ঢাকা, রবিবার, ৩০ ভাদ্র ১৪৩১, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বিএনপির ২৭ দফা রাষ্ট্র নির্মাণের ঐতিহাসিক সনদ: জাগপা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২২
বিএনপির ২৭ দফা রাষ্ট্র নির্মাণের ঐতিহাসিক সনদ: জাগপা ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান

ঢাকা: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান। বলেছেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে বর্তমান বিপর্যয়মুখী রাষ্ট্রকে নতুন সংস্কারে বিএনপি তথা তারেক রহমান কর্তৃক ২৭ দফা প্রস্তাবনা আগামীর রাষ্ট্র নির্মাণের ঐতিহাসিক সনদ হিসেবে জনগণ গ্রহণ করেছে।

বুধবার (২১ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর আসাদগেট জিইউপি মিলনায়তনে জাগপা ঘোষিত ১০ দফার আন্দোলন নিয়ে আগামী ২৪ ও ৩০ ডিসেম্বরে কর্মসূচি পালনে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে বিশ্বায়ন রূপে গড়ে তুলতে বিএনপির এই প্রস্তাবনা বিশ্ব প্রসংশনীয়। প্রস্তাবিত দফাগুলো দেশের  সর্বত্র সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। জনগণের মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই ২৭ দফাই হবে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার চাবি। আমরা আশা করি তারেক রহমানের হাতেই সূচনা হবে প্রতিহিংসামুক্ত রাজনীতি। গড়ে উঠবে স্বনির্ভর বাংলাদেশ। জনগণ ফিরে পাবে বাকস্বাধীনতা। মেধাবী বেকার তরুণরা পাবে কর্মসংস্থান। রাষ্ট্র হবে লুটপাট ও দুর্নীতিমুক্ত। শ্রমিকদের প্রতি কোনো বৈষম্য থাকবে না। তাই সব আশার আলো জ্বালিয়ে তারেক রহমানই হবেন আগামীর রাষ্ট্রের প্রদীপ এবং স্বপ্নদ্রষ্টা।

তিনি বলেন, মরহুম শফিউল আলম প্রধান আমৃত্যু বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের পক্ষে অর্থাৎ শহীদ জিয়া, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার পাশে থেকেই সংগ্রাম করে গেছেন। আমরা বাবা-মাকে হারিয়ে এতিম হয়ে গেলেও দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান আমাদের প্রেরণা এবং শক্তি। জাগপা এবং আমি বিশ্বাস করি খালেদা জিয়া আমাদের মাতৃতুল্য নেত্রী এবং তারেক রহমান আমাদের নেতা। রাষ্ট্র সংস্কারের আন্দোলনে জাগপা সব সময় বিএনপির নেতৃত্বে অতীতেও রাজপথে ছিল, এখনো আছে, ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতেও থাকবে।

তাসমিয়া প্রধান আরও বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে তারেক রহমানের প্রস্তাবনা সব নারীর জন্য একটি মাইলফলক ইতিহাস ছাপিয়ে যাবে। নারীর প্রতি তারেক রহমান ও বিএনপির এই সম্মান রাষ্ট্রের সুশাসন ও সুখ-সমৃদ্ধি গঠনে বড় ভূমিকা রাখবে। সুতরাং নারীর জাগরণেই হবে রাষ্ট্রের আরেকটি মেরুদণ্ড।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন জাগপার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য আবু মোজাফফর মো. আনাছ, আসাদুর রহমান খান, নিজামুদ্দিন অমিত, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি ও রাজনৈতিক মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, সদস্য রিয়াজ রহমান,  ঢাকা মহানগর নেতা আশরাফুল ইসলাম হাসু, আসাদুজ্জামান বাবুল, যুব জাগপা সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জি. মো. সিরাজুল ইসলাম, জাগপা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুর রহমান ফারুকী, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র সরকার প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২২
এমএইচ/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।