ঢাকা: গভীররাতে যখন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন করা হয়, তখন তিনি জেগেই ছিলেন।
বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের পর চেয়ারপার্সনের কার্যালয় পুরোপুরি অন্ধকারে ঢেকে যায়।
ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) ৩১ জানুয়ারি রাত ২টা ৪২ মিনিটে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
এ সময় খালেদা জিয়া জেগেই ছিলেন বলে কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে। এরপর রাত ৪টার দিকে জেনারেটর চালু করে আংশিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করে কার্যালয় সংশ্লিষ্টরা। তবে এই জেনারেটর দিয়ে একটানা বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব নয়। তাছাড়া জেনারেটর চালু রাখতে প্রয়োজন জ্বালানির। সরকার সেই জ্বালানি আনতে দেবে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে কার্যালয় সংশ্লিষ্টদের।
জেনারেটর চালুর পর খালেদা জিয়া ঘুমাতে গিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে চেয়ারপার্সন কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, এই পরিস্থিতিতে কি ম্যাডামের ঘুম আসে নাকি আসা সম্ভব। ওই কর্মকর্তার দাবি অনুযায়ী সারারাত জেগেই ছিলেন খালেদা জিয়া।
৫ জানুয়ারি সমাবেশের আগের দিন থেকে খালেদা জিয়া এই কার্যালয়ে অবরুদ্ধ ছিলেন। তাবলীগ জামায়াতের দ্বিতীয় দফা জমায়েত শেষে ১৯ জানুয়ারি তার কার্যালয়ের সামনে থেকে সরকার বালুর ট্রাক, পুলিশের ভ্যান ও জলকামান সরিয়ে নেয়।
বর্তমানে এই কার্যালয়ে খালেদা জিয়া ছাড়াও তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী-সন্তান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, শিরিন সুলতানা, চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস, প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল ও কার্যালয় সংশ্লিষ্টরা রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৩ ঘন্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৫
** খালেদার কার্যালয়ের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন
** জেনারেটরে চলছে খালেদার কার্যালয়
** খালেদার কার্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন