ঢাকা: জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার বলেছেন, মৌলিক সংস্কার না হলে যে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রত্যাশা আমরা করছি, তা বাস্তবায়ন হবে না।
শনিবার (৩১ মে) সন্ধ্যায় গুলশানের সেলিব্রেটি কনভেনশন হলে জাতীয় নাগরিক পার্টির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন আলোচকচিত্রী শহিদুল আলম, এনসিপির মুখ্য সমম্বয়কারী নাসীরউদ্দীন পাটোয়ারী, অর্থনীতিবিদ জিয়া হাসান, জবানের সম্পাদক রেজাউল করিম রনি, কবি রেজাউল করিম মনু প্রমুখ।
সরোয়ার তুষার বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে বলা হচ্ছে, আমরা নির্বাচনের বিরোধিতা করছি। কিন্তু আমরা বলতে চাচ্ছি, যদি বাংলাদেশে একটি অর্থবহ নির্বাচন করতে চান, তাহলে মৌলিক সংস্কার করতে হবে। বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশনের মতো অন্যান্য যেসব প্রতিষ্ঠান আছে, সেগুলোকে সংস্কার করতে হবে। এগুলো সংস্কার না করলে আমরা যে মৌলিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের কথা বলি, তা আসবে না।
তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে তারা যেই সংবিধান করেছে, তা একটি দলের সংবিধান। এখানকার চারটি মূলনীতি তাদের দলের মূলনীতি। তখন থেকে বাংলাদেশ সমাজের বিভাজন তৈরি করেছে আওয়ামী লীগ। ফলে আমরা একটি আওয়ামী লীগের নিয়মের মধ্যেই রাজনীতি করছি। এই সংবিধান রেখে বাংলাদেশে রাজনীতি করা যাবে না। অভ্যুত্থানের পর আমরা পুরনো সাংবিধানিক কাঠামোতে ফেরত যেতে পারি না। এটা সবার আগে বোঝা উচিত ছিল বিএনপির। কিন্তু বিএনপির এখন সংবিধানকে টিকিয়ে রাখতে চাচ্ছে।
নাগরিক পার্টির মুখ্য সমম্বয়কারী নাসীরউদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, আমরা কোনো ব্যক্তির পরিবর্তন চাইনি। এক ব্যাক্তি যাবেন এবং ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থায় আবার বাংলাদেশের মানুষ রক্ত দেবে, তা হতে পারে না। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা কয়েকটি স্থানে সক্রিয়। প্রথমত, বাংলাদেশের সংবিধান একটি ফ্যাসিবাদী সংবিধান। আমরা এটিকে পাল্টাতে না পারলে ফ্যাসিবাদকে হঠাতে পারব না। সংবিধানকে নতুন করে বানানোর দায়িত্ব আপনাদের কাঁধে। সংবিধান পাল্টাতে পারলে আমরা একটি নতুন সেটেলমেন্টে যাব।
তিনি বলেন, ১৯৯০ সালে বাংলাদেশে একটি গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, সেখানে রাজনৈতিক দলগুলো নেতৃত্ব দিয়েছে। তবে ২০২৪ সালে সাধারণ মানুষ অভূতপূর্বভাবে রাস্তায় নেমে এসেছে। সামনেও আপনাদের হাত ধরে বাংলাদেশের পরিবর্তন হবে। একই ব্যক্তি রাজনৈতিক দলের প্রধান, সংসদের প্রধান, একই ব্যক্তি বিচারপতি ও রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেয়। তখন মানুষ এক ব্যক্তি বা পরিবারে সিজদা দিতে বাধ্য হয়।
এফএইচ/এমজে