ঢাকা: ১ দফা ঘোষিত হবার পর যুগপৎ আন্দোলনের বার্তাটি খুব পরিষ্কার যে, অনতিবিলম্বে এই সরকারকে পদত্যাগের ঘোষণা দিতে হবে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠার রাস্তা খুলে দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাকর্মীরা।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলটির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তারা।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আপনারা লক্ষ্য করেছেন, বিদ্যমান ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন বিদায় দিতে আন্দোলন যত বেগবান হচ্ছে সরকারের দমন নিপীড়নও তত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আইন আদালতকে তারা বিরোধী দল দমনে এখন সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে। হয়রানি ও নিপীড়নমূলক ধারা বহাল রেখে তারা আবার সাইবার নিরাপত্তা আইন পাশ করেছে। রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের অংশ হিসাবে মানবাধিকার সংস্থা অধিকার এর সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক নাসির উদ্দিন এলানকে দুই বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। এইসব কিছুর লক্ষ্য হচ্ছে আর একটি নীলনকশার একতরফা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকারের অবৈধ ক্ষমতা প্রলম্বিত করা।
এসময় যুগপৎ আন্দোলনে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এগুলো হলো- ১৯ সেপ্টেম্বর বেলা ১১ টায় মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে সমাবেশ ও পদযাত্রা; ২৩ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে তিনটায় কারওয়ান বাজারে পেট্রোবাংলার সামনে সমাবেশ ও পদযাত্রা; ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে তিনটায় খিলগাঁও তালতলা মার্কেটের সামনে সমাবেশ ও পদযাত্রা; এবং ২৭ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে তিনটায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্মুখে সমাবেশ ও পদযাত্রা। এছাড়া গণতন্ত্র মঞ্চের নিজস্ব কর্মসূচি হিসেবে ‘সংবিধানের দোহাই দিয়ে একতরফা নির্বাচনের পাঁয়তারা কেন সাংবিধানিক নয়?’; ‘বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রয়োজনীয়তা’; ‘গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র ও সমাজ নির্মাণে বিদ্যমান অগণতান্ত্রিক সংবিধান বড় বাঁধা’; এবং ‘আগামীর বাংলাদেশ সংস্কারের ৩১ দফার আবশ্যিকতা’ শীর্ষক সেমিনার ও আলোচনা সভা করার কথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সহ সভাপতি তানিয়া রব, সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এইচএমএস/টিএ/এমএম