ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

৭ জানুয়ারি ভোটার উপস্থিতি শূন্যের কোঠায় থাকবে : ১২ দলীয় জোট 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২৩
৭ জানুয়ারি ভোটার উপস্থিতি শূন্যের কোঠায় থাকবে : ১২ দলীয় জোট 

ঢাকা: আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে ‘একদলীয় ডামি ও পাতানো-সাজানো নির্বাচন’ বলে আখ্যা দিয়েছেন ১২ দলীয় জোটের নেতারা। তারা বলেছেন, সেদিন ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি শূন্যের কোঠায় থাকবে।

মানুষ সুযোগ চেয়েছে আওয়ামী লীগের মত ভোট চোর ও  স্বৈরশাসকের গলায় টিপে ধরার। এবার সেই সুযোগ কাজে লাগাতে জনগণ ভোটকেন্দ্রে যাবে না এবং শেখ হাসিনার পতন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জনগণ আন্দোলন চালিয়ে যাবে।

রোববার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে ‘শেখ হাসিনার পদত্যাগ, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন, খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে প্রেসক্লাব, পল্টন ও বিজয়নগর এলাকায় গণসংযোগ ও পদযাত্রা’ শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জোটের নেতারা এসব কথা বলেন।  

তারা বলেন, আমাদের কাছে তথ্য আছে—কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে আওয়ামী লীগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ টিম ভোটারদের হুমকি দিচ্ছে এবং ভোটারদের অর্থের লোভ দেখানো হচ্ছে। এতেই প্রমাণিত হয় আওয়ামী লীগের পায়ের তলায় মাটি নেই। অবিলম্বে নির্বাচন বাতিল ও পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন।  

১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, আওয়ামী লীগ এখন নিজেদের দলীয় প্রার্থীর ওপর আস্থা রাখতে পারছে না। তাই তারা বিভিন্ন দলের বহিষ্কৃত অযোগ্য নেতাদের দিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করাচ্ছে। তবে এই নির্বাচন দেশে এবং বিদেশে গ্রহণ যোগ্য হবে না।  

তিনি বলেন, সরকার নির্বাচন বাতিল না করলে তারাই মহা সংকটে পড়বে। তাই শেখ হাসিনার পদত্যাগ করা উচিত।  

জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী খান আব্বাস বলেন, বাংলাদেশের জনগণ এই সরকারের ওপর আর বিন্দুমাত্র আস্থা রাখতে পারছে না। দেশের অর্থনীতি ও জনগণের জীবন-জীবিকা এই সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে। জনগণ এই সরকারের কাছ থেকে এখন মুক্তি চায়।

১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও  জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, ভিনদেশি শক্তির ইশারায় বাংলাদেশের আকাশ ও মাটি এখন অনিরাপদ। দেশি-বিদেশি এই অপশক্তিকে রুখতে হলে আগামী ৭ তারিখ দেশবাসীকে ভোট প্রদানে বিরত থাকতে হবে এবং ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি শূন্যের কোঠায় আনতে হবে।

কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মো. ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন পারভেজ, ইসলামি ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম।  

উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির ( কাজী জাফর) হান্নান আহমেদ বাবলু, বাংলাদেশ এলডিপির তমিজউদদীন টিটু প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২৩
টিএ/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।