জয়পুরহাট: দুই মাস ২৩ দিন পর আবার জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জয়পুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাককে (৪৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় রোববার (২৪ মার্চ) রাতে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালের মূল গেট থেকে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও সদর থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
মোস্তাক জয়পুরহাট শহরের আরাফাত নগর মহ্লার ঠিকাদার আব্দুল হাফিজের ছেলে।
সংশ্লিষ্ট মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৪ আগস্ট আওয়ামী সরকার পতনের এক দফা দাবিতে শান্তিপূর্ণ মিছিল করছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা। মিছিলটি জয়পুরহাট কেন্দ্রীয় মসজিদ চত্বরে পৌঁছালে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ককটেল, হাতবোমা নিক্ষেপ করে মিছিলের দিকে এগিয়ে আসতে থাকেন। এসময় সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাসানুজজ্জামান মিঠু ও আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তফার হুকুমে দেশীয় ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে মিছিলে হামলা চালানো হয়। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতা এ এইচ এম কাউসারুজ্জামান সাগর ও এনামুল হকসহ অন্যরা পুলিশের কাছ থেকে বন্দুক কেড়ে নিয়ে হত্যাযজ্ঞের উদ্দেশ্যে মিছিলের ওপর গুলি ছুড়তে থাকেন। এতে শিক্ষার্থী শাফি সরকারসহ অনেকে গুলিবিদ্ধ হন। এসময় তিনি চোখের ওপরে গুলিবিদ্ধ হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এ অবস্থায় ছাত্র-জনতা তাকে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে জয়পুরহাট থানায় মামলা করেন তিনি। পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে জয়পুরহাট পৌরসভার মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাকের সম্পৃক্ততা পেয়ে তাকে রোববার রাতে গ্রেপ্তার করে।
মামলার বাদী শাফি সরকার ২০২৫ সালে জয়পুরহাট শহীদ জিয়া কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী। তিনি সদর উপজেলার দোগাছী ইউনিয়নের পাথুরিয়া গ্রামের নাছির সরকারের ছেলে।
এর আগে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বরে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করে মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাককে জয়পুরহাট জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। রোববার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্যাম সুন্দর রায় তাকে জামিন দেন। এরপর রোববার আবার তিনি গ্রেপ্তার হলেন।
জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আলম সিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০২ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৫
এসআই