ঢাকা: দেশের মানুষ একতরফা প্রহসনমূলক নির্বাচন রুখে দাঁড়াবে বলে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) পল্টন থানা কমিটি।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে ‘একতরফা প্রহসনমূলক নির্বাচন বর্জন, দুর্নীতিবাজ ঋণখেলাপীদের রুখে দাঁড়ানো ও চলমান দুঃশাসন হটানোর’ আহ্বানে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ কথা বলা হয়।
সিপিবি পল্টন থানা কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে নেতারা বলেন, ক্ষমতাসীন সরকারের একতরফা প্রহসনমূলক নির্বাচন ইতোমধ্যে দেশের জনসাধারণ বর্জন করেছে। নির্বাচনের নামে সরকার যে ডামাডোল তৈরি করতে চেয়েছিল সেসব আয়োজনও ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার চিত্রনাট্যের অংশ হিসেবে আগামী ৭ জানুয়ারি যে প্রহসন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, তা রুখে দাঁড়াবে দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ।
নেতারা বলেন, গণদাবি ও জনমত উপেক্ষা করে বর্তমান সরকার আবারও প্রহসনের নির্বাচন করতে চলেছে। নিকট অতীতে গত দু’টি নির্বাচনে সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পারেনি। এ সময়ে যারা নতুন ভোটার হয়েছে, তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে দেওয়া হয়নি। ২০২৪ এর জানুয়ারিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে সরকার। এই নির্বাচন সব দলের অংশগ্রহণে হচ্ছে না।
সমাবেশ থেকে বলা হয়, নতুন নতুন ‘কিংস পার্টি’ তৈরি করে, সরকারি দলের লোকদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখানোর চেষ্টা করছে সরকার। প্রকৃতভাবে ৭ জানুয়ারি একটি একতরফা প্রহসনের নির্বাচন হতে যাচ্ছে। ক্ষমতাসীন দল বিরোধী দমন ও নানান চক্রান্তে নিজেদের বিজয় নিশ্চিত করে এই ভোট সম্পন্ন করতে চাইছে। ভোটের প্রার্থী সংখ্যা বাড়াতে নেতা কেনা-বেচা, হানি ট্র্যাপ, মানি ট্র্যাপ ইত্যাদি চেষ্টা করতে গিয়ে সরকার লেজে-গোবরে অবস্থা সৃষ্টি করেছে।
নেতারা আরও বলেন, সরকার দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিয়েছে। সংঘাত-সংঘর্ষ দেশ ও মানুষের জীবনকে চরম সংকটে ফেলেছে। জানমালের ক্ষতি হচ্ছে। বাজার পরিস্থিতি মানুষের জীবনযাত্রাকে অচল করে দিয়েছে। আগামী দিনে আর্থিক সংকট আরও তীব্র হওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। এ অবস্থায় চলমান রাজনৈতিক সংকট দূর করতে একটি গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক ভোট নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই।
সিপিবি পল্টন থানা কমিটির সভাপতি কমরেড কার্ত্তিক চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন রাকসুর সাবেক ভিপি সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাগীব আহসান মুন্না, সিপিবি পল্টন থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব সাহা, পল্টন থানা কমিটির সদস্য হযরত আলী, মুর্শিকুল ইসলাম শিমুল প্রমুখ।
সমাবেশ থেকে অবিলম্বে সংসদ ভেঙে দেওয়া ও ক্ষমতাসীন সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে একটি অংশগ্রহণমূলক, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানানো হয়। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কসমূহ প্রদক্ষিণ করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০২৩
আরকেআর/এসআইএ