ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

যুগপৎ আন্দোলন করবে না এবি পার্টি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২২
যুগপৎ আন্দোলন করবে না এবি পার্টি

ঢাকা: যুগপৎ নয়, স্বতন্ত্র বজায় রেখে দুই দফা দাবিতে সর্বাত্মক আন্দোলন চালিয়ে যাবে এবি পার্টি।

সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বিজয় নগরে এবি পার্টির কেন্দ্রীয় দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন দলটির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু।

সংবাদ সম্মেলন থেকে অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার অথবা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন ও রাষ্ট্র মেরামতে জাতীয় ঐকমত্যের দুই দফা দাবিতে আগামী ২৯ ডিসেম্বর ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি।  

দলের আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। তিনি স্বাগত বক্তব্যে বলেন, গত ১৪ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসন আজ দেশকে খাদের কিনারায় নিয়ে ঠেকিয়েছে। সম্মতিহীন দুঃশাসন, আর্থিক খাতে অব্যস্থাপনা, দুর্নীতি ও লুটপাটে দেশের মানুষের আজ নাকাল অবস্থা। ২০১৪ সাল থেকে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না থাকার কারণে রাষ্ট্রের সব পর্যায়ে আজ জবাবদিহিতাহীন ফ্যাসিবাদ কায়েম হয়েছে। রাজনৈতিক এ অচলায়তনের দায় একমাত্র সরকারি দলের।

সংবাদ সম্মেলনে সমসাময়িক রাজনৈতিক সংকট নিয়ে এবি পার্টির অবস্থান তুলে ধরে সদস্য সচিব মঞ্জু বলেন, বিজয়ের মাসে সারাদেশে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলা, খুন, গণগ্রেফতার, ঢাকার মহাসমাবেশকে ঘিরে রাজধানীকে অবরুদ্ধ করবার প্রয়াস কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। সরকার দলীয় নেতারা ‘খেলা হবে’ ‘খেলা হবে’ বলে যে উস্কানি দিচ্ছেন তার ফল আমরা সারাদেশে দেখতে পাচ্ছি।  

বিএনপি’র ১০ দফা ও ২৭ দফাকে স্বাগত জানিয়ে মঞ্জু বলেন, মূলত এ মূহূর্তে দেশের মানুষের মৌলিক দাবি দুটি। একটি হলো স্বৈরশাসন থেকে মুক্তির লক্ষ্যে এ সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সেই সরকারের অধীনে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। প্রয়োজনে এ নির্বাচন জাতিসংঘের অধীনে করার জন্য আমরা দাবি জানাচ্ছি। দ্বিতীয়টি হলো বাংলাদেশ রাষ্ট্র মেরামত করার জন্য একটি ঐকমত্যের রূপরেখা, যা হবে সব দলের সম্মতিতে একটি জাতীয় অঙ্গীকার এবং তা হতে হবে অলঙ্ঘনীয়।

বর্তমান সময়ের কোটা সংস্কার আন্দোলন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে কিশোর বিদ্রোহ, ভ্যাটবিরোধী আন্দোলন- এসব মুক্তিসংগ্রামের ঐতিহাসিক পথ ধরে দেশের জনগণ আজ আবারও শোষক ও শোষিত দুই শ্রেণিতে বিভক্ত। দুর্ভাগ্যজনকভাবে যে আওয়ামী লীগ আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলন ও গণতন্ত্রের সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছিল সেই আওয়ামী লীগ আজ বাংলাদেশে ভয়ঙ্কর শোষক আকারে হাজির হয়ে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে। যেই শোষক ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমরা সমগ্র শোষিতরা দল মত নির্বিশেষে আজ আবার ঐক্যবদ্ধ।

সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন দলের আহ্বায়ক ও সাবেক সচিব এএফএম সোলায়মান চৌধুরী, যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার, অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, গোলাম ফারুক ও আনিছুর রহমান কচি। এ সময় দলের যুগ্ম সদস্য সচিব, সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব, ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণ, যুব পার্টি ও মহিলা পার্টির প্রতিনিধিসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২২
এমএইচ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।