ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুক্তমত

২৯ জুলাই, সড়কে শিক্ষার্থী আন্দোলন ও প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২১ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৯
২৯ জুলাই, সড়কে শিক্ষার্থী আন্দোলন ও প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি

যেদিকে তাকাই সড়কে শুধু মৃত্যুর মিছিল চোখে পড়ে। আজ রাস্তায় মৃত্যুর মিছিল, জলে মৃত্যুর মিছিল, আকাশেও মৃত্যুপুরীর গন্ধ।ফাইযা, আদনান তাসিন, আবরার, লাবণ্য,আরিফ, তানজিলাদের মায়েরা আজকে মৃত্যুর মিছিলে আকাশে বাতাসে এই মানব সভ্যতাকে অভিশাপ দিচ্ছেন আর বলছেন ‘হে ঘাতক, আর কতো মায়ের বুক খালি করবে, আর কতো রক্ত নেবে, রক্তের হোলিখেলা বন্ধ হবে কবে?'

বাংলাদেশের এখন  প্রধান এবং এক নম্বর সমস্যা সড়কে হত্যা, সড়কে হত্যা মহামারীর রূপ নিয়েছে, প্রতিদিন পত্রিকা খুললেই চোখে পড়ে "অমুক স্থানে অমুক সড়কে মৃত্যু" আর আর বেশির ভাগ সড়কে মৃত্যুর খবর মিডিয়াতে আসেই না। আবার অনেক পত্রিকার হেডলাইন হয় "সড়কে হত্যার মিছিল" "সড়ক যেন মৃত্যুপুরী", "থামছে না সড়কে হত্যা","২৮ লক্ষ লাইসেন্সহীন চালক", প্রায় ৯ লাখ ফিটনেসহীন গাড়ি" - এইসব কোনো সংবাদই কর্তৃপক্ষের বা নীতি নির্ধারকদের চোখে পড়ে না।

কেউ কেউ আবার বিভিন্ন মিডিয়ায় বলেন, পথচারীরা সচেতন হলেই সড়কে মৃত্যু কমবে। তারা আদৌ জানেনই না সড়কে মৃত্যুর  আসল কারণ। তাই  দায়সারা বক্তব্য দেন আর যে বা যারা সামাজিক আন্দোলন করেন তারাও আজো কোনো নীতিমালা দিতে পারেননি বা তাদের দেয়া প্রস্তাব কখনো গ্রহণ হয় না, আমলেও নেয়া হয় না। এর ফলে প্রতিনিয়ত সড়কে মৃত্যু বাড়ছেই।
এক জরিপে বলা হয়েছে সড়কে মৃত্যুর হার ১৮% হারে বাড়ছে । সড়কে মৃত্যুর শিকারদের ৩৯ শতাংশই শিক্ষার্থী। এর প্রধান ও অন্যতম কারণ বিচারহীনতা!
 
বিচারহীনতার প্রধান ও অন্যতম কারণ সড়কে মৃত্যুর পর কোনো প্রতিবাদ হয় না, জনগণ ভাবে আমার সন্তান-স্বজন তো আর মারা যায় নি! খুন হয়নি। আমি কেন প্রতিবাদ করব? আর যে বা যারা সন্তান বা স্বজন হারান তারা শোকে কষ্টে নীরব হয়ে যান। তাদের অনেকের পক্ষে সম্ভব হয় না  সন্তান বা স্বজন হারানর পর জায়গা জমি বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা খরচ করে মামলা করা, পুলিশকে তাগাদা দেয়া উকিলকে টাকা দেয়া, সকল কাজ কর্ম ফেলে একবার কোর্টে আর থানায় দৌড়াদৌড়ি করা। টাকার পর টাকা খরচ, ভোগান্তির পর ভোগান্তি, বছরের পর বছর কোর্টের বারান্দায় ছোটাছুটি!! এই দেশে ঘাতকরাই আরামে থাকে খুন করে এসে আরামে জীবন যাপন করে। কোনো ভোগান্তি নেই, তাদের জন্য আছেন তাদের নেতারা। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সন্তান-স্বজন হারিয়ে  সন্তান বা স্বজনদের অন্তত জাস্টিসের জন্য জায়গা জমিন বিক্রি করে, ঘরের জিনিসপত্র বিক্রি করে বছরের পর বছর কোর্টের বারান্দায় কাটিয়ে একটি রায় পেলেন, রায় কার্যকর করতে ঘাতককে ধরতে গেলে শুরু হয় "পরিবহন ধর্মঘট",  সরকারীদলের নেতাদের বৈঠক !! তারপর সবই আগের মতো। মানে "পরিবহণ ধর্মঘট" ঘাতকের মুক্তি, আর যে যারা সন্তান বা স্বজন হারিয়ে, বাড়িঘর বিক্রি করে, বছরের পর বছরের পরিশ্রম ছোটাছুটি এক নিমিষেই শেষ !        
 
