ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

লাফালাফি-তাফালিং করে কাজ হবে না: কাদের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২৩
লাফালাফি-তাফালিং করে কাজ হবে না: কাদের শান্তি সমাবেশে ওবায়দুল কাদের। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: বিএনপির এক দফা দাবি নয়াপল্টনের কাদাপানিতে আটকে গেছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, লাফালাফিতে কাজ হবে না।

শুক্রবার (২৮ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগের তিন সহযোগী সংগঠন যুব লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ আয়োজিত যৌথ শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, শোনেন, যত লাফালাফি, যত তাফালিং করেন, ফখরুল সাহেব, তারেক জিয়া, এই লাফালাফিতে কাজ হবে না। যতই তাফালিং করেন ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন বহু দূরে চলে গেছে। ওইটা খুঁজে পাবেন না। লাফালাফি করবেন না।

তিনি বলেন, রাজনীতির খেলায়, আন্দোলনে আওয়ামী লীগকে কেউ হারাতে পারে না। রাজনীতির খেলায় আওয়ামী লীগ চ্যাম্পিয়ন। আন্দোলন করে হারানো যাবে না। তাহলে নির্বাচন! নির্বাচনে তো আপনারা আসবেন না।

বক্তব্যের শুরুতে ওবায়দুল কাদের বলেন, খেলা হবে দুনীতির বিরুদ্ধে, লুটপাটের বিরুদ্ধে, ভোট ডাকাতির বিরুদ্ধে, তারেকের বিরুদ্ধে, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে। ভুয়া তত্ত্বাবধায়কের বিরুদ্ধে, ভুয়া এক দফার বিরুদ্ধে খেলা হবে।  এক দফা নয়াপল্টনের কাদাপানিতে আটকে গেছে।

তিনি বলেন, তারেক রহমান লন্ডন থেকে ফরমায়েশ দিচ্ছে, আর এখানে ফখরুল, আমীর খসরুরা লাফালাফি করছে, নির্বাচন জাতিসংঘ তত্ত্বাবধান করবে! আমীর খসরু বলে, গণভবন। গণভবন তোমার বাবার? গণভবন নাকি ছেড়ে দিতে হবে।  

তিনি আরও বলেন, জনগণ শেখ হাসিনাকে গণভবনে বসিয়েছে, যতদিন জনগণ চাইবে ততদিন শেখ হাসিনা গণভবনে থাকবেন, তোমার তারেক জিয়া কিছুই করতে পারবে না। লাফালাফি, ক্ষমতা পেয়ে গেছেন, কোথায় ক্ষমতা? এক দফা খাদে পড়ে গেছে। এই দফা কোনো দিন ক্ষমতার খোয়াব পূর্ণ করতে পারবে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, তারেক রহমান লন্ডনে বসে পুলিশকে ধমক দিচ্ছে, প্রশাসনকে ধমক দিচ্ছে। তারেক রহমান বলছে ফখরুলকে, আন্দোলনে টাকার অভাব হবে না। তারেক রহমান, তোমার বাবা বলেছিল দম্ভভরে, মানি ইজ নো প্রবলেম। টাকা কোনো সমস্যা না। কোথায় তোমার বাবা। কোথায় আজ, ক্ষমতা কোথায় গেল। তুমি তো ক্ষমতা এখনো দেখোনি।  

তিনি বলেন, তারেক রহমান এতো টাকা পেলো কোথায়? আমেরিকার কিছু কংগ্রেসম্যানকে টাকা দিয়ে লবিস্ট নিয়োগ করে তাদের জাতিসংঘে, যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাম্বাসেডরের কাছে চিঠি লেখে, বাংলাদেশে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন করতে হবে। এ দুঃসাহস তারা পেলো কোথায়।  

তিনি আরও বলেন, হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে তারেক। সে এখন মির্জা ফখরুলের নেতা। এই নেতাকে মানে কেউ, অর্থ পাচারকারী এই চোরকে কেউ মানে? তারেক জিয়া চোর হ্যায়, গলি গলি মে শ্যোর হ্যায়।  

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ফখরুল, আমীর খসরুরা এরা আইন মানে না, সুপ্রিম কোর্ট মানে না, কথায় কথায় সুপ্রিম কোর্টকে ধমক দিয়ে তারেক জিয়া লন্ডন থেকে বক্তব্য রাখে। এই তারেকের সারা জীবনের দণ্ড হয়েছে। কারা ঘন ঘন লন্ডনে যাচ্ছে, তারেক রহমানের হাতে ডলার তুলে দিচ্ছে, ভবিষ্যতের জন্য এখনই তাকে হাত করছে, ভবিষ্যতে ব্যবসার জন্য টাকা দিচ্ছে, সেই খবর আছে।  তারেক কোনোদিন আসতে পারবে, তার কোনো গ্যারান্টি আছে? 

তিনি বলেন, আজ যারা আমার মাতৃভূমিকে লুণ্ঠন করেছে, অর্থপাচার করেছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করেছে তাদের হাতে আমার এ জন্মভূমি-মাতৃভূমির ক্ষমতা কোনোদিনও আমরা ছেড়ে দিতে পারি না। বাংলাদেশের জনগণের জানমাল রক্ষায় বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ অতন্দ্র প্রহরীর মতো থাকবে।  

বিএনপির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন নাকি আবার ঢাকার রাস্তা বন্ধ করবেন। আপনাদের চলার রাস্তাও বন্ধ করে দেবো। রাস্তা বন্ধ করতে আসবেন না, যারাই আসবেন তাদের বলে দিয়ে যাই, আওয়ামী লীগের শেকড় মাটির অনেক গভীরে। হুঙ্কার দিয়ে আওয়ামী লীগকে উৎখাত করা যাবে না।  

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম প্রমুখ। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২৩
এসকে/এমইউএম/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।