ঢাকা: ২৭ জুনের হরতালকে কেন্দ্র করে আটক বিএনপির সব নেতাকর্মীকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। একই সঙ্গে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করা মামলায় আটক তিন শীর্ষ নেতাসহ জামায়াতের সব নেতাকর্মীর মুক্তিও দাবি করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও সামাজিক অবনতিশীল পরিস্থিতিতে সচেতন দেশপ্রেমিক নাগরিকের মতো আমিও উদ্বিগ্ন। কেননা আওয়ামী লীগ কখনোই গণতান্ত্রিক রীতিনীতির প্রতি অনুগত থাকেনি। তারা সবসময়ই বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে। অনেকের জীবন কেড়ে নিয়েছে। রাজপথে মানুষ হত্যা করেছে লগি-বৈঠার তাণ্ডবে। ’
খালেদা বলেন,‘তারা (আওয়ামী লীগ) যতোবারই ক্ষমতায় এসেছে, ততবারই গণতন্ত্র হত্যা করেছে। সংবিধান ও সাংবিধানিক আইন কেড়ে নিয়ে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করেছে। ভিন্নমতের রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম চালিয়েছে। হিংস্রতা ও শঠতা তাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। তারা পরিবর্তন ও দিন বদলের কথা বলে ক্ষমতায় এসে দেশপ্রেমিক জনতার জীবন বিপন্ন করে তুলেছে। ’
আ.লীগ ২৭ জুনের হরতালে বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের ওপরে হামলা চালিয়েছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বিএনপি প্রধান আরো বলেন, তারা বিভিন্ন জায়গায় হামলা, লুটপাট ও পুলিশ দিয়ে নির্যাতন চালিয়েছে। তারা মিথ্যা মামলা দিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে হরতাল বানচালের চেষ্টা করেছে।
পুলিশের হাতে বিএনপি ও জামায়াতের আটক সব নেতাকর্মীর অবিলম্বে মুক্তি দাবি করে খালেদা জিয়া। বলেন, মিথ্যা মামলায় রাজনৈতিক নেতাদের রিমান্ডে নেওয়ার ঘটনা চরম স্বৈরাচারী ও রাজনৈতিক নির্যাতনের জঘন্য নজির। তিনি মিথ্যা অজুহাতে আটক মির্জা আব্বাস, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, শমসের মুবিন চৌধুরী প্রমুখের মুক্তি দাবি করেন।
খালেদা বলেন, ‘হাস্যকর মামলায় জামায়াতের আমীর মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও নায়েবে আমীর দেলওয়ার হোসাইন সাঈদীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মুক্তি দিন। ’ বিবৃতিতে দেশ বাঁচাতে জনতাকে ‘ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার’ আহবান জানান খালেদা জিয়া।
বাংলাদেশ সময় ২১৫০ ঘণ্টা, ১ জুলাই ২০১০ঘ.