সড়কে রক্তের বন্যা, মৃত্যুর মিছিল চলছেই। এক জরিপের ফলাফলে দেখানো হয়েছে প্রতি ঘণ্টায় ১২ জন করে  সড়কে ‘খুন হচ্ছেন’। কোনো প্রতিকার নেই, কোনো প্রতিবাদ নেই, যেন সড়কে মত্যুই নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে।  সম্প্রতি ড্রাইভার রাসেল বনাম গ্রীনলাইন মামলায় -  গ্রীনলাইন ম্যানেজার শত মিডিয়ার সামনে বলেন, "......রাস্তায় বের হলে এক্সিডেন্ট হবেই - তা আমার গাড়ির নিচে হোক বা অন্য গাড়ির নিচেই হোক......"  এতগুলো মিডিয়ার সামনে এতো বড় কথা বলার সাহস তিনি কী করে পান?  কেন রাস্তায় বের হলেই খুন হতে হবে? আমরা কি কোনো বনে বাস করি?একটি সভ্য দেশে মানুষ খুন হবে মর্জিমাফিক, কোনো বিচার হবে না, কোন সাজা হবে না, এটা কি ভাবে মানা যায়? জাতি হিসাবে এতো আমাদের জন্য লজ্জার।
২০১৮ সালের ২৯ ই জুলাই, আজকের এই দিনে ঢাকা বিমানবন্দর সড়কে বেপরোয়া বাসের চাপায় পিষ্ট হয়ে খুন হয় শহিদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই মেধাবী শিক্ষার্থী রাজীব ও দিয়া। এরই প্রতিবাদে সারাদেশব্যপী  “We Want Justice” প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে লাখো শিক্ষার্থী রাজপথে নেমে এসে প্রতিবাদ করে। বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের উপর পরিবহন শ্রমিক, মালিক, ভাড়াটে মাস্তানদের আক্রমণ শুরু হয়। নির্যাতিত হয় অনেক শিক্ষার্থী, জেলজুলুমের শিকার হয় অনেক শিক্ষার্থী।
     
সড়কে বেপরোয়া গাড়ির চাপায় প্রাণ হারানো শিক্ষার্থী আদনান তাসিনআন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি:
১. বেপোরোয়া চালকদের ফাঁসি দিতে হবে এবং এই শাস্তি সংবিধানে সংযোজন করতে হবে।
২. নৌ-পরিবহনমন্ত্রীর গতকালের বক্তব্য প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।
৩. শিক্ষার্থীদের চলাচলে এমইএস ফুটওভার ব্রিজ বা বিকল্প নিরাপদ ব্যবস্থা নিতে হবে।
৪. প্রত্যেক সড়কের দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাতে স্পিড ব্রেকার দিতে হবে।
৫. সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ছাত্র-ছাত্রীদের দায়ভার সরকারকে নিতে হবে।
৬. শিক্ষার্থীরা বাস থামানোর সিগন্যাল দিলে, থামিয়ে তাদের বাসে তুলতে হবে।
৭. শুধু ঢাকা নয়, সারাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
৮. রাস্তায় ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধ করতে হবে। লাইসেন্সহীন চালকরা গাড়ি চালাতে পারবে না।
৯. বাসে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া যাবে না।

   
আন্দোলনের পরপরই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দুই শিক্ষার্থী রাজীব ও দিয়ার পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেন, কিছু অর্থ প্রদান করেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বাস প্রদান করেন, তারপর বৃহৎ আন্দোলন বন্ধ হয়ে যায়। যে আন্দোলন ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিল তা কেন বন্ধ হয়ে যায়? নির্যাতন, জেল, জুলুম সহ্য করে  এত বৃহৎ আন্দোলনের প্রাপ্তি কি? নাকি এটা নিছক শিক্ষার্থী রাজীব ও দিয়ার জন্য আন্দোলন ছিল? সাম্প্রতিক ঘটনাসমূহ বিশ্লেষণ করলে আপাতদৃষ্টে বলা যায়, প্রাপ্তির চেয়ে অপ্রাপ্তি এবং হিতে বিপরীতই হয়েছে। এখন অনেক শিক্ষার্থীই প্রকাশ্যে এই নিয়ে কথা বলতে চায় না। কারণ তাদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় টিটকারির শিকার হচ্ছে তারা অনেকে।
 
