লক্ষ্মীপুর: চন্দ্রগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতা এম সজিব হত্যা মামলায় লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু, সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম তাজু ভুঁইয়া ও চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহজাহান সাজুকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক আজিজের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাদের দল থেকে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
কাজী বাবলু ওই হত্যা মামলার প্রধান আসামি, তাজু ভুঁইয়া দ্বিতীয় আসামি এবং সাজু ৮ নম্বর আসামি। ঘটনার পর তাজু গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন, পলাতক রয়েছে বাবলু ও সাজু।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সংগঠনের শৃঙ্খলা ও গঠনতন্ত্র পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগ থাকায় অভিযুক্ত কাজী বাবলু, তাজু ভুঁইয়া ও সাজুকে দল থেকে বহিষ্কার করা হল। একইসঙ্গে চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি বিলুপ্ত করা হলো।
কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রফমান বাবুর নির্দেশনায় অভিযুক্তদের বহিষ্কার ও কমিটি বিলুপ্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২০২৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ১৭ সদস্য বিশিষ্ট চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রস্তুতি কমিটির অনুমোদন জেলা কমিটি।
প্রসঙ্গত, ১২ এপ্রিল রাতে চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন পাঁচপাড়া গ্রামের যৈদের পুকুরপাড় এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মী সজীব, সাইফুল পাটোয়ারী, মো. রাফি ও সাইফুল ইসলাম জয়ের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় অভিযুক্তরা। একপর্যায়ে সজীবকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এসময় তাকে বাঁচাতে গেলে অন্যদের ওপরও গুলি চালানোর অভিযোগ রয়েছে। পরে সোমবার রাতে সজিবের মা বুলি বেগম বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কাজী বাবলুসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছে। এতে ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। ১৬ এপ্রিল রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় এম সজিব। এ মামলায় বিভিন্ন সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা তাজু ভূঁইয়াসহ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০২৪
এসএম