ঢাকা: জনগণের ওপর জুলুম-অত্যাচার, গুম, খুন এবং ভোট কারচুপির জন্য আওয়ামী লীগকে অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, যারা এ গণহত্যাকারী এবং গণদুশমনদের আদেশ দিয়েছেন, সেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে দলের বড় নেতা, কর্মী, এবং অতি-উৎসাহী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাইকেই আইনের মুখোমুখি হতে হবে।
বুধবার (১ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘আজহার-শফিক ফাউন্ডেশন’ এর এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, বিএনপি কখনোই কোনো দলকে নিষিদ্ধ করার সরকারি বা আদালতের সিদ্ধান্তে বিশ্বাসী নয়। কে রাজনীতিতে থাকবে আর কে থাকবে না, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার মালিক একমাত্র জনগণ।
তিনি বলেন, তবে, দেশে যারা গুম, এনকাউন্টার, আয়নাঘরের মতো ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতি’ তৈরি করেছে, তাদের বিচার নিশ্চিত করা বিএনপির প্রধান লক্ষ্য।
তিনি আরও বলেন, শুধু একাত্তরের বিষয় নয়, গত ১৫ বছরে যারা ‘দিনের ভোট রাতে চুরি’ করেছে, তাদেরও অনুশোচনা করতে হবে। জনগণের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। ক্ষমা করা বা না করার সিদ্ধান্ত জনগণ নেবে।
আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসতে পারে এমন কোনো আশঙ্কা বিএনপি করে না মন্তব্য করে ডা. জাহিদ বলেন, গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলনকারী রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ এবং তারা ভীত বা সন্ত্রস্ত নয়।
শেখ হাসিনাকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, যদি উনি সত্যিকার অর্থে রাজনীতিবিদ হতেন, তবে মাঠেই রাজনীতি মোকাবিলা করতেন, ৫ আগস্ট উনি পালাতেন না। তার পালানো নিজের প্রতি করা অন্যায়ের কারণে মনের দুর্বলতা প্রকাশ করেছে।
ইএসএস/আরআইএস