ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

জামায়াতকে ১০ বছর পর প্রকাশ্যে সভার অনুমতি কিসের আলামত: মেনন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪০ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২৩
জামায়াতকে ১০ বছর পর প্রকাশ্যে সভার অনুমতি কিসের আলামত: মেনন ফাইল ফটো

ঢাকা: জামায়াতকে ১০ বছর পর প্রকাশ্যে সভা করার অনুমতি দেওয়া কিসের আলামত প্রশ্ন রেখে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের নেতা রাশেদ খান মেনন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার পেছনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কালো হাত ছিল।

বুধবার (১৪ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আগামী ২০২৩-২৩ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি  এ মন্তব্য করেন।

 

জাতীয় সংসদের এ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

রাশেদ খান মেনন বলেন, হঠাৎ করেই আমরা দেখলাম যে জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধকরার জন্য আইনমন্ত্রী মাঝে মাঝেই সরকারের উদ্যোগের কথা বলেন সে জামায়াতকে পুলিশ বেশ সমাদর করে অন্যের সভা সরিয়ে নিতে বাধ্য করে ১০ বছর পর প্রকাশ্য সভা করার অনুমতি দিয়েছে। এটি কিসের আলামত আমরা জানি না। এটি স্পষ্ট করে বলা প্রয়োজন জামায়াত যুদ্ধাপরাধী ও ঘাতক দল। যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাদের রায়ে এ কথা বলেছে। এর জন্য নতুন করে আদালতের রায়ের প্রয়োজন নেই। জামায়াত কিন্তু তার অবস্থান থেকে এক চুলও সরেনি। ওই সমাবেশ করে নির্বাচন নিয়ে বিএনপির দাবিরই পুনরাবৃত্তি করেছে। বিএনপির সাবেক নেতা নাজমুল হুদা বলেছিলেন বিএনপি-জামায়াত একই বৃন্তের দুটি ফুল। যে কথাটি আমি সব সময় বলি, এখনও বলছি সাপের মুখে চুমু খেলে সাপ ছোবলই মারে। জামায়াত-হেফাজতের সঙ্গে তোষামোদ-সমঝোতা সে ফলই দেবে।

মেনন বলেন, ওই একই কথা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য প্রযোজ্য। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যারা বন্ধু, তাদের শত্রুর প্রয়োজন নেই। বেশ কিছু সময় আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে তার বাগে রাখতে স্যাংশন দিয়েছে। এখন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে। এটি কেবল, দূরভিসন্ধিমূলকই নয়, তাদের ‘রেজিম চেঞ্জে’র কৌশলের অংশ। তারা সেন্টমার্টিন চায়, কোয়াডে বাংলাদেশকে চায়। আর তার জন্য শেখ হাসিনাকে সরিয়ে দেওয়া প্রয়োজন। এটি তাদের পুরোনো নীতির ধারাবাহিকতা।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিজয়কে ছিনিয়ে নিতে তারা বঙ্গোপসাগরে সপ্তম নৌ-বহর পাঠিয়েছিল। তীব্র খাদ্য সংকটের সময় বঙ্গবন্ধুর সরকারকে বিব্রত করতে মধ্যসমুদ্র থেকে গমের জাহাজ ফিরিয়ে নিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে তাদের কালো হাত ছিল। এখন আবার বর্তমান সরকারকে হটানোর লক্ষে তারা সব কিছু করছে। প্রধানমন্ত্রীর অবস্থানের প্রতি পূর্ণ সমর্থন করে আমি বলতে চাই বাইডেন সাহেব ট্রাম্পকে সামলান। আমাদের ঘর আমরা সামলাবো। নির্বাচন হবে। শেখ হাসিনার সরকারকে রেখেই হবে। বিএনপির উচিত হবে নির্বাচনে অংশ নেওয়া। তারেক রহমান নির্বাচন না করে ২০২৯-এর জন্য অপেক্ষা করতে পারে। কিন্তু বিএনপি এর মধ্যে অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে। তার সেই স্বপ্নও পূরণ হবে না। বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে, এগিয়ে যাবে। উন্নত সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ পৃথিবীতে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২৩
এসকে/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।