ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

মুক্তমত

অনলাইন ক্লাসে বাধা কোথায়?

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪২ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২০
অনলাইন ক্লাসে বাধা কোথায়?

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে পাঠদান করে থাকি। লকডাউনে নিয়মিত ক্লাস হয়েছে। কয়েকজন শিক্ষার্থী নেটওয়ার্কের জন্য ক্লাসই করতে পারেনি। এরমধ্যে একজন শিক্ষার্থী সেদিন ফোন দিয়ে বলছে, তার বাড়ি দিনাজপুরের সীমান্ত এলাকায়। সে কোনোভাবেই নেটওয়ার্ক পায় না। খুব কষ্ট হয়। তাই সে টিউটেরিয়াল, মিডটার্ম, টার্ম পেপার কিছুই জমা দিতে পারেনি।

কয়দিন আগে সাজেক বেড়াতে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে পড়েছিলাম বিপত্তিতে।

একটি নেটওয়ার্ক ছাড়া কোনো টেলিকমের নেটওয়ার্কেই সুযোগ নেই। আচ্ছা, তাহলে গণমাধ্যমে টেলিকম কোম্পানির যে বিজ্ঞাপনগুলো দেখি, পাহাড়ে, জঙ্গলে সবখানেই, এ বিজ্ঞাপনগুলো কী তাহলে ভুল? না-কি বিজ্ঞাপনের জন্য বিজ্ঞাপন?

মনে মনে ভাবি, যদি এমন হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটের একটি অংশ যদি শিক্ষাথীদের ল্যাপটপ, ডিভাইসের জন্য বরাদ্দ হয়, তাহলে কেমন হয়? বিষয়টি নিয়ে মতামত গ্রহণের জন্য সামাজিক মাধ্যমে কৌতূহল নিয়ে লিখলাম, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটের একটি অংশ দিয়ে ১৫ হাজার শিক্ষার্থীকে ২০ হাজার টাকা মূল্যের ল্যাপটপ দিলে খরচ হবে মাত্র ৩০ কোটি টাকা। মতামতটি দেওয়ার পর নানাজন নানা মন্তব্য করলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক লিখলেন, ‘খুবই ভালো প্রস্তাব। এভাবে বসে থাকলে আসলে কোনো লাভ নেই। তবে আমার ভয় অন্য জায়গায়। এই যে ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেবে, সেটা ছাড়িয়ে আনতে প্রথমে কমিশন বাণিজ্য হবে। এরপর যাদের কাছ থেকে কম্পিউটার কিনবে, তারা নিম্নমানের পণ্য সাপ্লাই দেবে। চড়া ভাউচার শো করবে। এরপর সেই পণ্য মেন্টেনেন্সের কোনো বরাদ্দ থাকবে না। আর সবাই সরকারি জিনিস বলে যথেচ্ছ নষ্ট করবে। এভাবে বাংলাদেশ কীভাবে চলবে, কোথায় শেষ হবে এসব’। এই মন্তব্যটি পড়ে নিজের কাছেই ছোট মনে হচ্ছিল। কয়েকজন দুর্নীতিবাজ লোভী এবং চাটুকারের জন্য সবার কথা শুনতে হয়।

আরেকজন লিখেছেন, গ্রামের অনেক এলাকা আছে, যেখানে নেট স্পিড পাওয়া যায় না, তারা কী করবে? অনলাইন ক্লাস দারুণ প্রস্তাব। কিন্তু সবাই যাতে ক্লাস করতে পারে সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমরা বাংলাদেশে বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করি, সবার সুযোগ সুবিধা দেখতে হবে। সত্যিইতো, শিক্ষা সবার জন্য সমান। এজন্য প্রয়োজন টেলিকম কোম্পানিগুলোর নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করা।

