ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ আশ্বিন ১৪৩২, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০০ রবিউস সানি ১৪৪৭

রাজনীতি

নির্বাচনের রায় মানতে হবে, পিছপা হলে চলবে না: আবদুল হালিম

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:৫২, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৫
নির্বাচনের রায় মানতে হবে, পিছপা হলে চলবে না: আবদুল হালিম জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম

জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম বলেছেন, নির্বাচনের জন্য যত প্রস্তুতি ও উৎসাহ-উদ্দীপনা থাকুক না কেন, ভোটের রায় মেনে নিতে ব্যর্থ হলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে নাগরিক মঞ্চ আয়োজিত ‘৭২ সংবিধান, রাষ্ট্র সংস্কার ও জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান এবং পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

আবদুল হালিম বলেন, এখন দেখা যায় সুষ্ঠু নির্বাচন হলেও বিকেলে ভোট বর্জনের ঘোষণা আসে। অথচ ডাকসু নির্বাচনে এত উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হয়েছে। দল, মত ও ধর্ম নির্বিশেষে সবাই অংশ নিয়েছে। নির্বাচনের জন্য যত ফেনা তুলি না কেন, ভোটের রায় মানার ক্ষেত্রে পিছপা হলে হবে না। জনগণের ভোটে যে নির্বাচিত হবে, যে সরকার গঠন করবে, সেই রায় মেনেই আগামীদিনের বাংলাদেশ গড়তে হবে।

জুলাই সনদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা কোনো একক দলের দাবি নয়। বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি নয়, তরুণ, ছাত্রছাত্রী, কৃষক, শ্রমজীবী মানুষ যারা জীবন দিয়েছে, তাদের রক্তের আইনি স্বীকৃতিই জুলাই সনদ। এর আইনি ভিত্তি দিয়েই নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ১৯৯১ সালে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে বিএনপি ক্ষমতায় আসে। পরে ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগও কেয়ারটেকারের অধীনেই ক্ষমতায় আসে। অথচ ২০১১ সালে তারা এ ব্যবস্থা কবর দিয়েছে। তাই আমরা বলি, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচন করে জনগণকে বোঝানো যাবে না। অবশ্যই ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত, তবে তা জুলাই সনদের আইনি ভিত্তিতেই হতে হবে।

আলোচনা সভায় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুল্লাহিল আমান আজমী বলেন, যারা সংবিধান প্রণয়ন করেছেন, তাদের উচিত ছিল গণভোটের মাধ্যমে জনগণের মতামত নেওয়া। পৃথিবীর বহু দেশে গণভোট হয়েছে, আমাদের দেশেও এর নজির আছে। গণভোট ছাড়া সংবিধান প্রণয়ন জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটায়নি। তাই অন্তর থেকে এটিকে বৈধ বলে মেনে নিতে পারি না।

নাগরিক মঞ্চের প্রধান সমন্বয়কারী আহসান উল্লাহ শামিমের সভাপতিত্ব সভায় আরও বক্তব্য রাখেন মুক্তি জোটের চেয়ারম্যান ড. শাহরিয়ার, মেজর ( অব.) আফসারী, নাগরিক মঞ্চের সদস্য মেজর ( অব.) ড. মাসুদুল হাসান ও এনডিপির চেয়ারম্যান আবু তাহের।

ডিএইচবি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।