ফরিদপুর: জেলার চারটি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের ৪২ জন নেতা মনোনয়নপত্র কিনেছেন। নৌকার মাঝি হতে মনোনয়নপত্র জমাও দিয়েছেন তারা।
প্রার্থীদের যার যার নির্বাচনী এলাকায় গ্রাম, পাড়া মহল্লা,বাসা-বাড়ি, মাঠ-ঘাট থেকে শুরু করে চায়ের টং-দোকানে চলছে আলোচনা। কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি?
তর্কবিতর্কের মধ্যে যার যার পছন্দের প্রার্থীকে এগিয়ে রাখছেন সমর্থকরা।
যারা প্রত্যেকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে দলীয় মনোনয়নের ব্যাপারে আশাবাদী এবং সবাই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার পক্ষে নিজস্ব পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেছেন।
দল যাকে মনোনীত করে তাকে বিজয়ী করতে সবাই একসঙ্গে কাজ করে যাবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন আওয়ামী লীগের এই মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুর-১ (মধুখালী, বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা) আসনে ২২ জন।
তারা হলেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক দুই বারের সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সিরাজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সাবেক সহ-সভাপতি,ঢাকা টাইমস গণমাধ্যমের সম্পাদক আরিফুর রহমান দোলন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট লিয়াকত সিকদার, বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এম মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়া, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ খান মঈনুল ইসলাম মোস্তাক, আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. দিলীপ কুমার রায়, কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃক, পুলিশের সাবেক এআইজি মালিক খসরু, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য সৈয়দ শামীম রেজা, ফিনল্যান্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার হাসনাত মিয়া, লায়ন সাখাওয়াত হোসেন, ইউনিভার্সিটি অব পুন্ড্র সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির সাবেক ভিসি বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. লুৎফর রহমান, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ-কমিটির কমিটির সাবেক সদস্য ডা. গোলাম কবীর, যুদ্ধকালীন কোম্পানি কমান্ডার বখতিয়ার রহমান বতু, আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য মো. খায়ের মিয়া, ডেফোডিল ইউনিভার্সিটির প্রভাষক শেখ আব্দুর রহিম ও ফরিদপুর জেলা কৃষকলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মাজারুল ইসলাম টুকু ও খিজির আহমেদ।
ফরিদপুর-২ আসনে (নগরকান্দা,সালথা) ৮ জন
বর্তমান সংসদ সদস্য শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী, নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. জামাল হোসেন মিয়া, জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি কাজী আব্দুস সোবহান, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও বঙ্গবন্ধু সেনা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি, মেজর (অব.) আতমা হালিম, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাইফুজ্জামান চৌধুরী জুয়েল, জেলা মহিলা লীগের সহ-সভাপতি,কেন্দ্রীয় মহিলা লীগের সদস্য আঞ্জুমান আরা বেগম,আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটি সদস্য মো. ছাব্বির হোসেন,ফরিদপুর জেলা জজ কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাড. হাবিবুর রহমান হাবিব।
ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে ১০ জন
বর্তমান সংসদ সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন,আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য বিপুল ঘোষ, ফরিদপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শামসুল হক ভোলা মাস্টার, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. ফারুক হোসেন, দৈনিক সমকাল পত্রিকার প্রকাশক, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য এ কে আজাদ, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য সাইফুল আহাদ সেলিম, এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি, ফরিদপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ড. যশোদা জীবন দেবনাথ, ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস, ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সত্যজিৎ মুখার্জি ও ওয়াজেদ মিয়া ফাউন্ডেশনের সভাপতি ফরহাদ কবির।
ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা,সদরপুর,চরভদ্রাসন) আসনে ২ জন
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য,সাবেক সংসদ সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ ও বর্তমান সংসদ সদস্য যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন।
এ বিষয়ে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক বলেন, দল যাকে মনোনীত করবে তাকে বিজয়ী করতে সবাই একসঙ্গে কাজ করে যাবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২৩
এসএএইচ