একজন শিক্ষার্থী লিখেছেন, ‘ম্যাডাম চিন্তাটা সুন্দর, বিউপি ইতোমধ্যে এমন উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। তবে সবাইকে গণহারে ল্যাপটপ বিতরণ না করে যাদের প্রয়োজন কিংবা নেই তাদের তালিকা কাজটা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, এতে আরও কম বাজেটের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা যাবে। আর বাকি টাকা দিয়ে ইন্টারনেট ও আনুষঙ্গিক খরচের ব্যবস্থা করা যাবে। ’ একজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে কত সুন্দর একটি প্রস্তাব। তাই তো, গণহারে ল্যাপটপ দিয়ে কী হবে, যাদের নেই তাদের দিতে হবে।

আরেক শিক্ষার্থী লিখেছেন, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি বছরের প্রবেশিকায় সদ্য ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা নতুন ল্যাপটপ পাবে। এমন হলে বিষয়টা খুব ভালো হতো। আবার চার বছরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ব্যাংকের মাধ্যমে প্রতি মাসে কিছু টাকা জমা নেবে, শিক্ষার্থীদের ল্যাপটপের মূল্য বাবদ। প্রতিমাসে ৩০০ থেকে ৫০০ হলে চার বছরে অনেক টাকাই আবার বিশ্ববিদ্যালয় কোষাগারে জমা পড়বে। এতে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সঞ্চয়ের প্রবৃত্তিও গড়ে উঠবে।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চাইলেই এটা করতে পারে। ব্যাপারটা সদিচ্ছার। একজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে কত সুন্দর প্রস্তাব পেলাম। আশ্বস্ত হই, এই শিক্ষার্থীরা একদিন দেশের হাল ধরবে। তখন হয়তো তারাই বিভিন্ন সেক্টরের কালো বিড়ালগুলোকে হটিয়ে দেবে। সুন্দর একটি দেশ গড়বে।

আরেকজন লিখেছেন, ‘সবাইকে না দেবার প্রস্তাব থাকলে, যারা পাওয়ার তারা পাবে না। সেখানে স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি এবং চাঁদাবাজির সুযোগ বেশি। বিভিন্ন ধরনের ভাতার ক্ষেত্রে আমরা দেখে থাকি এমন’। কতটা দুর্ভাগা জাতি আমরা দুর্নীতি হচ্ছে, সাধারণ মানুষ বুঝতে পারছে। কিন্তু নির্লজ্জ দুর্নীতিবাজরা দুর্নীতি করেই যাচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকজন শিক্ষক লিখেছেন, ‘অনলাইনের ক্লাসের ব্যাপারে স্টুডেন্টদের চেয়ে কিছু শিক্ষক বেশি অনাগ্রহী। কারণ অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে একজন শিক্ষকের জবাবদিহিতা চলে আসবে। আই মিন ক্লাসে কী পড়াচ্ছেন বা কতটা পড়াচ্ছেন বা কতটা নৈতিক দায়িত্ব পালন করছেন বা কতটা নৈতিক দায়িত্ব পালন করছেন। ’

মন্তব্যগুলো পড়ার পর মনে হলো, আমার ছেলেটার কাছে জানতে চাই, অনলাইন ক্লাসে ওর উপকার কেমন, সে বলল, অনলাইন ক্লাস হওয়াতে সকালে ঘুম থেকে উঠে স্কুলে যাবার ঝামেলা নেই। ঘরে বসে ক্লাস করতে পারছি। শিক্ষক এখন বেশি প্রস্তুতি নিয়ে ক্লাসে আসছেন। ক্লাসগুলো আগের চেয়ে গোছানো হচ্ছে। সে ঢাকা রেসিডেনসিয়ালে পড়ছে। তার কলেজ থেকে অনলাইনে পরীক্ষাও হয়েছে এবং অসচ্ছল দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য ডিভাইস কিস্তিতে কেনার ব্যাপারে কলেজ থেকে উদ্যোগও গ্রহণ করা হয়েছে। যদিও ডিভাইসের জন্য আবেদন পড়েছে খুব কম।

শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, আমাদের অনলাইন শিক্ষাব্যবস্থায় কয়েকবছর পর যেতেই হতো। করোনা পরিস্থিতির কারণে আমাদের আগে করতে হলো। রূপকল্প-২০৪১ ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হলে আমাদের জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তরিত করতে হবে। শিক্ষার্থীদের নতুন দক্ষতা অর্জনের প্রয়োজন রয়েছে। সুতরা, অনলাইন শিক্ষাই তাদের জন্য বড় সহায়ক হতে পারে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাকদের মাইন্ড সেট পরিবর্তন করতে হবে। ’

শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আমি একমত। কেননা, আমাদের ইন্টারনেট স্পিড নেই। ডিভাইস নেই। এটা নেই, ওটা নেই, এসব ভাবতে ভাবতে দেখা যাবে এ বছরটাই শেষ হয়ে গেছে। চাইলে ক্লাসগুলো রেকর্ড করে ইউটিউবে এতদিনে দিয়ে দেওয়া যেত। অথবা সেমিস্টার শুরুতে যদি শিক্ষার্থীদের পাঠ পরিকল্পনাগুলো দিয়ে দেওয়া যেত, তাতেও তেমন ক্ষতি হতো না। চিরাচরিত সনাতন চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসা সময়ের দাবি। বিশ্ব যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, সেভাবেই এগোতে হবে। কারণ, করোনা কতদিন থাকবে, তার ভবিতব্য আমরা জানি না।

অস্ট্রেলিয়ার একটি প্রতিষ্ঠান প্রধানের সঙ্গে সেদিন এসব বিষয় নিয়ে কথা বলছিলাম। তিনি বললেন, এখন অস্ট্রেলিয়ার কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলে রাখা জমি বিক্রি করছে। এই বিক্রয়লব্ধ অর্থ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে বহুতল ভবন নির্মাণ করবে। এখন তো বহুতল ভবনেই অনেক বিভাগ নিয়ে কাজ করা যায়।

মোদ্দাকথা, শিক্ষাঙ্গনের সমস্ত বিষয়গুলো ঢেলে সাজানো দরকার এখন। বিশ্ববিদ্যালয় হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো। বিশ্বের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় যেভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে, সেভাবেই চলতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়। যোগ্য ও মেধার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ, শিক্ষকদের জন্য গবেষণা বরাদ্দ, মানসম্মত গবেষণাগার, আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন হাসপাতাল, ভার্চ্যুয়াল ক্লাসরুম, অনলাইন লাইব্রেরি, আন্তর্জাতিক জার্নালগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ, ডাইনিং সেবা, গণরুম, মুক্ত হল এবং সংকীর্ণ আঞ্চলিক রাজনৈতিক মুক্ত একটি ক্যাম্পাস  একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্র হতে পারে। মানসম্মত গ্র্যাজুয়েট তৈরি করতে হলে মানসম্মত সুবিধা দিতে হবে। ২০২০-২০২১ বাজেটে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ রয়েছে। বরাদ্দ করা অর্থ স্বচ্ছতার সঙ্গে ব্যয় করলে মনে হয় না অভাব থাকবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশন শুরুতে সমস্ত পাঠ পরিকল্পনা, লেকচারসহ প্রদান করা থাকলে সময়মতো পরীক্ষা, পরীক্ষার ফলাফল সময়মতো প্রকাশ, সেশন জট মুক্ত ক্যাম্পাস এগুলো বাস্তবায়ন করতে শারীরিক কোনো পরিশ্রমের প্রয়োজন হয় না। প্রয়োজন শুধু সদিচ্ছার এবং সনাতন মানসিকতার পরিবর্তন।

