ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সভার ছবি তুললেন পুলিশ কর্মকর্তা, ক্ষুব্ধ রিজভী যা বললেন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৬ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২৩
সভার ছবি তুললেন পুলিশ কর্মকর্তা, ক্ষুব্ধ রিজভী যা বললেন

ঢাকা: স্মরণসভা চলাকালীন এক পুলিশ কর্মকর্তার ডায়াসের ছবি তোলার ঘটনায় কঠোর সমালোচনা করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

এই সরকার পুলিশকে প্রাইভেট বাহিনীতে পরিণত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

শনিবার (১৭ জুন) ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে শহীদ শাহ মাঈনুল আহসান চৌধুরী পিংকু'র ৪৩তম স্মরণ দিবস উপলক্ষে এ স্মরণ সভার আয়োজন হয়।

শহীদ পিংকু স্মৃতি সংসদ রাজশাহী আয়োজিত এ স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রুহুল কবির রিজভী।  

সভা চলাকালীন এক পুলিশ কর্মকর্তা ছবি তুলে গেলে নিজের বক্তব্যে সে প্রসঙ্গ তুলেন রিজভী।

তিনি বলেন, এই মঞ্চে যারা বসে আছেন একজন মন্ত্রী ছিলেন, আরেকজন রাষ্ট্রদূত ছিলেন, পোশাক পরা পুলিশ এসে ছবি তুলে নিয়ে যাচ্ছে। একটা ভয়ংকর দুঃশাসন না থাকলে পুলিশ এখানে এসে ছবি তুলে নিয়ে যায়? আমরা এখানে একটি স্মরণসভা করছি, দেশের বরেণ্য নেতৃবৃন্দ এখানে উপস্থিত আছেন। অথচ পুলিশ এসে ছবি তুলে নিয়ে যায়। একটি রুদ্ধশ্বাস, শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির মধ্যে আমরা বসবাস করছি বলেই এই ধরনের অসদাচারণ।

এ বিএনপি নেতা আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এখন আইনের কাছে দায়বদ্ধ নয়; জনগণের কাছে নয়; তারা দায়বদ্ধ শেখ হাসিনার কাছে। শেখ হাসিনা এখন পুলিশকে প্রাইভেট বাহিনীতে পরিণত করেছেন।

জিয়াউর রহমান দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন মন্তব্য করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, জিয়াউর রহমান ইতিবাচক রাজনীতি করতেন। তিনি দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। সেই গণতন্ত্র যখন আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে তখন তারই সহধর্মিনী শুধু অক্লান্ত পরিশ্রম নয়, নিপীড়ন- নির্যাতন সহ্য করে তিনি ছেলেকে ফিরিয়ে আনার সংগ্রাম করছেন। আর তাদের সুযোগ্য ছেলে তারেক রহমান অনেক দূর থেকে দিন-রাত পরিশ্রমের মধ্যে দলকে একত্রিত করে আজ সুসংগঠিত করেছেন। আর এটাই হচ্ছে (বিএনপির প্রতি) প্রধানমন্ত্রীর সব থেকে বড় রাগ, ক্ষোভ এবং বিদ্বেষের কারণ। এই প্রতিহিংসা থেকে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) কখনোই বের হতে পারবেন না।  

তিনি বলেন, গণতন্ত্রের শক্ত খুঁটি হল তার প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে আদালত, প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন এবং মিডিয়া। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যে দেশে নিশ্চিত হয় না সেটা গণতান্ত্রিক দেশ না, সেটা নাৎসিবাদী দেশ। যে দেশে আদালত স্বাধীনভাবে বিচার করতে পারে না সেটা কোনোভাবেই গণতান্ত্রিক দেশ না।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের ভাষা যখন হয় সরকারি দলের ভাষা, নির্বাচন কমিশনের বিবৃতি যদি হয় ভোটচোরদের মতো - বুঝতে হবে সে দেশের সকল নাগরিক স্বাধীনতাহীনতায় ভুগছে।  

সিইসির সমালোচনা করে রিজভী বলেন, বরিশালের নির্বাচন নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যে আমি অবাক হয়েছি। তিনি বললেন সেখানে সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু সেখানে দেখলাম একজন মাওলানা, সেই মেয়রপ্রার্থী তার দাঁত ভেঙে দেওয়া হয়েছে। মাওলানা সাহেব নিহত হলে তারা হয়ত বলতো নির্বাচন কিছুটা সংঘাতপূর্ণ হয়েছে, সহিংসতা হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কথায় তাই মনে হয়। এটাকে বলা হয় ফ্যাসিবাদী শাসন, এটাকেই বলা হয় গণবিরোধী শাসন।  

স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) সভাপতি ডা. হারুন আল রশিদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২৩
ইএসএস/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।