ঢাকা: যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে আদালতে নেওয়া হয়েছে।
রোববার বিকেল তিনটায় অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী মাসুদ সেখের আদালতে তাকে হাজির করা হয়।
এদিকে, চকবাজার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ ইলিয়াছ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের ১০ দিন (মামলা নং-১৬) রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে।
রিমান্ড আবেদনে তিনি বলেন, ২৪ ডিসেম্বর বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার আদালতে হাজিরা দেওয়ার সময় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ফজলে রাব্বী হলের কাছে জড়ো হন এবং বিভিন্ন ধরনের উস্কানিমূলক বক্তব্য দেন। এক পর্যায়ে তারা পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে আদালতে প্রবেশের চেষ্টা করেন।
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা হত্যার উদ্দেশ্যে দুই পুলিশ সদস্যের মাথায় আঘাত করলে তারা গুরুতর আহত হন।
পুলিশ এ সময় তাদের ছত্রভঙ্গ করার উদ্দেশ্যে শটগানের গুলি ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এতে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে বিভিন্ন এলাকায় গাড়ি ভাঙচুর করেন।
এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে লালমাটিয়ার বাসা থেকে মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশসহ মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। এ সময় তাকে মোহাম্মদপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
পরে মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কমল সাহা জানান, নাশকতার আশঙ্কায় যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
অপরদিকে, আলালের ছোট ছেলে আরাফাত আবদুল্লা বাংলানিউজকে বলেন, রাত সাড়ে ১১টার দিকে হঠাৎ করে পোশাকধারী ও গোয়েন্দা পুলিশ বাসায় আসে। ঘরের দরজা খুলে দিলে তারা ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর ঘর তল্লাশি করে বাবাকে নিয়ে যায়।
আপনারা কেন তাকে (আলাল) নিয়ে যাচ্ছেন পরিবারের সদস্যদের এমন প্রশ্নের উত্তরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জানান, ওপরের নির্দেশ আছে।
ছেলে আরাফাত আবদুল্লা আরো বলেন, এ সময় বাড়ির নিচে পুলিশের ৪/৫টি গাড়ি দেখতে পাই।
আলালের বিরুদ্ধে যতগুলো মামলা ছিল সবগুলোতে তিনি জামিনে আছেন বলেও উল্লেখ করেন তার ছেলে আবদুল্লা।
সোমবারের হরতালকে কেন্দ্র করে আলালকে আটক করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন যুবদলের নির্বাহী কমিটির সদস্য গিয়াসউদ্দিন মামুন।
** যুবদল সভাপতি আলাল আটক
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৪