ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

দেশে কোনো সরকার নেই: দুদু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০২৩
দেশে কোনো সরকার নেই: দুদু সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু

ঢাকা: দেশে কোনো সরকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।  

বুধবার (৩০ আগস্ট) আন্তর্জাতিক গুম দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী গণতন্ত্র পরিষদ।

দুদু বলেন, দেশে কোনো সরকার নেই। সরকার থাকলে দেশে সাত শতাধিক মানুষ গুম ও নিখোঁজ হতো না। সরকার থাকলে নির্বিচারে এভাবে মানুষ হত্যা করা হতো না। দেশের নাগরিকরা ট্যাক্স-ভ্যাট দিচ্ছেন, আইন মানছেন, কিন্তু তাদের কোনো অধিকার নেই। তারা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূচনালগ্নে অন্যতম সাহিত্যিক ও চলচ্চিত্রকার জহির রায়হান নিখোঁজ হয়ে গেলেন। অনেকে বলেন, তার কাছে মুক্তিযুদ্ধের দাবিদারদের আসল চরিত্র, আসল চিত্র, আসল ঘটনা ছিল। এই যে গুম শুরু হয়েছে, তা গতকাল পর্যন্তও হবিগঞ্জে হয়েছে। ৬০০-৭০০ মানুষকে গুম করা হয়েছে। সন্তান তার পিতার মুখ দেখতে চায়, হাত ধরে স্কুলে যেতে চায়। এই বাচ্চা তার অভিভাবককে, পিতাকে পাচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, ১৫ আগস্ট নির্মম হত্যাকাণ্ডে প্রধানমন্ত্রী তার স্বজনদের হারিয়েছেন। আমরা তার কষ্ট বুঝি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এই ৬০০-৭০০ মানুষের পরিবারের কষ্ট স্বীকার করতে চান না। এজন্যই আমি বলেছি, দেশে সরকার আছে বলে মনে হচ্ছে না।

বিএনপির এই নেতা বলেন, যিনি দেশে গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছেন, স্বৈরাচারদের পতন ঘটিয়েছেন, নারী শিক্ষার অগ্রগতি যার হাত ধরে হয়েছে, সেই বেগম খালেদা জিয়াকে একটি মিথ্যা মামলায় পাঁচ বছর জেলখানায় রাখা হয়েছে। সংবিধানের স্বীকৃত বিষয় মানুষের কথা বলার অধিকার থাকবে। কিন্তু তারেক রহমানের বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে কোথাও রাখতে দেওয়া হচ্ছে না। তিনি আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন। তার কথা কেউ প্রকাশ করতে পারবে না। যে কোর্ট মানুষের অধিকার নিশ্চিত করবেন, সেই কোর্ট মানুষের অধিকার কেড়ে নিচ্ছেন। এভাবে চলতে পারে না।

তিনি বলেন, আমরা বলেছি এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ ভেঙে দিতে হবে এবং একটি নির্বাচন কমিশন আলোচনার মধ্য দিয়ে গঠন করতে হবে। আজ বলছি, তার মানে এই নয় যে বলতেই থাকব। এক সময় বিএনপি এবং তার সৈনিকরা এই বলাটাকে কার্যকর করবে। আপনি বাধ্য হবেন পদত্যাগ করতে, সংসদ ভেঙে দিতে, নির্বাচন কমিশনকে পুর্নগঠন করতে। কারণ এই জাতি মুক্তিযুদ্ধ করা জাতি, এই জাতি লড়াই-সংগ্রাম নয়, যুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র অর্জন করেছে।

জাতীয়তাবাদী গণতন্ত্র পরিষদের সভাপতি মোক্তার আকন্দের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, সহ-স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আক্তার, বিএনপি নেতা শাহজাহান মিয়া সম্রাট, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন মিয়া মো. আনোয়ার, দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রফিকুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০২৩
এসসি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।