ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

মুক্তমত

ঢাকা ভাগ: হবু-গবুচন্দ্রের পরামর্শ ও ব্লেমগেম

মাহবুব মিঠু, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০১১
ঢাকা ভাগ: হবু-গবুচন্দ্রের পরামর্শ ও ব্লেমগেম

খবর: চার মিনিটে ঢাকা সিটি দ্বিখন্ডিত

কৈশোরে বিভিন্ন প্রয়োজনে সাধারণ জ্ঞান মুখস্ত করতে হতো। দুটো জিনিস আমার কাছে খুব ইন্টরেস্টিং ছিল।

কোনো দেশের ম্যাপ বুট জুতোর মতো দেখতে? ইতালি। এবং কোনো দেশ একসাথে মহাদেশও বটে? অস্ট্রেলিয়া। কৈশোরের মন! কারণ ছাড়াই অনেক কিছুতে ইন্টারেস্ট নেয়। যুক্তি ছাড়াই অনেক কিছুতে ঝুঁকে পড়ে। সেই ঝুঁকে পড়ার অংশ হিসেবে ইতালি এবং অস্ট্রেলিয়ার তাবত জিনিস জানা আমার নেশা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সব কিছু যেমন তেমন, অস্ট্রেলিয়ার এক জায়গায় এসে প্রায় ভুল করতাম। অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী কোথায়? সিডনি। বারবার একই ভুল! কিছুতেই মানতে চাইতাম না যে, অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী সিডনি নয়, ক্যানবেরা। ঢাকাকে দেখে দেখে একটা কথাই মনে গেথে গিয়েছিল যে, একটা দেশে একটি মাত্র শহরই হবে নাদুস নুদুস। এবং সেটা হতে হবে তার রাজধানী। অন্যগুলো হবে অপুষ্ট শরীরের ক্ষীণকায়। সেই বদ্ধমূল ধারণা থেকে যতোবারই মুখস্ত করতাম ততোবারই আমার স্মৃতিশক্তি বাস্তবের অভিজ্ঞতার কাছে মার খেয়ে ভুল করে বসতো। অস্ট্রেলিয়াতে বড় দুটো শহর বলতেই বোঝায় সিডনি এবং মেলবোর্ন। মনে হয়, আকারের দিক থেকে ক্যানবেরা বাকী আরো ‍দু চারটা শহরের চেয়েও ছোট হবে। বিশ্বের অন্যান্য উন্নত রাষ্ট্রের দিকে তাকালেও একই অবস্থা। রাজধানী শহর মানেই বাকীদের অপুষ্টিতে রেখে নিজেকে মেদ দিয়ে ঢাউস সাইজ করে ফেলা নয়।

সম্ভবতঃ বিশ্বের জনবহুল দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশেই রাজধানী শহরকে লক্ষ্য করে মানুষের এতো ঢল। পাশের দেশ ভারতেও দিল্লীর চেয়ে বোধহয় বোম্বের হাঁকডাক একটু বেশী। গলাটা একটু লম্বা করে পাকিস্তানের দিকে তাকালেও একই অবস্থা। করাচি, ইসলামাবাদের চেয়ে কম যায় না। এভাবে এগুতে থাকলে সারা বিশ্ব জুড়ে মোটামুটি একই চিত্র পাওয়া যাবে। এর মধ্যে একমাত্র ব্যতিক্রম আমরা। গালিভার সাইজের ঢাকার কাছে দেশের বাকী শহরগুলো লিলিপুট হয়ে আছে।

অতি দৃষ্টিপাতের ফলস্বরূপ ঢাকা বসবাসের যোগ্যতা হারিয়েছে অনেক আগেই। বিশ্বের কয়েকটি বসবাসের অনুপযুক্ত শহরের একটি এই ঢাকা । প্রতিদিন অগণিত মানুষের প্রবাহ লঞ্চ, স্টিমার, পায়ে হেঁটে, বাসে চড়ে ঢাকামুখী। এই পরিস্থিতিতে জনস্রোত না ঠেকিয়ে ঢাকাকে দুভাগ করে দিলেই কি সমস্যার সমাধান হবে? তাতে কি জনসংখ্যার প্রবাহ কমে যাবে? ঢাকার আয়তন বেড়ে যাবে? স্বাস্থ্যবান শরীর ভাল কিন্তু মেদযু্ক্ত শরীর? জীবনের জন্য ভীশন ক্ষতিকর। অতিরিক্ত মেদে জীবননাশের সম্ভাবনা থাকে। শরীরের মেদই (জনসংখ্যা) যখন সমস্যার কারণ, তখন শরীরকে দুভাগ করে দিলেই কি সমাধান মিলবে? শরীর বাঁচাতে শরীর না কেটে মেদ কমানোটাই যৌক্তিক নয় কি? মাথা ব্যথা হয়েছে বলে গোটা মাথাকেতো কেটে ফেলা যাবে না। সরকারের হবুচন্দ্র মন্ত্রী এবং গবুচন্দ্র উপদেষ্টাদের পরামর্শে ধূলোর হাত থেকে বাঁচতে পুরো শহরকে চামড়া দিয়ে না ঢেকে, আমাদের (জনগণ) মতো মুচির কথা শুনে দেখতেন! অল্প একটু চামড়া দিয়ে জুতো বানিয়ে ফেললেই তো হোত। ঢাকার সমস্যা সব ফাঁকা হয়ে যেত।  

