ঢাকা, সোমবার, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০২ জুন ২০২৫, ০৫ জিলহজ ১৪৪৬

রাজনীতি

বরিশালে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩:৪৫, মে ৩১, ২০২৫
বরিশালে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর

বরিশাল নগরীতে জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে। শনিবার (৩১ মে) রাতের অন্ধকারে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি বরিশাল মহানগরের আহ্বায়ক মহসিন উল ইসলাম হাবুল।

তিনি জানান, লাঠিসোঁটা হাতে কিছু লোক এসে হঠাৎ করে কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়।

এর আগে শনিবার বিকেলে বরিশালে জাতীয় পার্টির একটি বিক্ষোভ মিছিলে হামলা হয়। জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে জানানো হয়, রংপুরের হামলার প্রতিবাদে তারা বরিশালে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মিছিল বের করে। ফকিরবাড়ি থেকে সদর রোডের দিকে যাওয়া মিছিলের ওপর সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এতে বরিশাল মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম হাবুল, জেলা সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট এম এ জলিল, যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম গফুর, আক্তার রহসান সফরু এবং তরুণ পার্টির আহ্বায়ক জুম্মান হায়দার আহত হন। তাদের মধ্যে জুম্মান হায়দারকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শনিবার রাত আটটার দিকে গণ অধিকার পরিষদের কিছু নেতাকর্মীরা নগরের সদর রোড অশ্বিনী কুমার হলের সামনে থেকে মিছিল বের করে। মিছিলে তারা জাতীয় পার্টিকে ‘ফ্যাসিস্টের দোসর’ আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে স্লোগান দিতে থাকে। মিছিলটি কাকলীর মোড় হয়ে ফকিরবাড়ি রোডের মুখে আসে। একপর্যায়ে তারা ফকিরবাড়ি রোডের সিহাব ভিলার দ্বিতীয় তলায় জাতীয় পার্টির অফিসে ভাঙচুর চালায়। কার্যালয়ের চেয়ার, টেবিল, আলমারি তছনছ করে ব্যানার ও সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলে চলে যায় তারা।

গণ অধিকার পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম সাগর অভিযোগ করে বলেন, বিকেলে জাতীয় পার্টির মিছিল থেকে গণ অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের নিয়ে কটূক্তি করা হয় ও সরকারের সমালোচনা করে স্লোগান দেয়া হয়। তখন গণ অধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে সরকারবিরোধী স্লোগান না দেওয়ার অনুরোধ জানানো হলে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় গণ অধিকার পরিষদের অন্তত ১৫ জন আহত হন, যাদের মধ্যে সাতজনের অবস্থা গুরুতর।

আহতদের মধ্যে আছেন বরিশাল মহানগর গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল হোসেন তালুকদার, জেলা সভাপতি শামীম রেজা, সাধারণ সম্পাদক এইচ এম হাসান, মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহাগ ফরাজি, কেন্দ্রীয় যুব অধিকার পরিষদের মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক মিরাজ হোসাইন।

ঘটনার পর গণ অধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ২০০-২৫০ জনের বিরুদ্ধে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এমএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।