প্রথমে ৯ দফা দাবির দিকে দেখি
পরিবহন মালিক সমিতি, সরকার কেউ কি ৯ দফা দাবি মেনে নিয়েছে?
১. ঘাতক চালকদের ফাঁসির শাস্তি বিধান কি সংবিধানে সংযোজন করা হয়েছে?
হয়নি।  সড়ক আইন ২০১৮ নামে একটি আইন করা হয় তা মূলত তাদেরকে সুবিধা দেবে বেশি!
২. সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী কি বক্তব্য প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন? চাননি।  
৩. শিক্ষার্থীদের চলাচলে এমইএস ফুটওভার ব্রিজ বা বিকল্প নিরাপদ ব্যবস্থা কি নেয়া হয়েছে?  বরং আন্দোলনের পরে জোয়ার সাহারায় বিকল্প ব্যবস্থা না করে ফুট ওভারব্রিজ সরিয়ে ফেলে, মৃত্যুকূপ তৈরি করা হয়েছে।  
৪. প্রত্যেক সড়কের দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাতে স্পিড ব্রেকার দিতে হবে। জোয়ার সাহারায় রাস্তার ডিভাইডার কেটে দিয়ে জেব্রাক্রসিং করে কিন্তু কোনো স্পিড ব্রেকারদেয়া হয়নি।  সেখানে ট্র্যাফিক নাই, সিগন্যাল নাই।  
৫. সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ছাত্র-ছাত্রীদের দায়ভার সরকার নেয়নি। আদৌ কি কোনো নিহত শিক্ষার্থীর পরিবারের দায়ভার সরকার নিয়েছে বা নেবে বলে কথা দিয়েছে?
৬. শিক্ষার্থীরা বাস থামানোর সিগন্যাল দিলে, থামিয়ে তাদের বাসে তুলতে হবে।
আদৌ কি কোনো শিক্ষার্থীকে সিগন্যাল দাঁড়িয়ে বাসে তোলা হয়? বরং শিক্ষার্থীদের বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে হত্যা করার ঘটনা ঘটেছে।
৭. ঢাকা সহ সারা দেশের কোথাও শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়ার ব্যবস্থা করা হয়নি।
৮. রাস্তায় ফিটনেসবিহীন গাড়ি গাড়ি প্রায় ৯ লাখ এবং লাইসেন্স ছাড়া চালকরা গাড়ি চালাচ্ছে ২৮ লাখের অধিক।
৯. বাসে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া বন্ধ হয়নি। এই ব্যাপারে কি আইন হয়েছে বা আইন হবে এমন আশ্বাস কি কেউ দিয়েছে?
 
শিক্ষার্থী আন্দোলনের সময়ে পরিবহন মালিক-শ্রমিক রাস্তায় নেমে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে, তারা রাস্তায় নেমে পোড়া মবিল মানুষের মুখে মেখেছে। এক নৈরাজ্য সৃষ্ট করে তারা শিক্ষার্থীদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের নিধনে নেমেছে। শিক্ষার্থী দেখলেই যেন তাদের মাথায় রক্ত উঠে যায়। , কয়েক দিনের ব্যবধানে তারা প্রাণ কেড়ে নিয়েছে অনেক শিক্ষার্থীর।  এদের মধ্যে ঢাকা শুধু উত্তর সিটি এলাকায়ই মারা গেছে ফাইযা, আদনান তাসিন, আবরার, লাবণ্য, তানজিলা, আরিফ।
 
