ঢাকা, বুধবার, ১১ চৈত্র ১৪৩১, ২৬ মার্চ ২০২৫, ২৫ রমজান ১৪৪৬

রাজনীতি

সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু কুতুবের আবির্ভাব হয়েছে: মির্জা ফখরুল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২৫
সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু কুতুবের আবির্ভাব হয়েছে: মির্জা ফখরুল মির্জা ফখরুল ইসলামগীর। ফাইল ছবি

ঢাকা: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু কুতুবের আবির্ভাব হয়েছে। তারা যে বাংলাদেশকে কোথায় নিতে চায়, আমাদের জানা নেই।

 

তিনি বলেন, দেশের সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার চেষ্টা চলছে। যেটা আমরা মেনে নেব না। কারণ সেনাবাহিনী দুঃসময়ে আমাদের পাশে দাঁড়ায়।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

৭২ থেকে ৭৫ সাল পর্যন্ত বাকশালের ঘটনা তুলে ধরে সভাপতির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের বারবার বলতে হবে, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করত না। তারা বারবার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। তাদের আর গণতন্ত্রের সুবিধা দেওয়ার কথা চিন্তা করতে পারি না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ২৫ মার্চের এই কালো দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এই দেশের মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। হত্যা করেছিল লাখো নিরীহ মানুষকে। কিন্তু পাকিস্তান এখনো ক্ষমা চায়নি। এ কথা বলছি এ কারণে, একটি গোষ্ঠী এই বিষয়ে আমলে নিচ্ছে না।

‘তারা বলেছ, ৭১ কোনো ঘটনা নয়, বরং তারা পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সহায়তা করেছিল। তাদের নাম বলতে চাই না। এখন তারা আবার গলা ফুলিয়ে কথা বলার চেষ্টা করছে। ইতিহাস তো ইতিহাসই। এটা যেন আমরা ভুলে না যাই। ’

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেছে। এটাই তাদের চরিত্র। তারা দেখে, জনগণ যখন ক্ষেপে উঠে, তখন ওরা এভাবে কর্মীদের অরক্ষিত রেখে পালিয়ে যায়। এবার তাই করেছে, জনতার ক্ষোভে ভারতে পালিয়ে গেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের মহিয়সী নারী বেগম খালেদা প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়ে নয় মাস জেলে ছিলেন।

তিনি বলেন, সংস্কার প্রথম শুরু হয়েছিল জিয়াউর রহমানের হাত দিয়ে, পরে করেছেন বেগম খালেদা জিয়া। দেশের মৌলিক সংস্কার কিন্তু বিএনপির হাত দিয়েই। এখন ৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের প্রস্তাব দিয়েছে তো বিএনপি।

তিনি আরও বলেন, ২০১৬ সালে বেগম খালেদা জিয়া ভিশন-২০৩০ দিয়েছিলেন। সংস্কার কোনো নতুন বিষয় নয়। অথচ অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারের পাহাড় এনেছে। আমরা সংস্কারের প্রস্তাবনায় মতামত দিয়েছি, পক্ষে-বিপক্ষে। আমরা বলেছি, নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি খারাপ কাজ করে এমন কথা যেন, না শুনতে হয়। এতে সম্ভাবনা নষ্ট হয়ে যাবে। আগামীর বাংলাদেশ আপনাদের ওপর নির্ভরশীল। ওরা গাড়ি বহর নিয়ে যা করুক, সমস্যা নেই। আমরা জানি ওরা কী করতে পারবে। আগামীতে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবে ইনশাআল্লাহ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, জনগণের আকাঙ্ক্ষিত ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টির পাঁয়তারা করা হচ্ছে। দেশ নির্বাচনমুখী হলে যত ষড়যন্ত্র আসুক না কেন, জনগণ তা মোকাবেলা করবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করা হীন চেষ্টা করা হচ্ছে। বিএনপি যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে, বিএনপিকে আটকে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিরাজনীতিকরণের চেষ্টা চলছে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে।  

আলোচনা সভায় বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২৫
টিএ/আরএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।