নীলফামারী: নীলফামারীর জলঢাকা ও ডিমলা উপজেলায় অভিযান চালিয়ে আরও সাতজন জামায়াত নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নাশকতার মামলায় পলাতক আসামি হিসেবে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) জলঢাকা ও ডিমলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় এবং বিকেলে কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- জলঢাকার খুটামারা ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি নুর আলম (৩৭), জামায়াত কর্মী ওসমান গণি (৪০), নুরুল আমিন (৪৫), আবু তালেব (৪৮) ও ডিমলা উপজেলার নাউতারা ইউনিয়ন সেক্রেটারি আব্দুর রাজ্জাক (৩৫), সহকারী সেক্রেটারি আব্দুল মোমিন (৩৩) ও ডোমার উপজেলার পূর্ব আমবাড়ী গ্রামের রশিদুল ইসলাম (৩৬)।
আটকের বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আমিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, জলঢাকা থানায় ২০২৩ সালের ২৭ এপ্রিলে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের পলাতক জামায়াত-শিবিরের সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তাররা সক্রিয় নেতাকর্মী। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আটকের ঘটনায় নীলফামারী জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আন্তাজুল ইসলাম জানান, পুলিশ প্রত্যেককে তাদের বাড়ি ও স্থানীয় বাজার এলাকা থেকে তুলে নিয়ে গেছে। সাজানো মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে -বলে দাবি তার (আন্তাজুল)।
গত ২৩ আগস্ট নীলফামারী সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৯ জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে তাদের নামে নাশকতামূলক পরিকল্পনায় জড়িত অভিযোগের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২৩
এসআরএস