ঢাকা: নারী বিষয়ক কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে বক্তব্যে ‘অনিচ্ছাকৃত শব্দচয়নের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ’ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১ মে) দলটির ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে তার এই দুঃখ প্রকাশের কথা জানানো হয়।
জামায়াতের আমির বলেন, ‘নারী বিষয়ক কমিশনের শরীয়তবিরোধী ও অগ্রহণযোগ্য রিপোর্টের ওপর আমি গতকাল একটি দীর্ঘ বক্তব্য প্রদান করি। বক্তব্যের এক পর্যায়ে একটি শব্দের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে অসাবধানতাবশত ভুল শব্দচয়ন হয়েছে, যা একান্তই অনিচ্ছাকৃত। ’
ব্যক্তব্যের ব্যাখ্যায় জামায়াত আমির বলেন, ‘রেইপ’ হচ্ছে বিবাহবহির্ভূত এক ধরনের জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক, যা সাধারণত বৈবাহিক সম্পর্কের বাইরে ঘটে, যেখানে অপরাধী ব্যক্তিটি অসৎ ও দোষী, কিন্তু ভিকটিম সম্পূর্ণ নিরপরাধ। আমি এটাও মনে করি যে, বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে ‘রেইপ’র মতো জঘন্য শব্দকে প্রবেশ করানো পবিত্র এই সম্পর্কের জন্য অবমাননাকর এবং দীর্ঘ মেয়াদে দাম্পত্য সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর। স্বামী-স্ত্রীর ঘনিষ্ঠতার ক্ষেত্রে কারও দ্বারা সীমালঙ্ঘন বা জুলুম সংঘটিত হলে তা স্বাভাবিক বিচারের আওতায় অবশ্যই আনতে হবে। কিন্তু বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যকার কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়কে রেইপ বা ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের সঙ্গে তুলনা করা অবাঞ্ছনীয় এবং দীর্ঘ মেয়াদে সমস্যাজনক।
‘অনিচ্ছাকৃত শব্দচয়নের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ’ করে ডা.শফিকুর রহমান বলেন, ইসলামের দৃষ্টিতে নারীর মর্যাদা, নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায় এবং জামায়াতে ইসলামীর অবস্থান সর্বদা সেই মূলনীতির ওপরই প্রতিষ্ঠিত।
ইএস/এইচএ/