ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

মুক্তমত

শিনজো আবেকেই ফের বেছে নিলো জাপান

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৭
শিনজো আবেকেই ফের বেছে নিলো জাপান জাপানে ফের জিতলেন শিনজো আবে

আগাম নির্বাচন দিয়ে ভুল করেননি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। আবারো ৫ বছরের জন্য বিপুল ভোটের ব্যাবধানে বিজয়ী হলো শিনজো আবের নেতৃত্বাধীন দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) নেতৃত্বাধীন জোট। সর্বশেষ এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ২৫৪টি আসনে এককভাবে বিজয়ী হয়েছে এলডিপি। জোটবদ্ধ কোমেই তো পার্টি মিলে ৩২০টির বেশি আসন পেয়েছে। এখনো কয়েকটি আসনের ফলাফল ঘোষণা বাকি রয়েছে।

ক্ষমতায় যেতে প্রয়োজন হয় ২৩৩টি আসন। নির্বাচনে আবেকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলো টোকিও সিটির প্রথম নারী গভর্নর ইউরিকো কোইকে’র নেতৃত্বাধীন আলোচিত নতুন দল কিবো নো তো (পার্টি অব হোপ)।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ নবগঠিত দল পেয়েছে ৩৮টি আসন। সংসদের প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির (ডিপি) নেতৃত্বাধীন জোট পেয়েছে ৪০টি আসন। বাকি ৫৩টি আসন পেয়েছে বিভিন্ন ছোট দল। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছে ২১টি আসন। এছাড়া বাকি আসনগুলোর ফলাফল এখনো ঘোষণা করা হয়নি। জাপানের বিভিন্ন টেলিভিন এ ফলাফল প্রচার করছে।

জাপানে যেমন চলছে ভোট

জাপানের সংসদের নিম্নকক্ষে ৪৬৫টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। এর মধ্যে ২৮৯ জন আইনপ্রণেতা সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হচ্ছে। বাকি ১৭৬ জন আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে নির্বাচিত হচ্ছে। ক্ষমতায় যেতে হলে অন্তত পক্ষে ২৩৩টি আসন পেতে হয়। জাতীয় এই নির্বাচনে প্রধানত তিন জোটবদ্ধ দল প্রতিযোগিতা করে।

শিনজো আবের বিজয়ের ফলে ভোটের আগে বিভিন্ন জনমত জরিপের রিপোর্টই সত্যি প্রমাণিত হলো। গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভোটের আগে দিনের জনমত জরিপেও শিনজো আবের দল এগিয়ে রয়েছে বলে দেশটির প্রধান গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছিলো। এসব জনমত জরিপে শিনজো আবের দল তিনশতাধিক আসন পাবে বলে আভাস দিয়েছিলো।

তবে শেষ মুহূর্তে পরিবর্তনের ডাক দিয়ে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন আলোচিত নারী প্রার্থী ইউরিকো কোইকে।

এদিকে ৭ দিন ধরে টানা বৃষ্টি আর টাইফুনের মধ্যেই শান্তিপূর্ণভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে ভোটাররা। এবারের নির্বাচনে উত্তর কোরিয়ার সামরিক হুমকি মোকাবিলা ও ২০২০ সালে অনুষ্ঠেয় বিশ্ব অলিম্পিক আসর ও দ্রব্যমূল্যের ট্যাক্স বৃদ্ধিসহ বেশ কিছু বিষয় মূল ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করেছে।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর জাপানের পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে শিনজো আবে আগাম নির্বাচন ঘোষণা করেন। নিজের জনপ্রিয়তা যাচাই এবং উত্তর কোরিয়া নিয়ে বিদ্যমান সংকটে জনমত জানতে সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার এক বছর আগেই সাধারণ নির্বাচন দিলেন শিনজো আবে। এর আগে ২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন শিনজো আবে।
 
মাহবুব মাসুম: প্রবাসী সাংবাদিক, [email protected]

বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৭
জেডএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।