সেটা কিভাবে? বিষয়টা যেমন আমি জানি, আপনারা জানেন, সরকারও তেমনি ওয়াকিবহাল। ঢাকার পাশাপাশি আরো শহরের দিকে নজর দেয়া। খুলনা, রাজশাহী, চিটাগাঙের মতো কতো সুন্দর সুন্দর শহর রয়েছে। বেশীরভাগ অফিস সেখানে সরিয়ে ফেলা। শহর থেকে  ইন্ডাস্ট্রিগুলো ঢাকার বাইরে নিয়ে যাওয়া। ঢাকাকে কেন্দ্র করে চারিদিকে পরিকল্পিত ছোট ছোট উপশহর গড়ে তোলা। এগুলোর সাথে ঢাকার সরাসরি দ্রুত গতির যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা যাতে করে মানুষ আধ ঘন্টা থেকে এক ঘন্টার মধ্যে শহরে পৌছতে পারে। উপশহরে মানুষ থাকবে, অফিস করতে ঢাকা আসবে। সেখানে ভাল ভাল স্কুল, কলেজ, হাট বাজার, হাসপাতাল পরিকল্পিতভাবে গড়ে তুলতে হবে। সারা দেশের মানুষের ট্যাক্সের টাকার অধিকাংশ কেন শুধু ঢাকার পিছনে ঢালা হবে?

বিকেন্দ্রীকরণ করুন। মানুষে ঢাকা চাদর থেকে ঢাকাকে মুক্তি দিন। ঢাকাকে না কেটে ঢাকাকে ছেটে অন্য শহরগুলোর শ্রীবৃদ্ধি করলে এমন কি ক্ষতি হবে!  

মধুর লোভে ঢাকা এখন বিশ্বের কয়েকটা জনবহুল শহরের একটিতে পরিণত হয়েছে। সবাই নিজের এবং পরের প্রজন্মের মঙ্গল চায়, একটা ভাল চাকরী চায়। ভাল স্কুল, ভাল কলেজ, ভাল বিশ্ববিদ্যালয় কোথায়? ভাল চিকিৎসা কোথায়? ভাল কর্মসংস্থান? সবইতো ঢাকায়। ঢাকায় এতো মধু যে, এমপিরা পর্যন্ত ভোটে জিতে এসে বাকী পাচটি বছর ঢাকায় কাটিয়ে দেয়। ঢাকায় আসার এই মধুর চাক না ভাঙলে মানুষ ঢাকায় আসতেই থাকবে। ঢাকার পেটের ভিতরে শয়ে শয়ে গার্মেন্টস কারখানা পর্যন্ত রয়েছে। গরীব মানুষেরা পেটের তাগিদে বাধ্য হয়ে এখানে চাকরি করে। থাকার জায়াগসহ জিনিসপত্রের যে দাম তাতে ইনকামের পুরোটাই আবার শহরে রেখে যেতে হয়। এটা আবার অন্য বিষয়! গরীব মারা কল। শোষনের দুষ্ট চক্র।

অতিরিক্ত মানুষের চাপে ঢাকা প্রশস্ত হতে হতে আর কোন জায়গা নেই। এখন শুধু আকাশপানে ছুটছে উর্ধ্বগতিতে। এতোবড় শহর, এতো বেশি লোককে ম্যানেজ করা, তাদের উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনা করা সত্যি বেশ কঠিন। ঢাকার লোকসংখ্যা যে হারে বেড়ে চলেছে, তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নাগরিক সমস্যা। একটু বৃষ্টি হলেই ঢাকার রাস্তায় নৌকা চালানো যায়। পানি সরানোর ব্যবস্থা থাকতে হবে তো! পয়ঃপ্রণালী নিস্কাশনের ব্যবস্থা নেই। খাবার পানির তীব্র সংকট। সমস্যার কোন শেষ নেই। ঢাকার সমস্যা এখন ঢাকা নেই, রাস্তার ম্যানহোলের ঢাকনার মতোই প্রকাশ্য, সবাই জানে। এ প্রসঙ্গে আর নাই বা গেলাম। এই সমস্যাগুলো একদিনে গজিয়ে ওঠেনি। ঢাকার পরিকল্পনাহীন শরীর বৃদ্ধিই এর জন্য দায়ী। দেশের জনসংখ্যাও তো বেড়ে চলেছে। তো, এ বেলায় কি করবেন? দেশটাতো ভাঙগা যাবে না। বিকল্প ব্যবস্থা বের করতে হবে, তাই না?

