ঢাকা, শনিবার, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ মে ২০২৪, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

আ. লীগ পায়ে পা দিয়ে ঝগড়ার চেষ্টা করছে: দুদু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৩
আ. লীগ পায়ে পা দিয়ে ঝগড়ার চেষ্টা করছে: দুদু

ঢাকা: পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দিয়ে আওয়ামী লীগ পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।

তিনি আরও বলেছেন, এই পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি তাদের (আওয়ামী লীগ) জন্য একদিন বেদনাদায়ক হয়ে দাঁড়াতে পারে।

তখন এর দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে।

শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ‘ভোটের অধিকার ফিরে পেতে চাই’ শীর্ষক এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনটি আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী গণতন্ত্র পরিষদ।

মানববন্ধনে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আমরা (বিএনপি) কর্মসূচি দিলেই, সরকার বা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কর্মসূচি দেওয়া হয়। বিরোধীদল যে সময় যে জায়গায় কর্মসূচি ঘোষণা করে, ঠিক সেই জায়গায় ওই সময় তারা কর্মসূচি ঘোষণা করে। এত বড় স্বৈরাচার ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলেও দেখা যায়নি।  

বর্তমান সরকার আর বেশি দিন ক্ষমতায় থাকতে পারবে না মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, এই স্বৈরাচারদের পতন নিকটে। কারণ বাংলাদেশ তৈরি হয়েছে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার জন্য। এই দেশে স্বৈরাচারদের স্থান নেই।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, যে জাতি গণতন্ত্র ও অধিকারের জন্য এক সাগর রক্ত দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছে, স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও তারা ন্যূনতম অধিকার পাচ্ছে না। নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে পারছে না।

আওয়ামী লীগ সরকারকে ঠক, মিথ্যেবাদী আখ্যায়িত করে তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ দাবি করে, তারা ক্ষমতায় এলে দেশে উন্নয়ন হয়। বাস্তবে আওয়ামী লীগের ক্ষমতাকালে দেশ থেকে ১৪ হাজার কোটি বিদেশে টাকা পাচার হয়েছে। তারা (আওয়ামী লীগ) ক্ষমতায় এলে টাকা পাচার, দুর্নীতি, গুম, খুন ছাড়া আর কিছু হয় না।

বর্তমানে দেশে নির্বাচন বলতে কিছু নেই মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করবো। জাতীয় সংসদ বাতিল হবে৷ নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে।

বর্তমান সরকারের পতন ঘটাতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিচার ব্যবস্থাসহ সবকিছু দলীয়করণ করা। এর থেকে বেরিয়ে আসতে হলে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আর দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে।

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, জিনাফ-এর সভাপতি মিয়া মো. আনোয়ার, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, জাতীয়তাবাদী গণতন্ত্র পরিষদের সভাপতি মোখতার আকন্দ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৩
এসসি/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।