বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ফ্যাসিবাদের পক্ষে যারা গণমাধ্যমকে ব্যবহার করেছে, তাদের আর টিকে থাকার কোনো অধিকার নেই। শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করে সত্য প্রকাশ বন্ধ করা হয়েছে, গুম-খুনের ঘটনাকে আড়াল করতে অপপ্রচার চালানো হয়েছে।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে দৈনিক বার্তার মাল্টিমিডিয়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, গণমাধ্যমের ভূমিকা আজ ভয়াবহভাবে সংকুচিত। ফ্যাসিবাদের সাফাই গাওয়া কিছু গণমাধ্যমের কারণে গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে গণমাধ্যমকে দমন করে সত্যের কণ্ঠরোধ করা হয়েছে। এমন একটি দায়িত্বশীল পত্রিকা সমাজ ও রাষ্ট্রের বিভাজনের সময় খুব জরুরি। গণমাধ্যমের কণ্ঠস্বর ক্ষীণ হলেও সত্য বলার একটি স্পেস থাকা দরকার।
রিজভী অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করে প্রতিটি গুম-খুনকে আড়াল করেছে এবং ভিন্নমতের মানুষকে ‘জঙ্গি’ আখ্যা দিয়ে দমন করেছে।
তিনি আরও দাবি করেন, শেখ হাসিনা আন্দোলন দমন করতে হেলিকপ্টার থেকে বোমা হামলার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এমনকি তার নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের হত্যা করার প্রস্তাব দিয়েছেন।
তিনি ইতিহাস টেনে এনে বলেন, ফ্যাসিবাদী ইতালি কিংবা নাৎসি জার্মানিতে স্বৈরাচারের দালাল মিডিয়াগুলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর টিকে থাকতে পারেনি। তাই বাংলাদেশের গণতন্ত্রবিরোধী শক্তির সাফাই গাওয়া মিডিয়ারও প্রয়োজন নেই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচন প্রসঙ্গেও রুহুল কবির রিজভী সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ডাকসু নির্বাচনের ব্যালট পেপার নীলক্ষেতে ছাপা হচ্ছে—এমন সন্দেহ অমূলক নয়। অথচ চিফ রিটার্নিং অফিসার আওয়ামী লীগের ভাষায় কথা বলছেন। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদাহানিকর।
তিনি আরও বলেন,গণমাধ্যমের দায়িত্ব হলো সত্য তুলে ধরা, শাসকের বন্দনা করা নয়। বিবেকবান সাংবাদিক জাতির বিবেকের প্রতিনিধিত্ব করেন।
অনুষ্ঠানে তিনি দৈনিক বার্তাকে ‘গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কণ্ঠস্বর’ হিসেবে গড়ে তুলতে সম্পাদক মাহমুদ আনোয়ারসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি শুভকামনা জানান।
ডিএইচবি/জেএইচ