প্রধানমন্ত্রী মূলতঃ ঢাকার এই সব সমস্যার কথাই বিবেচনা করে ঢাকাকে ভাগ করেছেন। প্রয়োজনের তাগিদে অনেক কিছুই হতে পারে। তবে সমস্যা সমাধানের যে প্রক্রিয়া এবং পদ্ধতি তিনি নিয়েছেন সেখানটাতে গলদ আছে। গত মঙ্গলবার মাত্র চার মিনিটের একটা মিনি অপারেশনে শত শত বছরের পুরানো ঢাকা শহরকে কেটে দুভাগ করে ফেলা হয়েছে। নাগরিক সমাজের কোন কাতুকুতুই তাদের ফেরাতে পারেনি। শত শত বছর ধরে, কোটি কোটি মানুষের যত্ন আর ভালবাসায় গড়ে ওঠা এই ঢাকা শহর মাত্র কয়েকটি মিনিটের মধ্যে, অল্প কয়েকজন উপদেষ্টা, মন্ত্রী এবং সাংসদের তুঘলকি ইচ্ছার কাছে বলি হলো। ভালোর জন্য যে কোন পরিবর্তন সাধুবাদ পাবার যোগ্য। কিন্তু কার ভালোর জন্য সেই পরিবর্তন? কাদের দ্বারা সেই সিদ্ধান্ত? যদি ভালটা জনগণের জন্য হয়, তবে সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাদের অংশগ্রহণ কোথায়? আরো কথা আছে। ঢাকাকে ভাগ করার আগে এর বিকল্প ভাবনাগুলো কি ভাবা হয়েছিল? যদি ঢাকার বেশীরভাগ অফিসগুলো পর্যায়ক্রমে আরো দু তিনটা বড় বড় শহরে পাঠানো হতো, ঢাকার ভিতরে অবস্থিত মিল কারখানাগুলো ঢাকার বাইরে পাঠানো যেত, তবে কি সম্ভব ছিল না শত বছরের পুরানো এই ঢাকার বিভক্তিকে ঠেকানো? আপনাদের পুরো ভাবনাটাকে কেন প্যাকেটে পুরে রেখে দোষের ভাগী হতে গেলেন? ট্রানজিট, তিস্তা চুক্তির মতো সব বিষয়ে কেন এতো রাখঢাক? জনগণকে কি শত্রু মনে হয়? প্রতিটা ক্ষেত্রে কেন এতো স্বচ্ছতার অভাব?

এই আরেকটি সমস্যা আমাদের রাজনীতিবিদদের। ক্ষমতায় গেলেই চামড়াটা কেমন গন্ডারের চামড়া হয়ে যায়। চারিদিক থেকে শত চিৎকার করে ভালটা করার পরামর্শ দিলেও ফিরে তাকায় না। মুষ্টিমেয় কিছু উপদেষ্টা মাথায় ভূতের মতো চেপে বসে। তারা ছাড়া বাকী সবাইকে শত্রু মনে হয়। ঢাকা বিভক্তির বেলায়ও সরকার কারো কথা শুনেননি। জানি না, বুদ্ধিটা কার কাছ থেকে এসেছে। কোনো ভবিষ্যত মেয়র প্রত্যাশী, তার বহুদিনের খায়েশ পূরণের জন্য এমন উদ্ভট যুক্তি প্রধানমন্ত্রীর মাথায় চাপিয়ে দিয়েছেন কিনা! ওদিকে মেয়র খোকা বলেছেন যে, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ডিসিসি আবারো একীভূত করা হবে। মেয়র মহোদয়, আপনি স্বপ্ন নিয়েই থাকুন। দেশের জনসংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে দলে নেতা নেত্রীর সংখ্যাওতো বাড়ছে। ক্ষমতায় গিয়ে তাদেরকে পুনর্বাসন করতে হবে তো? দুটো ঢাকা, দুজন মেয়র। ভবিষ্যতে দুটো ডিসিসি হবে দু জন নেতার পুনর্বাসন কেন্দ্র। কাজেই ওসব কথা বলে লাভ নেই। যা হয় না নয়তে, তা হয় না নব্বইতে।    

