ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুক্তমত

বিশ্ব পর্যটন দিবস ও বাংলাদেশ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৮
বিশ্ব পর্যটন দিবস ও বাংলাদেশ বাংলাদেশর পর্যটন স্পট নীলাচল

নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে অন্য দেশগুলোর মতো বাংলাদেশেও বিশ্ব পর্যটন দিবস পালিত হলো ২৭ সেপ্টেম্বর। 

বিশ্ব পর্যটন সংস্থার সংবিধি ১৯৭০ সালে পাশ করা হয় এবং তার দশ বছর পর অর্থাৎ ১৯৮০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর এ সংবিধি কার্যকর হয়। সংবিধি কার্যকর করার দিন থেকেই বিশ্ব পর্যটন সংস্থার সদস্য রাষ্ট্রসমূহ আনুষ্ঠানিকভাবে এই দিবসটি পালন করে আসছে।

এবছর দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘পর্যটন ও ডিজিটাল রূপান্তর’।


বিশ্ব পর্যটন সংস্থার মূল উদ্দশ্য টেকসই পর্যটন উন্নয়নের মাধ্যমে সদস্য দেশসমূহের মধ্যে সমঝোতা ও শান্তি সৃষ্টি করে অর্থনৈতিক, সামাজিক, পরিবেশগত এবং সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধি আনায়ন করা। দিবসটি পালনের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর মধ্যে শান্তি, সমৃদ্ধি, সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি এবং ভ্রাতৃত্ব বোধ তৈরি করে। সচেতনতা সৃষ্টিতেও পর্যটন দিবস ভূমিকা রাখে।  

পর্যটন ও ডিজিটাল রূপান্তরযোগাযোগের ক্ষেত্রে ডিজিটাল ব্যবস্থায় খুব সহজে, দ্রুত এবং কম ব্যয়ে যোগাযোগ ও তথ্য বিনিময় করা সম্ভব। প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন পর্যটন গন্তব্যের কার্যক্রম ও সুবিধা দেশি-বিদেশি পর্যটকের কাছে সহজে উপস্থাপন করতে সাহায্য করছে।  

পর্যটন একটি বহুমুখী শিল্প। প্রায় ৭০ ধরনের প্রতিষ্ঠান সরাসরি পর্যটকদের সেবা দিয়ে থাকে। এগুলোর মধ্যে দু’চারটি ছাড়া বাকি সবগুলো প্রতিষ্ঠানই ছোট আয়তনের এবং স্বল্পপূঁজির। ফলে এদের পক্ষে গণমাধ্যমে প্রমোশন কার্যক্রম চালানোর ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব হয় না। ডিজিটাল পদ্ধতির প্রবর্তন এসব প্রতিষ্ঠানের প্রমোশন কার্যক্রমকে সহজ করেছে।  

আজকের দিনে পর্যটকরা ট্যুর পরিকল্পনায়, হোটেল ও এয়ার টিকেট বুকিংয়ে, ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন ও বুকিং মানি পরিশোধ করতে, বোডিং পাস নিতে এবং ইলেকট্রনিক ভিসা পেতে ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করেন।  

প্রযুক্তির মাধ্যমে ভ্রমণ সুবিধাদি পাওয়া, ভ্রমণে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, মানসম্পন্ন সেবা পাওয়া, গতিময়তার প্রতিকূলতা দূর করা এবং নিশ্চিন্তে ভ্রমণ করা সম্ভব হয়।

‘বিশ্ব পর্যটন দিবস’ এলে প্রতি বছরই ঘটা করে দিবসটি পালন করা হয়। তবে হাতে গোনা কিছু প্রতিষ্ঠান ও মানুষ ঘুরে ফিরে প্রতি বছর দিবসটি পালন করে থাকে। এতে করে জনগণের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত হচ্ছে না। একথা মনে রাখতে হবে যে, প্রতি বছর পর্যটন দিবস পালন করলেই যে পর্যটনের উন্নতি সাধিত হয় এমন নয়। এজন্য প্রয়োজন দিবসটির চেতনার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প বিকাশে নতুন উদ্দীপনা সঞ্চারিত করা। সেই সাথে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি সৃষ্টির প্রতিও যথাযথ গুরুত্ব দিতে হবে।  

অধ্যাপক ড. মোঃ আফজাল হোসেন
অধ্যাপক ড. মোঃ আফজাল হোসেন 
 

বাংলাদেশ সময় : ১৬০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৮
এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।