ঢাকা: বিএনপি ও বিরোধী জোটের কার্যালয়গুলোকে ‘অবরুদ্ধ’ রেখে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নির্বাচনী ‘সার্কাস’ খেলা শুরু হয়েছে মন্তব্য করে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, আওয়ামী লীগ আরেকটি আজ্ঞাবহ নির্বাচন করে নিতে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে ঢেলে সাজিয়েছে।
রোববার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার বিজয়নগর পানির ট্যাংকের সামনে ‘শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও অবৈধ তফসিল বাতিলের দাবিতে’ ১২ দলীয় জোটের হরতাল সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
১২ দলীয় জোটের নেতারা বলেন, যদি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন দেওয়ার আগ্রহ দেখাতো তাহলে দলীয় কার্যালয়ে ভোটের আমেজ আর বিএনপিসহ বিরোধী দলের কার্যালয়গুলোকে এতিমখানা বানিয়ে রাখত না আওয়ামী লীগ সরকার। তালা ঝুলিয়ে দিত না। শীর্ষ নেতাদেরসহ গণগ্রেপ্তার করত না। সুতরাং ‘শিয়ালের কাছে মুরগি আর আওয়ামী লীগের কাছে সুষ্ঠু ভোট’ আশা করা যায় না।
বক্তারা আরও বলেন, বিশ্বের কাছে আমরা লজ্জিত এবং নিন্দিত। কারণ বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই। আইনের শাসন নেই, মানবাধিকার নেই। জনগণকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে আরেকটি ‘ভুয়া’ নির্বাচন করার পরিণতি ভালো হবে না।
নেতারা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের একগুঁয়েমির কারণে বিশ্ব রাজনীতিতে বাংলাদেশকে চরম মূল্য দিতে হচ্ছে। ইতোমধ্যে পোশাক শিল্পের ওপর ১২টি দেশ রপ্তানি প্রত্যাহার করে নিয়েছে। শুধু তাই নয়! পোশাকখাতে স্যাংশন দেওয়ায় মত প্রস্তাব বাইডেন প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতি দেউলিয়া হয়ে পড়বে।
বিক্ষোভ মিছিল সংক্ষিপ্ত সমাবেশ বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক এমপি নওয়াব আলী আব্বাস খান, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান, লায়ন মো. ফারুক রহমান, জাতীয় পার্টির ভাইস প্রেসিডেন্ট হান্নান আহমেদ খান বাবলু, যুগ্ম মহাসচিব কাজী নজরুল ইসলাম, জাগপার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, কল্যাণ পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব নুরুল কবির ভূইয়া পিন্টু, ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এম এ বাশার, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, প্রচার সম্পাদক বেলায়েত হোসেন শামীম, ইসলামী ঐক্যজোট যুগ্ম মহাসচিব মো. ইলিয়াস রেজা, বাংলাদেশ লেবার পার্টির যুগ্ম মহাসচিব শরীফুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক হাবিবুর রহমান, পাঠাগার সম্পাদক মো. মিলন, যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, ছাত্র সমাজের সভাপতি কাজী ফয়েজ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি নিজাম উদ্দিন আল আদনান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২৩
টিএ/এসএএইচ