ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

এমপি হলে চনপাড়াকে শেখ রাসেল নগর ইউনিয়ন করার ঘোষণা শাহজাহানের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২৩
এমপি হলে চনপাড়াকে শেখ রাসেল নগর ইউনিয়ন করার ঘোষণা শাহজাহানের

নারায়ণগঞ্জ: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান ভুঁইয়া উপজেলার শেখ রাসেল নগর (চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্র) সাংগঠনিক ইউনিয়নকে একটি আলাদা ইউনিয়ন করার ঘোষণা দিয়েছেন।  

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার চনপাড়া পুর্নবাসন কেন্দ্র (প্রস্তাবিত শেখ রাসেল নগর) সাংগঠনিক ইউনিয়নে গণসংযোগ ও পথসভায় বক্তৃতাকালে এ ঘোষণা দেন তিনি।

গণসংযোগ করার সময় শত শত নেতা-কর্মী-সমর্থক স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন।

শাহজাহান ভুঁইয়া বলেন, আমি আগামী ৭ তারিখ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হলে চনপাড়া পুর্নবাসন কেন্দ্রকে প্রস্তাবিত শেখ রাসেল নগর সাংগঠনিক ইউনিয়নকে একটি আলাদা ইউনিয়ন করবো। এখানে প্রায় লক্ষাধিক লোকের বসবাস। মুষ্টিমেয় কয়েকজন খারাপ লোকের কারণে চনপাড়া পুর্নবাসন কেন্দ্রের বদনাম রয়েছে। হাতে গোনা কয়েকজন মাদক কারবারির কারণে এখানে মাদকের সয়লাব। আমি নির্বাচিত হলে এসব মাদক কারবারির তৎপরতা বন্ধ করে দেব। এখানে সরকারি জমিতে আপনারা অস্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। আমি নির্বাচিত হলে সরকারের কাছ থেকে যাতে আপনারা স্থায়ীভাবে বরাদ্দ পান সে ব্যবস্থা আমি করে দেব।

তিনি বলেন, আমাকে যদি জনগণ কেটলি প্রতীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন, তাহলে রূপগঞ্জে সন্ত্রাসী, কোনো মাদক কারবারি মাদকের কারবার করতে পারবে না।
 
শাহজাহান ভুঁইয়া বলেন, রূপগঞ্জে শেখ রাসেল নগর ইউনিয়নের লোকেরা সন্ত্রাসীদের হাত থেকে মুক্তি চায়। কয়েকজন অপরাধীর জন্য পুরো এলাকার জনগণ আপবাদ নিতে চাচ্ছে না। তাই তারা ভয়ভীতি উপেক্ষা করে কেটলি মার্কাকে বিজয়ী করতে মাঠে নেমেছে। রূপগঞ্জের অবহেলিত চনপাড়া পুর্নবাসন কেন্দ্র প্রস্তাবিত শেখ রাসেল নগর সাংগঠনিক ইউনিয়নকে একটি সুন্দর বাসযোগ্য আবাসন হিসেবে দেখতে চায়।  

তিনি বলেন, বরাবর অভিযোগ করে আসছি (এ আসনে) নৌকার প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী বিভিন্নভাবে নির্বাচনে বিজয়ী হতে কূটকৌশল অবলম্বন করছেন। শিক্ষকদের নিয়ে তার বাসায় মিটিং করছেন। রিটার্নিং অফিসার বরাবর আমি লিখিত দিয়েছি। তারা একের পর এক ষড়যন্ত্র করছেন। প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন যদি সুষ্ঠু নির্বাচন করে তাহলে আমার কেটলি মার্কা বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে। আমি ১৫ বছর একটানা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। আমি কারও জমি দখল করিনি। আমার কোনো বাহিনী নেই। রূপগঞ্জের জনগণই আমার মূল শক্তি।
 
এসময় উপস্থিত ছিলেন কাঞ্চন পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম রফিক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামিম আজিজ, রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি খন্দকার আবুল বাশার টুকু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মশিউর রহমান তারেক, সহ-দপ্তর সম্পাদক ওবাইদুল মজিদ জুয়েল মাস্টার, ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হাসান, যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক আমিনুল হক খোকন, রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রিটন প্রধান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোতার হোসেন নাদিম, আব্দুল মান্নান মুন্সি, মোশারফ মেম্বার, আব্দুল কাইয়ুম খান, শাখাওয়াত হোসেনসহ কয়েক শ’ নেতা-কর্মী।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২৩
এমআরপি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।