ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় আধিপত্য বিস্তার ও কুলখানির দাওয়াত খাওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আব্দুল কুদ্দুস (৫৫) নামে এক কর্মী নিহত হয়েছেন।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে শুরু হয়ে প্রায় ৩ ঘণ্টাব্যাপী উপজেলার নিত্যনন্দপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ গোপালপুর গ্রামে দফায় দফায় এ সংঘর্ষ চলে।
আহতদের মধ্যে আরিফুল ইসলাম ও রুস্তম আলীকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং জামাল হোসেন, নজরুল ইসলাম, কামাল হোসেন, আব্দুল হক ও নজরুল ইসলামকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছগির মিয়া বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দক্ষিণ গোপালপুর গ্রামের মৃত কিয়ামুদ্দীন মোল্লার কুলখানি ছিল রোববার। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মফিজুল ইসলামের সমর্থকরা ওই বাড়িতে রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলেন।
এ সময় আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী অপর আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক গ্রুপের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ওই বাড়িতে আকস্মিক হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে ও মফিজ গ্রুপের লোকজনকে কুপিয়ে জখম করে।
পরে মফিজ গ্রুপের লোকজন জোটবদ্ধ হয়ে ফারুক গ্রুপের লোকজনকে ধাওয়া করে এবং সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় আব্দুল কুদ্দুস নামে মফিজ গ্রুপের এক কর্মীতে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষ। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
মফিজ গ্রুপের সমর্থক আব্দুল কুদ্দুস নিহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে সংঘর্ষ আরো ব্যাপক আকার ধারণ করে এবং পরস্পরের বাড়িঘরে হামলা করে ভাঙচুর ও লুটপাট শুরু করে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলেও তারা সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। শেষ পর্যন্ত দুপুর ২টার দিকে ঝিনাইদহ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শৈলকুপা থানার ওসি ছগির মিয়া বাংলানিউজকে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত। এ ব্যাপারে এখনো কোনো মামলা হয়নি।
এদিকে, বিকেল সোয়া ৩টায় মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৪/আপডেড: ১২৪৭ ঘণ্টা/আপডেটেড: ১৫৫৭ ঘণ্টা