গত ২২ জুন আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারে শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কথা বলার সুযোগ হয়েছিল। সেখানে কথা বলার জন্য বাংলাদেশের সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশকিছু উপাচার্য মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। কথা হয়েছিল নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহোদায়ের সঙ্গে। তিনি জানালেন, অনলাইনে ক্লাস নেবার বিষয়ে তিনি প্রথমে অনলাইনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এরপর শিক্ষক সমিতির সঙ্গে কথা বলেছেন। এরপর ভার্চ্যুয়ালি একাডেমিক কমিটির সভা করেছেন। এরপর যতটুকু সম্ভব অনলাইনে ক্লাস গ্রহণ করছেন।

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত অনলাইনে ক্লাস হয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্যের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার বিশ্ববিদ্যালয় ২০০৭ সন থেকে অনলাইনে পাঠদান করে থাকে। করোনার লকডাউনে কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি তাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবকরা শিক্ষার্থীদের জন্য যথেষ্ট আন্তরিক এবং শিক্ষকরাও আন্তরিক।

তাহলে বাধা কোথায়?
প্রত্যন্ত অঞ্চলে নেটওয়ার্কে সমস্যা, শিক্ষার্থীদের ডিভাইসের সমস্যা, এই দুটোই। প্রথম সমস্যাটি টেলিকম কোম্পানিগুলো সমাধান করতে পারে। শিক্ষার্থীদের জন্য সুলভে ডাটা প্যাকেজ দিতে পারে। ব্যাংকগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে স্টুডেন্ট লোনের ব্যবস্থা করতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ল্যাপটপ কেনার ব্যবস্থা করে দিতে পারে। শিক্ষার্থী সেই টাকা পুরো শিক্ষাজীবনে মাসভিত্তিতে পরিশোধ করতে পারে।

গত ২৯ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের এক ভার্চ্যুয়াল আলোচনায় শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সম্পূর্ণ অনলাইন ক্লাস শুরু না করার পেছনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মনস্তাত্ত্বিক অবস্থা বড় বাধা। আমাদের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে যে ডিজিটাইলেজশন, বিশেষ করে আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে ডিজিটাইজেশন প্রয়োজন ছিল, সেই ডিজিটালাইজেশন হয়নি। তার থেকে বড় কথা আমাদের মাইন্ড সেটটা কিন্তু পরিবর্তন হয়নি। আমরা কী বলব আমাদের অনলাইনে সমস্যা? সেহেতু আমরা অনলাইনে যাব না? তাহলে আমাদের এই শিক্ষার্থীদের জীবন থেকে কতগুলো দিন, কতগুলো মাস ঝড়ে যেতে দেব? সারাবিশ্বে স্টুডেন্ট লোনের ব্যবস্থা আছে। আমরা আমাদের এখানে সেটা নিয়ে এখনও চিন্তা করব না, তা তো হয় না। আজকে যদি আমরা বলি আমি অনলাইনে পড়াতে পারি না, এটা গ্রহণযোগ্য নয়। আজকে যদি বলি আমার এক্সেস নেই, কতদিনের মধ্যে এক্সেস দেওয়া যায়, কেন এক্সেস নেই, কোথায় সমস্যা, কীভাবে আমরা সেই সমস্যা সমাধান করতে পারি...।

তবে সবকিছু ছাপিয়ে এখন এগিয়ে যেতে হবে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলায়। ২০১৬ সালে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের প্রধান ক্লাউস শোয়াইব এই বিপ্লবের কথা বলেন। নইলে প্রচলিত নিয়মে গ্র্যাজুয়েট তৈরি হলে ২০৩০ সনে সমাজে আর এদের চাহিদা থাকবে না। যদিও সরকার চতুর্থ বিপ্লবের বিষয়ে কাজ শুরু করেছে। একটি সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য এখনই সময় শিক্ষা সংক্রান্ত সুন্দর নীতি পরিকল্পনা প্রণয়নের। সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে মিলবে মুক্তি। শিক্ষার্থী পাবে স্বস্তি।

লেখক: সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, লোকপ্রশাসন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২০
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।