ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

প্রয়োজনে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন হবে: সমমনা জোট 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২৩
প্রয়োজনে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন হবে: সমমনা জোট 

ঢাকা: জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেছেন, শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে এ দেশে আর কোনো নির্বাচন হবে না। নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে।

প্রয়োজনে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন হতে হবে।

তিনি বলেন, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ২৫টির বেশি আসন পাবে না। সে কারণে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে ভয় পায় আওয়ামী লীগ।  

শুক্রবার (১১ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড় সংলগ্ন আল রাজি কমপ্লেক্সের সামনে একদফার যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের উদ্যোগে গণমিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ড. ফরহাদ।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের একদফা দাবিতে আন্দোলন চলছে। জনগণ এরই মধ্যে এ আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়েছে। ফলে ছয়-নয় করে বেশিদিন ক্ষমতায় থাকা যাবে না। সরকারের পতন অতি সন্নিকটে।

জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের এই সমন্বয়ক বলেন, দফা এক দাবি এক- শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ। অবিলম্বে এই সরকারকে পদত্যাগ এবং নির্বাচন কমিশন ও সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় জনগণ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় করে দাবি আদায় করবে। তখন ক্ষমতাসীনরা পালানোর পথও পাবে না।  

ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, এ সরকারের জন্য এরই মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এমনকি ভারতে যাওয়ার পথও বন্ধ হয়ে গেছে।

জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান বলেন, এ সরকারকে যেতে হবে। কারণ, এদের পতনের জন্য সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নেমেছে। তারা এ সরকারকে আর কোনো সময় দিতে চায় না।  

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার অবিলম্বে পদত্যাগ না করলে জনগণ তাদের পদত্যাগে বাধ্য করবে। তখন পালানোর পথও পাবে না।  

এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফার সঞ্চালনায় গণমিছিলপূর্ব সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- বিকল্পধারার মহাসচিব শাহ আহমেদ বাদল, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান এমএন শাওন সাদেকী ও মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল বারিক, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টির চেয়ারম্যান সুকৃতি কুমার মণ্ডল ও এনপিপির মো. ফখরুজ্জামান।

সমাবেশ শেষে ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের নেতৃত্বে গণমিছিল শুরু হয়। মিছিলটি পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব, বিজয়নগর হয়ে পুনরায় আলরাজি কমপ্লেক্সের সামনে এসে শেষ হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২৩
টিএ/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।