ঢাকা, শনিবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

নোয়াখালীতে ১২ দিনে বিএনপি-জামায়াতের ৩৬০ নেতাকর্মী গ্রেপ্তারের অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০২৩
নোয়াখালীতে ১২ দিনে বিএনপি-জামায়াতের ৩৬০ নেতাকর্মী গ্রেপ্তারের অভিযোগ

নোয়াখালী: জেলায় বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার ও থানায় থানায় গায়েবি মামলা দায়ের করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে জেলা ইউনাইটেড লইয়ার্স ফ্রন্ট।

এতে বলা হয়, গত ২৮ অক্টোবর থেকে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত ১২ দিনে বিএনপি-জামায়াতের ৩৬০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) নোয়াখালী আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়।  

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান সংগঠনের জেলা শাখার আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান।

তিনি অভিযোগ করেন, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপিসহ অপরাপর সমমনা রাজনৈতিক দল ঢাকায় মহাসমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণার পর থেকে নোয়াখালীর প্রতিটি উপজেলায় নির্বিচারে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার শুরু করে পুলিশ প্রশাসন।  

ইতোমধ্যে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিএনপির ৩২১ জন এবং জামায়াতের ৩৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেলার প্রায় সব থানায় গায়েবি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আগের দিন ধরে এনে পরে দিন মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে ওই ঘটনায় মামলা দায়ের করে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। গত ২৮ অক্টোবর থেকে গতকাল ৯ নভেম্বর বুধবার পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন থানায় ২২ মামলা দায়েরের তথ্য তারা পেয়েছেন। এসব মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে ৬৪৮ জনকে। আর অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে এক হাজার ২৭১ জনকে।  

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা আদালতে মামলার হাজিরা দিতে এসেও গ্রেপ্তারের শিকার হচ্ছেন। বুধবার জেলা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সোনাইমুড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনোয়ারুল হক কামালকে। ঘরে ঘরে তল্লাশি অভিযানের নামে জনমনে চরম ভীতি ও অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে পুলিশ। কোনো সভ্য দেশে এই অবস্থা চলতে দেওয়া যায় না।

আবদুর রহমান বলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহানকে ঢাকার ভাটারা থানায় একটি গাড়ি পোড়ানোর মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উক্ত মামলার এজাহারে তার নামও নেই। কারও জবানবন্দিতেও তার নাম আসেনি। অথচ তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে।

এ সময় লিখিত বক্তব্যে অবিলম্বে মো. শাহজাহানের মুক্তি দাবি করা হয়।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ বি এম জাকারিয়া, ইউনাইটেড লইয়ার্স ফ্রন্টের যুগ্ম আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম, সমন্বয়ক রবিউল হাসান পলাশ, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য সচিব নুরুল আমিন, মাহমুদ হাসান সাকিল, ইউনাইটেড লইয়ার্স ফ্রন্টের সদস্য অ্যাডভোকেট মো. ইমাম হোসেন কাওছার প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০২৩
এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।