ঢাকা: বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয় ঘেরাওয়ের হুমকি দিয়েছেন শ্রমিক-কর্মচারী,পেশাজীবী ও মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক ও নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান।
শুক্রবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে এক মহাসমাবেশে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, যে আগুনে আপনি (খালেদা জিয়া) মানুষকে পোড়াচ্ছেন সে আগুনেই আপনাকে পুড়তে হবে। আমাদের শ্রমিকরা এমনভাবে আপনার বাড়ি ঘেরাও করবে, দলের নেতা-কর্মীদের পাঠানো খাবার আপনার বাড়িতে যাবে না।
‘আপনার বাড়ির বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে’- বলেন তিনি।
শাজাহান খান বলেন, লাখো মানুষের রক্তের বিনিময়ে এই দেশ স্বাধীন করেছি, স্বাধীনতা রক্ষাও আমরাই করবো।
চারদিনের কর্মসূচি
হরতাল অবরোধের নামে শ্রমিক-কর্মচারী হত্যা ও যানবাহনে আগুন দেওয়ার প্রতিবাদে মহাসমাবেশে চারদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে দেশবাসীর কাছে ১২ দফা আহ্বান তুলে ধরা হয়।
কর্মসূচির মধ্যে ৩১ জানুয়ারি প্রেসক্লাবের সামনে প্রতীকী বিক্ষোভ সমাবেশ, ৩ ফেব্রুয়ারি দেশের সব জেলা শহরে শ্রমিক-কর্মচারীসহ বিভিন্ন পেশার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ, ৫ ফেব্রুয়ারি বেলা পৌনে একটা থেকে একটা পর্যন্ত সব অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাবে।
একই সময়ে সব ধরনের গাড়ি, লঞ্চ-স্টিমার ও যানবাহনে টানা ১৫ মিনিট হর্ণ বাজিয়ে প্রতিবাদ জানাবে শ্রমিকরা। দোকানিরাও দোকানের সামনে পাঁচ মিনিট দাঁড়িয়ে বাঁশি বাজিয়ে প্রতিবাদ করবেন।
এছাড়া কৃষকরা নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে ১৫ মিনিট দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানাবেন।
৭ ফেব্রুয়ারি সকালে ঢাকায় শ্রমিক-কর্মচারী-পেশাজীবী-মুক্তিযোদ্ধাসহ সব শ্রেণি-পেশার নারী, ছাত্র ও যুব সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে জাতীয় কনভেনশন করবে শ্রমিক-কর্মচারী, পেশাজীবী ও মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ।
শাজাহান খান বলেন, ওই কনভেনশনে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হেলাল মোর্শেদ খান, ভাইস চেয়ারম্যান ইসমত কাদির গামা, চলচ্চিত্রকার কাজী হায়াৎ, নারী নেত্রী শিরিন আখতার প্রমুখ।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ ও উপ প্রচার সম্পাদক অসীম কুমার উকিল প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৫