ঢাকা, শনিবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ জুন ২০২৪, ১৪ জিলহজ ১৪৪৫

রাজনীতি

শুধু ভোটকেন্দ্র নয়, পুরো দেশ এখন ঝুঁকিতে: ১২ দলীয় জোট

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০২৪
শুধু ভোটকেন্দ্র নয়, পুরো দেশ এখন ঝুঁকিতে: ১২ দলীয় জোট

ঢাকা: দেশের অর্ধেক ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ—নির্বাচন কমিশন ও ডিএমপি কমিশনারের দেওয়া এমন তথ্যে র প্রতিক্রিয়ায় ১২ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, যে দেশে অগণতান্ত্রিক সরকারের হাতে দেশের গণতন্ত্র ভাসমান, সে দেশে শুধু ভোটকেন্দ্র কেন, পুরো দেশই ঝুঁকিতে থাকবে, এটাই স্বাভাবিক!

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে শেখ হাসিনার পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন ও অসহযোগ আন্দোলন সফল করার লক্ষ্যে ১২ দলীয় জোটের গণসংযোগ ও পদযাত্রা কর্মসূচিতে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।

১২ দলীয় জোটের নেতারা বলেন, যখন দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অভাবে জনগণের ওপর বার বার লাশের মিছিল দৃশ্যমান হয় এবং সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কারণে দেশের অর্থনীতির ওপর আক্রমণ আসতে থাকে।

তখনি দেশের আইন-আদালত ও নির্বাচন ব্যবস্থা হয় আজ্ঞাবহ! যদি শক্ত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হয়, তাহলে শেখ হাসিনাকে বিদায় করে দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, এই নির্বাচন ভাগাভাগির নির্বাচন। কারণ এই ডামি নির্বাচনে কারা এমপি হবে, তা ঠিক করা হয়ে গেছে। তাই এই নির্বাচনে জনগণ ভোট কেন্দ্রে যাবে না। এখনো নির্বাচন বাতিল করার সুযোগ আছে। অবিলম্বে নির্বাচন বাতিল করে পদত্যাগ করুন। অন্যথায় গণআন্দোলনের স্রোতে সরকার ভেসে যাবে।

তিনি বলেন, জাতি হিসেবে আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা একজন অর্থনীতিবিদ নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মান দিতে পারিনি! আমরা বিশ্ব বিবেকের কাছে লজ্জিত।

জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী খান আব্বাস বলেন, এটা নির্বাচন নয়! নির্বাচনের নামে পুতুল খেলা চলছে। আগামী ৭ তারিখ জনগণ এই পুতুল সরকারকে ক্ষমতায় থেকে টেনে নামাতে প্রস্তুত থাকবে। জনগণের পিট দেওয়ালে ঠেকে গেছে। শেখ হাসিনার আর ক্ষমতায় থাকার সুযোগ নাই।

১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, জাতি হিসেবে আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা আমরা এদেশের অবিসংবাদিত নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করতে পারিনি।

গণসংযোগ ও পদযাত্রা শেষে বক্তব্য রাখেন, ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী খান আব্বাস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহ-সভাপতি ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন পারভেজ, ইসলামি ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০২৩
টিএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।