সেন্ট জোসেফ-এর একাদশ শ্রেণীর মেধাবী শিক্ষার্থী আদনান_তাসিন ১১ই ফেব্রুয়ারি ২০১৯ কলেজ থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিমানবন্দর সড়কে  যেখানে আকাশ পাতাল কাঁপানো  শিক্ষার্থী রাজীব ও দিয়া আন্দোলন হয়, ঠিক তার কয়েক গজ উত্তরে জোয়ার সাহারা বাসস্ট্যান্ড (আদনান চত্বর)। সেখানে জেব্রা ক্রসিং দিয়ে রাস্তা পার হবার সময়ে তাকে শিক্ষার্থীর পোশাকে দেখে দ্রুতগামী বাসচালক ক্ষুব্ধ হয়ে  তাকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে বাসের চাকায় পিষ্ট করে নির্মম ভাবে খুন করে।  ওরা ফুলের মত পবিত্র নিষ্পাপ অসহায় শিশুটিকে বাঁচতে দিলো না। মৃত্যুফাঁদে ফেলে তাঁকে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো।
 এখানে একটা ফুটওভার ব্রিজ ছিল। কোনো বিকল্প না করে তা সরিয়ে ফেলা হয়।  
 আগে রাস্তায় ডিভাইডার থাকায় সাধারণ মানুষ ক্যান্টনমেন্টের সামনের ব্রিজ ব্যবহার করতো। হঠাৎই একদিন রাস্তার ডিভাইডার কেটে মানুষের জন্য মৃত্যুফাঁদ করা হয়।
সেখানে সাদা রঙ করে আলপনা করে দেয়া হয়। মানুষ যাকে জেব্রাক্রসিং মনে করে।
এই সাদা রঙের সামনে কোনো স্পিডব্রেকার নেই। নেই কোনো ট্র্যাফিক পুলিশ, নেই কোনো সিগন্যাল লাইট।
 
তার কলেজ সেন্ট_জোসেফ তাদের শিক্ষার্থীর নির্মম মৃত্যুর বিচার দাবি করেনি, প্রতিবাদ করেনি। প্রিন্সিপ্যাল ও শিক্ষকদের ভূমিকা রহস্যজনক। কিছু শিক্ষার্থীর প্রতিবাদ, শোক পালনেও বাধা দেয়া হয়েছে।
মিডিয়ার ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ। ঘাতকদের আজো ধরা হয়নি, আজো কোনো বিচার হয়নি।
তার বাবার প্রচুর টাকা নেই, প্রচুর ক্ষমতা নে।  তাই সকলের কাছে আদনান_তাসিনের মৃত্যুর বিচারের দাবিতে তার পরিবার দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছে।
 
 আবারও সড়কে মত্যু। রাস্তা অবরোধ করেছে সাধারণ ছাত্রছাত্রীর। প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয় দুটি বাস ১৯ মার্চ ২০১৯ বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রোফেইশনালস এর আবরার নামক এক ছাত্রকে পিষে মারে। বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রোফেইশনালস-এর শিক্ষার্থীদের আন্দোলন রূপ নেয় ভয়াবহ রূপে যা ছড়িয়ে পড়ে পুরো বাংলাদেশে। এক সময় সমগ্র দেশের শিক্ষার্থী-আন্দোলন বন্ধ হয়ে যায়। তবে সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন আসতে পারে, তবে এই আন্দোলন কিসের জন্য ছিল? দেশের সকল শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্য? নাকি শুধু বিশেষ কারো হত্যার বিচার বা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য অর্থ প্রাপ্তি? সারা দেশের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নামলো নির্যাতিত হলো, কষ্ট করল, রক্ত ঝরাল, জেলে গেল, তারপর হঠাৎই সবকিছু স্তব্ধ। সড়কে মৃত্যুর মিছিল থামলো না।  
 
শিক্ষার্থীদের অক্লান্ত পরিশ্রম বৃথা গেল। আর কতো দিয়া, রাজু , ফাইযা, লাবণ্য , আরিফ,তানজিলা, পায়েল , আব্রার,  আদনান তাসিনকে প্রাণ দিতে হবে সড়কের শৃংখলার জন্য? প্রশাসনের ও নীতি নির্ধারকদের অবহেলা-অবজ্ঞার কারণে আর কতো রক্ত ঝরলে সড়ক হবে নিরাপদ? এ প্রশ্নটাই রাখছি আজ প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।  
 
লেখক
শহীদ আদনান তাসিনের পিতা
আহ্বায়ক, সড়কে সন্তান-স্বজনহারা অভিবাবক ফোরাম 
সমন্বয়ক, আদনান তাসিন মঞ্চ

বাংলাদেশ সময়: ২১১৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৯
জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।