ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

নেতৃত্ব হারানোর ভয়ে তারেক নির্বাচন চায় না: কৃষিমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০২৩
নেতৃত্ব হারানোর ভয়ে তারেক নির্বাচন চায় না: কৃষিমন্ত্রী

ঢাকা: আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী  ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক মনে করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক জিয়া নেতৃত্ব হারানোর ভয় পান। যে কারণে তিনি নির্বাচন হোক, তা চান না।

বিএনপি যদি নির্বাচনে জিতে, নেতৃত্ব অন্যের হাতে চলে যাবে বলেও তিনি মনে করেন।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস উপলক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত সেমিনার, সয়েল কেয়ার অ্যাওয়ার্ড ও মৃত্তিকা দিবস পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, নেতৃত্ব হারানোর ভয়ে তারেক জিয়া কিছুতেই চায় না নির্বাচন হোক। বিএনপি নির্বাচনে আসুক। যদি নির্বাচনে জিতেও তারেক জিয়া ও খালেদা জিয়া নেতা থাকতে পারবে না। নেতৃত্ব চলে যাবে দলের অন্যদের কাছে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, আগামী মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিএনপি একটা বড় রাজনৈতিক দল। আমরা তাদের বারবার বলেছি, আপনারা নির্বাচনে আসেন। অনেক চেষ্টা করেছি নির্বাচনে আনার জন্য কিন্তু বিএনপি আসেনি। তাদের নেতা তারেক জিয়া সাজাপ্রাপ্ত, খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত; তারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে না।

তিনি বলেন, দেশটায় শান্তি দরকার, উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দরকার। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হচ্ছে। এটিকে বানচাল করার জন্য আবারও সহিংসতা ও বর্বরতার পথ বেছে নিয়েছে বিএনপি। তারা ভুল পথে রয়েছে, নির্বাচন বর্জনের মাধ্যমে তারা আরও জনবিচ্ছিন্ন দলে পরিণত হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্জিত সাফল্যের কথা শুনে সবাই অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যেখানে যাই, কথা বলি- সারা পৃথিবীর মানুষই আমাদের প্রশংসা করে। সবাই আমাদের কথা শুনতে চায়। বাংলাদেশের সফলতার কথা যখন আমরা বলি, সবাই অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে। তারা বিস্ময় প্রকাশ করে, কীভাবে বাংলাদেশের এতো সাফল্য!

এবারের বিশ্ব মৃত্তিকা দিবসের প্রতিপাদ্য হলো ‘মাটি ও পানি: জীবনের উৎস’। এর ওপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, জমি কমছে, পানির উৎসও কমে যাচ্ছে। মাটির গুণাগুণও হ্রাস পাচ্ছে। এ অবস্থায় ১৭ কোটি মানুষের খাদ্য চাহিদা আমাদের মেটাতে হবে। বর্ধিত জনসংখ্যার খাবার জোগাড় করা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। মানুষ আগে খাবার পেতো না, ভাত পেতো না। দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে বারবার। ২০০৪-০৫ সালে উত্তরাঞ্চলে আমি দেখেছি মানুষের হাড্ডিসার চেহারা। এখন আর সেই অবস্থা নেই। এখন খাদ্যাভাব নেই, খাদ্যের কষ্ট আর নেই।

মাটি ব্যবস্থাপনায় গুরুত্ব দিতে হবে। দেশে প্রায় ১২ লাখ ৫০ হাজার হেক্টর জমি লবণাক্ত। প্রায় ৩০ লাখ হেক্টর জমি উপকূলীয়। লবণাক্ত জমির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা করতে পারলে সব ফসলে উদ্বৃত্ত হওয়া যাবে। উন্নত জাতের ধানের চাষ ছড়িয়ে দিতে পারলে চালে উদ্বৃত্ত হওয়া সম্ভব।

পরে মন্ত্রী সয়েল কেয়ার অ্যাওয়ার্ড-২০২৩, সয়েল অলিম্পিয়াড এবং মৃত্তিকা দিবসের পুরস্কার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন এবং ‘ল্যান্ড অ্যান্ড সয়েল রিসোর্সেস ইউটিলাইজেশন গাইড’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।

অনুষ্ঠানে বিএআরসি নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহবুবুল হক পাটওয়ারী, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জালাল উদ্দীন ও কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার বক্তব্য দেন। তিনি অনুষ্ঠানের সভাপতিত্বও করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০২৩
জিসিজি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।