ঢাকা: ৭ জানুয়ারি ভোট দিতে কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ভোট নামক তামাশা রুখে দিতে হবে। ৭ তারিখে কেউ ভোট দিতে যাবেন না।
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত ভোট বর্জনের গণসংযোগপূর্ব সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
সরকার লুটপাটতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে আবার ক্ষমতায় যেতে চায় মন্তব্য করে জোনায়েদ সাকি বলেন, সিপিডি বলেছে, ব্যাংক থেকে ৯২ হাজার কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে। আর খেলাপি ঋণ অন্তত ৩-৪ লাখ কোটি টাকা। এই ৯২ হাজার কোটি টাকা কখনও দেশে আসবে না, আসার সম্ভাবনাও নাই। এই লুটপাটতন্ত্র টিকিয়ে রাখার জন্য তারা (সরকার) আবার ক্ষমতায় থাকতে চায়।
তিনি বলেন, এই লুটপাটতন্ত্রের কারণে দেশের অর্থনৈতিক সংকট বাড়ছে। আর প্রতিদিন জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। প্রতিদিন তারা (আওয়ামী লীগ) টাকা হাতিয়ে নিয়ে পাচার করছে।
আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে জোনায়েদ সাকি বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেদের মধ্যে সন্ত্রাসী থামাতে পারেনি। সত্যিকার অর্থে বিরোধী দল যদি মাঠে থাকতো তাহলে কি অবস্থা তৈরি করতো তারা? এদেশে খেলোয়াড় (বিরোধী দল) যাতে মাঠে আসতে না পারে তার জন্য সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে, ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে, সবাইকে হাত-পা বেঁধে জেলে ভরে দিয়েছে, লাল কার্ড দেখিয়ে বিদায় করেছে। বিরোধী দল যদি নির্বাচনে যেত তাহলে তারা (আওয়ামী লীগ) দেশটাকে একটা ভয়ংকর সন্ত্রাস ও খুনের তাণ্ডবলীলায় পরিণত করতো।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৩
এসসি/এসআইএ