ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুক্তমত

মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৬ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০১৮
মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি একাত্তরে নারীরা ছিল প্রতিবাদ-বিক্ষোভ-আন্দোলনের পুরোভাগে। ফাইল ছবি

বাঙালি জাতির স্বাধীনতা ও মুক্তির ইতিবৃত্ত লিপিবদ্ধ রয়েছে ১৯৭১ সালের রক্তঝরা মার্চের দিনলিপিতে। মার্চের রাজনৈতিক ঘটনায়, সামরিক প্রতিরোধে, শিল্পী-কবি-গায়কের ধ্বনিতে ভবিষ্যতের প্রেরণা হয়ে এখনও বাঙ্ময় সংগ্রামী অতীত।

গীতিকার গোবিন্দ হালদারের কথায় আপেল মাহমুদের সুর ও কণ্ঠে মিশে আছে সেই দীপ্ত ইতিহাসের স্বর্ণরেণু:

মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি
মোরা একটি মুখের হাসির জন্য অস্ত্র ধরি। ’

মানবিক প্রয়োজনে যৌক্তিক সেই যুদ্ধকে প্রতীকের আবহে উচ্চারণ করা হয়েছিল এইভাবে:

যে মাটির চির মমতা আমার অঙ্গে মাখা,
যার নদী জল ফুলে ফলে মোরস্বপ্ন আঁকা,

যে দেশের নীল অম্বরে মন মেলছে পাখা,
সারাটি জনম সে-মাটির দানে বক্ষ ভরি

মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি,
মোরা একটি মুখের হাসিরজন্য অস্ত্র ধরি।

মোরা নতুন একটি কবিতালিখতে যুদ্ধ করি,
মোরা নতুন একটিগানের জন্য যুদ্ধ করি,

মোরা একখানাভালো ছবির জন্য যুদ্ধ করি,
মোরা সারাবিশ্বের শান্তি বাঁচাতে আজকে লড়ি

শান্তির জন্য, পুষ্পের জন্য, স্থিতির জন্য, সুন্দরের জন্য, হাসি-আনন্দ-সমৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ এখনও লড়ছে মার্চের মুক্তিযুদ্ধের শাশ্বত প্রেরণা ও অবিনাশী চেতনায়।   ১৯৭১ সালের মহান স্মৃতির মার্চ তাই নিছক একটি মাস নয়, জাতীয় জাগরণের এক অনিঃশেষ উৎসস্থল। মার্চের ইতিহাসময়তা জাতির রাজনৈতিক-মতাদর্শিক পদক্ষেপের সূচনালগ্ন এবং বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের ভিত্তি নির্মাণের মাহেন্দ্রক্ষণ।  

ঐতিহাসিকভাবেই স্বাধীনতাপ্রিয় বাঙালি জাতির সুদীর্ঘ বছরের মুক্তির সংগ্রাম নানা বাঁক ও পথ পেরিয়ে সাফল্যের মোহন ঠিকানা খুঁজে পেয়েছিল ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে। মার্চের তীব্র রোমাঞ্চকর ও চাঞ্চল্যময় দিনগুলো বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পেয়েছিল সঠিক দিশা। আমাদের গৌরবদীপ্ত জাতীয় নেতৃত্ব সেদিনের মহা সঙ্কট ও সন্ধিক্ষণে দৃঢ়তা ও শুদ্ধতার সর্বোচ্চ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে একটি সফল মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনিকে পরাজিত করেছিল। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতার মহান সূর্য। স্বাধীনতার আলোয় আলোকিত বাংলাদেশের দুর্নিবার অগ্রসরমানতায় একাত্তরের মার্চের স্মৃতি ও অভিজ্ঞতা অনির্বাণ মশাল হয়ে পথ দেখাচ্ছে। পথ দেখাতে থাকবে কালে কালান্তরে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা,  মার্চ ০১, ২০১৮

এমপি/ জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।