতে সক্ষম হয়েছে ভারত।
 
এতসব ভুল সিদ্ধান্তের পরিণতি হিসেবে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতীয় জনগণের কাছে শিক্ষার অলৌকিক আলো এখনও পৌঁছে দিতে পারিনি আমরা। বরং তার কুপরিণতির শিকার হিসেবে ভোগান্তি বেড়েছে কোটি মানুষের। অন্যদিকে অভিজাত উচ্চবিত্ত ভারতীয়রা কিন্তু ঠিকই পাচ্ছে বিশ্বমাপের শিক্ষা লাভের সুযোগ। বড়লোকের জন্য, বলতেই হবে, স্বাধীনতার স্বপ্ন ব্যর্থ হয়নি ভারতের। অথচ গরীবের কাছে এটার কোনো অস্তিত্বই নেই, ছিল না কখনও। আপনি যদি বলেন শ্রেণী বিভাজন বিলোপের জন্য যেসব আন্দোলন গড়ে উঠেছে বিভিন্ন সময়ে তার মূল নেতৃত্ব সব সময়ই এসেছে ধনিকশ্রেণী অথবা উঁচু জাতের মানুষের ভেতর থেকে। ’

তাহলে এ বিপুল বৈষম্যের অন্যতম কারণ কী জাতপাতের বিভেদ, জানতে চাইলে তিনি বলেন, পিছিয়ে থাকার একমাত্র কারণ হিসেবে একে অভিযুক্ত করা চলে না। ‘জাতপাত আর অচ্ছুতের সংকট সবচেয়ে প্রকট ছিল দক্ষিণ ভারতের কেরালা রাজ্যে। এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার মধ্য দিয়েই গড়ে ওঠে সেখানকার বর্তমান প্রভাবশালী রাজনৈতিক শক্তি। এ আন্দোলনই পরবর্তীতে হয়ে ওঠে কম্যুনিস্ট আন্দোলন। প্রতিকূল পরিবেশ থেকে পরিত্রাণের জন্য শক্তিশালি মাধ্যম হিসেবে তারা বেছে নেয় শিক্ষা। এ মুহূর্তে ভারতের অন্যান্য যে কোনো এলাকার চাইতে অনেক বেশি কার্যকর আর শক্তিশালি শিক্ষা ব্যবস্থার গৌরব করতে পারে তারা। তাছাড়া রাজতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার কারণে কোচিন কিংবা ত্রিবাঙ্কুর রাজ্যগুলো বরাবরই মুক্ত ছিল ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসনের প্রত্যক্ষ কুপ্রভাব থেকে। ভারতের পূর্ণ স্বাধীনতাপ্রাপ্তিরও প্রায় দেড় শ বছর আগে, সেই ১৮১৭ সালেই এক ঘোষণাবলে ত্রিবাঙ্কুরের মহারাণী পার্বতী বাঈ তার রাজ্যের ছেলেমেয়ে নির্বিশেষে সবার জন্য সুযোগ করে দেন বিনাখরচে শিক্ষা লাভের।
 
ফলত গড়পড়তা অন্যান্য অঞ্চলের চাইতে মানবিক উন্নয়ন বিচারে অনেক বেশি এগিয়ে থাকার সুযোগ তৈরি হয় সেখানে। শিক্ষা, গড় আয়ু এবং অন্যান্য অনেক খাতে এমন কী চীনের চাইতেও অনেক বেশি সামনের সারিতে অবস্থান করে নিতে সমর্থ হয় তারা।