বিরোধী দল ঢাকা বিভক্তিকে কেন্দ্র করে আরো একটি আন্দোলনের ছুতো পেল। কেউ যেচে হাতে মেওয়া দিলেতো টপাত করে শত্রুপক্ষ গিলে খাবেই। কিন্তু ওভাবে খেতে গেলে বদ হজম হতে পারে। একটু ধুয়েমুছে খাওয়া ভাল। সরকারের ভুল স্বিদ্ধান্তের বিপরীতে বিরোধী দল প্রথমেই আন্দোলনে না নেমে বিকেন্দ্রীকরণের ধারনার মতো আরো সুন্দর সুন্দর বিকল্প প্রস্তাবনা নিয়ে হাজির হলে তাদের জনসমর্থন আরো বাড়তো বই কমতো না। সরকার সেটা না মানলে জনগণের অংশগ্রহণে তাদের আন্দোলন আরো বেগবান হতো। তা না করে বিরোধী দল আমাদের রাজনীতির চিরাচরিত ব্লেম গেমের বাইরে আসতে পারেনি। বিরোধী দল ঢাকা ভাগ করার আগে ইতিবাচকভাবে এগিয়ে না এসে ঘটনা ঘটার পরে হরতালের মতো নেতিবাচক রাজনীতিতে নেমেছে। এটা কি ঢাকার অখণ্ডতা রক্ষার হরতাল নাকি সরকার পতনের জন্য? এটাই আমাদের নোংরা রাজনীতির নোংরা খেলা। নিজের কান কেটে অপরের যাত্রা ভংগ।

অন্যদিকে, সরকারের বর্তমান কিছু কার্যকলাপ দেখে মনে হয় তারা দেশ শাসন করতে করতে ক্লান্ত, অবসন্ন। একটু বিশ্রাম চায়। তাই একটা অজুহাত খুঁজছে বিরোধী দলকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য। নইলে একের পর এক কেন এতো মোক্ষম অস্ত্র বিরোধী দলের হাতে তুলে দেবেন? তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল, তিস্তা চুক্তি এবং টিপাইমুখ নিয়ে ভারতের সংগে তোয়াজ নীতি এবং সর্বশেষ সংযোজন ঢাকার বিভক্তি। এগুলো কার পরামর্শে হচ্ছে? সরকার কি ভুলে গেছে ঢাকার বুকে কতোগুলো সাংসদীয় আসন আছে? এই আসনগুলো কি তাদের দরকার নেই?

ছোট একটা চুটকি বলছি। সেই ১৯৯৮ সালে ভারতের আহমেদাবাদে একটা ডিপ্লোমা কোর্স করতে গিয়েছিলাম। অতিথি লেকচারার হিসেবে পঃবঙ্গের এক ডাক্তার এসেছিলেন। উল্লেখ্য, ডাক্তার বাবু বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতের পঃবঙ্গে চলে গেলেও পরিচয়ে দেশের নাম বাংলাদেশ বলতেই ভালবাসতেন। তিনি লন্ডনে পড়াশোনা করেছিলেন এবং সে সময়ে গোটা ভারতে স্বনামধন্য চক্ষু বিশেষজ্ঞ ছিলেন। স্মৃতি শক্তির বেঈমানী করায় তার নাম ভুলে গেছি। একবার তিনি লন্ডনের এক পার্কে গিয়েছেন মর্নিং ওয়াক করতে। এক অরিজিনাল বিলেতি বাবু (চামড়ার রং বললে সেটা বর্ণবাদী হয়ে যেতে পারে)  তার হাতে লাগানো চকচকে, দামী নতুন ঘড়িটার দিকে তাকিয়ে বললো, এটা কোথাকার তৈরী? ডাক্তার বাবু বেশ গর্বিত ভঙ্গীমায় জবাব দিলেন, মেড ইন জাপান।

জবার এলো, ওহ! তাইতো! জনসংখ্যার কারখানা ছাড়া তোমার দেশেতো আর কোন ইন্ডাস্ট্রি নাই। ঘড়ি বানাবে কি করে?  ‍

বল মাটিতে পড়ার আগেই খাঁটি বিলেতি সাহেব কথার বাণে ছক্কা হাকিয়ে দিলেন। ডাক্তার বাবুর মুখ খোলা টিনের মুড়ির মতো চুপসে গেলো।

নিয়ন্ত্রণহীন জনসংখ্যা বৃদ্ধির খোঁচা এখনো আমাদের শুনতে হয়। ঢাকার বিভক্তির পিছনে যতো কারণই থাকুক না কেন, মানুষ বেড়ে যাওয়া তার অন্যতম। মানুষের ঢল না কমিয়ে বিভক্তির পর বিভক্তি এনেও ঢাকার পরিকল্পনা সুষ্ঠুভাবে করা সম্ভব হবে না। ক্রমে ক্রমে ডিসিসিতে উত্তর দক্ষিণ দুই সতীনের মতো হয়তো খুব শিগগিরই পুব-পশ্চিম নামের আরো দুই সতীনের আবির্ভাব ঘটবে।

চার সতীনের ঘর?
লে ঠ্যালা সামলা!

[email protected]

বাংলাদেশ সময় ০৭০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।