ঢাকা: আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তারা মনে করেছে যে এভাবে করে নির্বাচন করবে। আবারও তারা এভাবে জনগণকে শোষণ করবে, জনগণের সম্পদ লুটপাট করবে।
শনিবার (৪ মার্চ) রাজধানীর উত্তরায় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ দফা দাবি আদায়ে পদযাত্রায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা সমমনা দলগুলো গত সেপ্টেম্বর থেকে সারা দেশে আন্দোলন করছি। এ আন্দোলন জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার আন্দোলন। তারই অংশ হিসেবে আমাদের এ পদযাত্রা কর্মসূচি।
সব নিত্যপণ্যের দাম বিএনপির আমলের তুলনায় বেশি উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষ আজ কষ্টে আছে। দুই মাসের মধ্যে ১৫ পার্সেন্ট বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। এর ফলে কৃষিক্ষেত্রে খরচ বেড়ে যাচ্ছে। কল-কারখানার খরচ বেড়ে যাচ্ছে।
জনগণকে উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমি আপনাদের আহ্বান জানাবো শান্তিপূর্ণভাবে এ আন্দোলনকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান। আমাদের এ আন্দোলন বিএনপিকে ক্ষমতায় নেওয়ার জন্য নয়। আমাদের এ আন্দোলন জনগণের অধিকার ফিরে পাওয়ার আন্দোলন। মানুষের যে কথা বলার অধিকার, সে অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার আন্দোলন। কথায় কথায় যারা মামলা দেয়, রাতের বেলা তুলে নিয়ে যায়, এ ভয় দেখিয়ে আমাদের লাভ আছে? ১৫ বছর ধরে আমরা এ আন্দোলনে আছি। আন্দোলনে থাকবো।
সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমানউল্লাহ আমান বলেন, আজকে এ পদযাত্রা প্রমাণ করে, জনগণের অংশগ্রহণ প্রমাণ করে বিএনপি যে ১০ দফা দাবি দিয়েছে, এ দবির প্রতি ঢাকার জনগণ সমর্থন দিয়েছে। ১০ দফার যে প্রথম দফা এ অনির্বাচিত, ভোট ডাকাত, ভোট চোর সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। দেশে নির্বাচন হতে হলে এমন নির্বাচন হবে যে নির্বাচনে বিএনপি যাবে, সে নির্বাচন হবে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। শেখ হাসিনা নিরপেক্ষ নয়। জনগণের প্রতি সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা নেই।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উত্তরা পূর্ব থানা বিএনপির আহ্বায়ক শাহ আলম। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০২৩
এমকে/আরবি