‘জাতপাতের বিভেদের কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রতিরোধ তৈরি হয় কেরালা রাজ্যে। ফলে গণমানুষের মৌলিক উন্নতি নিশ্চিত হয়ে যায় সেখানে। অন্যদিকে, ধরা যাক, উত্তর ভারতে, জাতপাতের এই বৈষম্য প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে খোদ রাজনীতির মধ্যে। উঁচু জাতের বিজেপি কিংবা নিচু জাতের অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মধ্যে ব্যবধান সেই অর্থে খুব বেশি নেই বললেই চলে। ভয়ানকভাবে বিভেদকে জিইয়ে রাখে তাদের এহেন মানসিকতা। ফলত চিরকাল তারা রয়ে যায় শক্তিহীন এবং অকার্যকর। জাতপাতের বিষচক্র থেকে আজও খুব বেশি বেরিয়ে আসতে পারেনি ভারতের রাজনীতি। যার কারণে সামাজিক বৈষম্য দূর করার প্রসঙ্গটি আজও বিরাজ করছে হতাশার গভীর অন্ধকারে।

ভারতীয় সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ড. ভীমরাও আম্বেদকার  মনে করতেন ব্যাপক সামাজিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা না গেলে সংবিধান যতই নিখূঁত হোক না কেন, তার বাস্তবায়ন অসম্ভব। আম্বেদকারের মূল আহ্বান ছিল তিনটি— শিক্ষিত করে তোলো, প্রণোদিত করো এবং সংগঠিত করো। অচ্ছুৎ সমাজ থেকে উঠে এসেছিলেন তিনি। বাবা ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন, সেই সুবাদে সুযোগ পান লেখাপড়ার। যদিও শিক্ষাজীবনের পদে পদে চরম নিগ্রহের শিকার হতে হয়েছে তাকে।

বর্তমান সময়ের সমস্যার জন্য প্রাচীন ঐতিহ্যকে অভিযুক্ত করে বসে থাকার অর্থই হয় না কোনো। বরং আমাদের সব ধরনের রাজনৈতিক নেতার কারণেই ব্যর্থতার এ দায় আজ বহন করতে হচ্ছে আমাদের। কংগ্রেস, বিজেপি এমন কী কম্যুনিস্ট- কেউই প্রকৃতপক্ষে খুব একটা আলাদা নয় অন্য কারো থেকে।
   
দেশের আশি কোটি ভোটারের বড় অংশ কেন শাসক দল কংগ্রেসের পক্ষে ভোট দিতে নারাজ হবে সে ব্যাপারে অমর্ত্য সেন বলেন, ‘বিগত দিনে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড প্রোগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স (ইউপিএ) পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে জনগণের আশা পূরণে। আর যেটুকু সাফেল্যের খতিয়ান রয়েছে তাদের সে ব্যাপারেও সুস্পষ্ট কোনো ধারণা তারা দিতে পারেনি মানুষকে। সেন বুঝতে পারেন না, মার্কিনিদের সাথে করা পরমাণু চুক্তিকে এতো ফলাও করে প্রচারের কী আছে কংগ্রেসের। অতঃপর এটাই তাদের বৃহত্তম অর্জন? সেন জানতে চান, কেন সরকার বলছে না যে দেশ থেকে পোলিওকে উধাও করতে সমর্থ হয়েছে তারা। কিংবা পল্লীবাসী গরীব মানুষের জন্য কাজের সুযোগ সৃষ্টি করেছে তারা? কিংবা, কেনই বা বলছে না চরম দরিদ্র সর্বহারা ভারতবাসীর জন্য পাশ করা খাদ্য অধিকার বিলের কথা?

এমন কী অর্থনৈতিক খাতেও প্রধান বিরোধী দল বিজেপির আক্রমণের শক্তপোক্ত কোনো জবাব দিতে পারছে না তারা। ‘অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধীরগতি ৫ শতাংশের নিচে নেমে এলেও আরেকদিকে অনেক বড় একটি অর্জন এটাই যে, মনমোহন সিংয়ের আমলেই আধুনিক পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে দেখিয়ে দিয়েছে ভারত। আমার মনে হয় আর কিছু পারুক না পারুক একটা কাজ অন্তত কংগ্রেসের চাইতে অনেক ভালো করতে পারে বিজেপি। তা হচ্ছে তাদের রাজনৈতিক প্রচারণা। ’ 

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।