ঢাকা, বুধবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারার দল বিএনপি: শেখ পরশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৪
জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারার দল বিএনপি: শেখ পরশ

ঢাকা: বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাস করে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারার দল বলে মন্তব্য করেছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। আবারো তারা কোন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের পাঁয়তারা করছে কি না, সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) পল্লবীর ইসলামিয়া স্কুল মাঠে আওয়ামী যুবলীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে অসহায় শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ পরশ এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুবলীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক ইসলামইল হোসেন।

শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখলে বোঝা যায়, এদেশে যখনই আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল তখনই দেশের উন্নয়ন হয়েছে সবচেয়ে বেশি। সাধারণ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেছে। প্রধামন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনের আগে দলীয় ইশতেহার ঘোষণা করেছিলেন। তার মধ্যে সবচেয়ে প্রথমে ছিল, দ্রব্যমূল্য সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা। সেই ধরাবাহিকতায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনার ব্যাপারে তিনি গত পরশু সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব দিয়েছেন, তাদের তাগাদা দিচ্ছেন এবং তাদের কাজের তদারকি করছেন। অচিরেই আমরা এই সংকট সমাধান করব।

তিনি বলেন, আপনাদের নিশ্চয় মনে আছে বিএনপির সময় কী দুরাবস্থা ছিল আমাদের সামগ্রিক জীবনে। মানুষের ভাত এবং কাপড়ের সমস্যাতেই সাধারণ মানুষ জর্জরিত থাকত। গ্যাস, বিদ্যুৎ এবং সারের জন্য মানুষের ওপর গুলি চালানো হয়েছিল বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে। মানুষের জীবনে কোনো নিরাপত্তা ছিল না, ছিল না মানুষের অধিকার। গরিব-দুঃখী মানুষ নিয়ে তাদের কোনদিনই কোনো মাথাব্যথা ছিল না। অগ্নিসন্ত্রাস করে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারার দল বিএনপি। তারেক এবং খালেদা জিয়ার নির্দেশেই যে অগ্নিসন্ত্রাস চালানো হয়, তা বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের মাধ্যমে এবং তাদের ধৃত নেতাকর্মীদের স্বীকারোক্তি থেকে প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। আবারো তারা কোনো সন্ত্রাসী কার্যকলাপের পাঁয়তারা করছে কি না, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।  

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য তাজউদ্দিন আহমেদ, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক জহুরুল ইসলা মিল্টন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক শামছুল আলম অনিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ, উপ-দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২৪
এসকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।