ঢাকা, শনিবার, ২০ পৌষ ১৪৩১, ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

ড. ইউনূস ক্রিকেট প্লেয়ার কিন্তু ফুটবল খেলতে নেমেছেন: মান্না

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০২৫
ড. ইউনূস ক্রিকেট প্লেয়ার কিন্তু ফুটবল খেলতে নেমেছেন: মান্না ছবি: ডি এইচ বাদল

ঢাকা: ড. মুহাম্মদ ইউনূস ক্রিকেট প্লেয়ার কিন্তু ফুটবল খেলতে নেমেছেন বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।  

বুধবার (১ জানুয়ারি) রাজধানীর বসুন্ধরা সিটিতে দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন আয়োজিত ‘নতুন বছরের প্রত্যাশা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, গণ আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে নতুন বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে। নতুন মানে যেটা পুরোনো নয়। পুরোনো যা ছিল, একেবারে পচা, জীর্ণ, লুটেরা এগুলোর সংশোধন এবং নতুন একটা দেশ। সমস্ত দোষ ত্রুটি অভিযোগ কলঙ্ক বর্জন করে নতুন একটা গৌরবের জায়গা। আমাদের রাস্তায় বেরোলে দুর্ঘটনা, মেয়েরা রাত ১০টার পরে বের হলে কেউ ধরে নিয়ে যায় কিনা তাও ঠিক নেই। ভিক্ষুক সারাদিন ভিক্ষা করছে কারণ তার খাবারের জোগান নেই। এখন পর্যন্ত দেশটা ওই জায়গাতেই আছে। এ দেশটা পুরো বদলাতে হবে।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, বর্তমান সরকার আমাদেরই সরকার। আমরা বানিয়েছি এরকম না কিন্তু। এ সরকার ছাত্ররা বানাতে পারে। কারণ স্যারতো (ড. ইউনূস) বলেছেন, ওরা আমাদের নিয়োগকর্তা। রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়োগ দিয়েছে কি না তাও জানি না। ড. ইউনুস অনেক বড় রকমের মানুষ। কিন্তু এখন অনেক বড় একজন ক্রিকেটারকে ফুটবল খেলতে দিলেতো হবে না। আমার কাছে এরকম মনে হচ্ছে যে উনি, ক্রিকেট প্লেয়ার ফুটবল খেলতে নেমেছেন। অনেকগুলো কাজই ঠিকমতো করতে পারছেন না।

তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি, সংস্কারের যেহেতু শুরু নেই এবং শেষ নেই। তাই এ সময়ের মধ্যে আপনি কতটুকু সংস্কার চান, সেটা স্পষ্ট করতে হবে। একটা আলোচনার মধ্যে ফিক্সড করতে হবে এতটুকু সংস্কার আমরা চাই। তারপর বলবেন এ সংস্কার করতে এতদিন লাগবে। পুলিশের মতো একটা বাহিনীকে সোজা বানানো সোজা কথা নাকি। পুলিশ একদম মাগুর মাছের চেয়েও পিচ্ছিল, ওদের আপনি ছাই দিয়েও ধরতে পারবেন না। এখন পর্যন্ত আমি বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ শুনছি, পুলিশ কি কি করছে। বুরোক্রেসির মধ্যেও এমন টুপটাপ কিছু কিছু শুনি। এগুলো সবগুলোকে একদম ভদ্রলোক ভালো মানুষ বানিয়ে দিতে পারবেন, তা নয়। কিন্তু একটা ইফেক্টিভ যেন হতে পারে, ভোটের মধ্যে যেন দুই নাম্বারি না হয়, মানুষের অধিকার হরণ না করে, ভালো মতো একটা নির্বাচন যেন করা যায়। নির্বাচন যত দেরি হবে সরকার ততই সমালোচনার মধ্যে পড়বে।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমার প্রত্যাশা, ভবিষ্যৎ বিষয়ে। এটা একটা ট্রানজেকশন টাইম। আমি চাই কোনো রকম ভালো একটা নির্বাচন হলে হয়। পরবর্তীতে যারা ক্ষমতায় আসবে, তারা ধারাবাহিকভাবে চলবে। তারা যেন আমাদের প্রত্যাশার জবাব দিতে পারেন, আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারেন। বিরাট প্রশ্ন আছে, পরবর্তীতে যারা ক্ষমতায় আসবে তারা কি এ সংস্কারগুলো করবে। নাকি এখন কথা দিয়েছে পরে রাখবে না।

বাংলাদেশ প্রতিদিনের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আবু তাহেরের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এবং এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আব্দুল আউয়াল মিন্টু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ, সাবেক সচিব আবু আলম শহিদ খান, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার‌, কালের কণ্ঠের সম্পাদক এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ, বাংলানিউজের সম্পাদক লুৎফর রহমান হিমেল, জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আলি আহসান জুনায়েদ এবং বিকেএমই সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০২৫
আরকেআর/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।