ঢাকা: ষড়যন্ত্রমূলকভাবে জাতীয় পার্টি ও চেয়ারম্যানকে নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে দলটি।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী কর্তৃক পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, বেশ কিছু গণমাধ্যমের প্রতিবেদন ও টকশোতে বলা হচ্ছে, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পর বিরোধীদলীয় নেতা জি এম কাদের পার্টির কোনো সমাবেশ ও সম্মেলনে যোগ দেননি। আসলে হীন স্বার্থে উদ্দেশ্যমূলকভাবেই মিথ্যে প্রচারণা চালাচ্ছে একটি মহল।
২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর একটি সফল কাউন্সিলে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন জি এম কাদের। ওই বছরের ৫ মে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জীবদ্দশায় জি এম কাদেরকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৪ জুলাই এরশাদের মৃত্যুর পর থেকে জাতীয় পার্টিকে সংগঠিত ও একটি জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠানের জন্য কাজ করেন তিনি।
২০২০ ও ২১ সালে মহামারি করোনার কারণে যখন স্বাভাবিক জীবন অনিশ্চিত ছিল, তখনও জনবন্ধু জি এম কাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম চালিয়েছেন। রান্না করা খাবার বিতরণ করেছেন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায়। এ সময় দুবার করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। করোনাকালেও তার কর্মকাণ্ড থেমে থাকেনি।
করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই তিনি সংগঠনকে আরও গতিশীল করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সফর করেন। সম্মেলন ও সমাবেশ করেছেন রংপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, পটুয়াখালী, টাঙ্গাইল, জামালপুর, শেরপুর, কক্সবাজার, খুলনা ও ঢাকা জেলায়।
এ ছাড়া রাজধানীতে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীসহ বিভিন্ন ইস্যুতে জাতীয় পার্টি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। দ্বাদশ নির্বাচনকালীন রংপুর অঞ্চলের বেশ কয়েকটি আসনে নিজ দলের প্রার্থীদের পক্ষে পথসভায় লাঙ্গলের পক্ষে ভোট চেয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। গেল বছরগুলোতে চাল, ডালসহ নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ও কাকরাইলস্থ জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কার্যালয় চত্বরে একাধিক সমাবেশ করেছে জাতীয় পার্টি।
আমরা মনে করছি, ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই জাতীয় পার্টি ও চেয়ারম্যানকে নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা চলছে। এমন বাস্তবতায় সবাইকে সচেতন থাকতে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২৪
এসএমএকে/আরবি