ঢাকা: সোমবারের (২ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে হরতাল প্রত্যাহার করা না হলে খালেদা জিয়াকে করুণ পরিণতির জন্য অপেক্ষা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
শনিবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় পুরান ঢাকার ওয়াইজঘাটে বাংলাদেশ লঞ্চঘাট হকার্স কল্যাণ সমিতি আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াতের হত্যা, নাশকতা ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদ এবং বাংলাদেশ লঞ্চঘাট হকার্স কল্যাণ সমিতির সদস্যদের স্থায়ীভাবে পুনর্বাসনের দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
রাজনীতির নামে নৈরাজ্য, সন্ত্রাস কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার কাছে পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকরা এক মাস সময় ভিক্ষা চেয়েছিলো। কিন্তু তিনি সে অনুরোধ না রেখে হরতাল দিয়ে অভিভাবকদের উল্টো ভয় দেখিয়েছেন।
তিনি বলেন, যে কোনো মূল্যে পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। জনগণের শত্রুদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। তাই আগামী ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে খালেদা জিয়া হরতাল প্রত্যাহার না করলে তাকে করুণ পরিণতির জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
ক্ষমতায় যেতে হলে নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতায় যাওয়ার একটা ফর্মুলা আছে, আর সেই ফর্মুলা হলো নির্বাচন।
সংলাপের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, হাতে বোমা নিয়ে আলোচনা হবে না। আলোচনা করতে হলে খালেদা জিয়াকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী ও যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গ ছাড়তে হবে। তারপর এ বিষয়টি নিয়ে একটা ফয়সালা করা যাবে।
খালেদা জিয়া ক্ষমতা ছিনতাই করতে চান অভিযোগ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জনগণ ও শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে খালেদা জিয়া ক্ষমতা ডাকাতি করতে চান, ক্ষমতা ছিনতাই করতে চান। ছিনতাইকারীর কাছে সরকার কোনোভাবেই মাথানত করবে না।
খালদা জিয়াকে ইঙ্গিত করে ইনু বলেন, তিনি এখন যেভাবে অস্থির, বাংলার কোনো নেতা-নেত্রী কখনো এত অস্থির হননি। তার এই অস্থিরতার পিছনে কোনো গোপন রহস্য আছে।
সংগঠনের সভাপতি আব্দুস সালাম খোকনের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, সাধারণ সম্পাদক মাসুম হাওলাদার, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মীর হোসেন আক্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আক্তার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময় : ১৮৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৫