ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২১ মে ২০২৪, ১২ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

যুবলীগ কর্মী আসাদ খুন: মুক্তাগাছায় ১৪৪ ধারা জারি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৩
যুবলীগ কর্মী আসাদ খুন: মুক্তাগাছায় ১৪৪ ধারা জারি

ময়মনসিংহ: যুবলীগ কর্মী আসাদুজ্জামান আসাদ (৩০) খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করায় মুক্তাগাছা পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে মাইকিং করেছে উপজেলা প্রশাসন। এতে পৌর এলাকার সব দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা বহাল থাকবে বলে নিশ্চিত করেছেন মুক্তাগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একেএম লুৎফর রহমান।  

তিনি বাংলানিউজকে জানান, গত ২৮ আগস্ট রাতে যুবলীগ কর্মী আসাদ খুন হন। এ ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিবদমান দুটি পক্ষ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করে। এতে যে কোনো সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। এ আশঙ্কায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পৌর এলাকায় সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পৌর শহরের মোড়ে মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

এদিকে এ হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিরসনে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের সব ধরনের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।    

৩ সেপ্টেম্বর রাতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এতে বলা হয়, জেলা আওয়ামী লীগের অন্তর্গত মুক্তাগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সব ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল স্থগিত রাখার অনুরোধ করা হলো।  

এহতেশামুল আলম বাংলানিউজকে খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খুনের ঘটনায় দুপক্ষের সংঘর্ষ এড়াতে সাময়িকভাবে সভা, সমাবেশ ও মিছিল স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে।  

দুপুরে মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মজিদ বলেন, বর্তমানে পৌর শহরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এখনও কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, দুটি বলয়ে বিভক্ত উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন। এর একটি গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসনের সংসদ সদস্য সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বাবু। তার বলয়ে রয়েছেন পৌর মেয়র মো. বিল্লাল হোসেন সরকারের নেতৃত্বে একটি পক্ষ।

তাদের বিপরীত বলয়ে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল হাই আকন্দ। সঙ্গে রয়েছে তৃণমূলের বড় একটি অংশ।

মূলত এলাকার আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বে দীর্ঘদিন ধরে এ দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এনিয়ে হামলা ও মামলার ঘটনাও রয়েছে। এ বিরোধের জের ধরেই গত ২৮ আগস্ট রাতে যুবলীগ কর্মী আসাদকে হাত-পা থেঁতলে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় নিহতের স্বজন তাইব হাসান আনন্দ বাদী হয়ে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মনিরকে প্রধান আসামি করে ৩০ জনের নামে থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে মুক্তাগাছা থানা পুলিশ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৩
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।