ঢাকা: শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার কোনো ধরনের চাপ অনুভব করছে না বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার (৫ জুলাই) তথ্য মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি: সংবাদপত্রে প্রতিফলন’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
আন্তর্জাতিক ও ভূরাজনীতির কারণে সরকার কোনো চাপ অনুভব করছে কি না- জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার কোনো চাপে নেই। ২০১৩-২০১৪ সালের আন্দোলন ও সহিংসতা আমরা সামাল দিয়েছি। সেরকম আন্দোলন করার সামর্থ্য এখন আর বিএনপির নেই।
তিনি বলেন, আমরা জানি কখন কী করতে হবে। সুতরাং আমরা কোনো চাপ অনুভব করছি না। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আগামী নির্বাচনে জনগণ ব্যাপকভাবে অংশ নেবে। বিএনপি সিটি করপোরেশন নির্বাচন বর্জন করে জনগণকেও বর্জন করার আহ্বান জানিয়েছিল, তাদের দলীয় কর্মী-সমর্থকদেরও আহ্বান জানিয়েছিল ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য। তাদের এত প্রচারণা-আহ্বানের মধ্যেও গড়ে ৫০ শতাংশ ভোট পড়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচনেও জনগণ ব্যাপকভাবে অংশ নেবে। গণতন্ত্রের মূল বিষয় হচ্ছে, জনগণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে কি না। বিএনপির অংশগ্রহণকে আমরা অবশ্যই স্বাগত জানাই। বিএনপি যদি অংশগ্রহণ নাও করে, আগামী নির্বাচনে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ থাকবে।
দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অন্য দেশকে বলা কতটুকু যুক্তিসঙ্গত, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের জনগণ হচ্ছে দেশের মালিক। ক্ষমতায় কারা যাবে তা নির্ধারণ করার মালিক জনগণ। বিএনপির যদি কোনো নালিশ থাকে সেই নালিশ দিতে হবে জনগণের কাছে। বিদেশিদের কাছে নয়। আমাদের দেশে নির্বাচন হবে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে যেভাবে নির্বাচন হয় সেভাবে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্টের অনেক কর্মকর্তা আসছেন এবং আরও কয়েকজন কর্মকর্তা আসবেন। তাদের সঙ্গে আমাদের বহুমাত্রিক সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের নিরাপত্তা সহযোগিতা সংক্রান্ত সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্র বড় ভূমিকা রাখছে। তাদের এই আগমন আমরা স্বাগত জানাই। এটা তাদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হওয়ার বার্তাই বহন করে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি চট্টগ্রাম থেকে এক দফার আন্দোলন শুরু করবে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান কিন্তু চট্টগ্রামে নিহত হয়েছিলেন তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে। চট্টগ্রাম থেকে শুরু করা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এক দফার আন্দোলন তো তারা মাঝেমধ্যে ঘোষণা দেন, এক দফার আন্দোলন চট্টগ্রামেই মারা যায় কিনা, সেটি দেখার বিষয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০২৩
জিসিজি/এএটি