বগুড়া: বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা লাগাতার ৭২ ঘণ্টা হরতালের প্রথম দিন সোমবার (০২ফেব্রুয়ারি) বগুড়ায় ঢিলেঢালা হরতাল পালিত হয়েছে।
হরতালে অল্প কিছু দোকানপাট বন্ধ থাকলেও সকাল থেকেই শহরের ভেতরে ও বাইরে রিকশা, অটোরশাসহ প্রায় সব ধরনের যানবাহন চলাচল করেছে।
যাত্রীবাহী বাস বন্ধ থাকলেও আগের দিনের মতোই ট্রেন চলাচল ছিল স্বাভাবিক। পুলিশি প্রহরায় দুরপাল্লার কিছু পণ্যাবাহী ট্রাক শহরে ঢুকতে দেখা গেছে। আদালতসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বাভাবিক কাজকর্ম হয়েছে।
হরতালের বিপক্ষে সকাল থেকেই আওয়ামী লীগ দলীয় নেতাকর্মীরা শহরের সাতমাথায় অবস্থান নেন। পরে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাগর কুমার রায়ের নেতৃত্বে দুপুর দুইটা পর্যন্ত শক্ত অবস্থান নিয়ে তারা মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচি পালন করে।
দুপুর ১২টায় শহরের সাতমাথা টেম্পলরোডে দলীয় কার্যালের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাগর কুমার রায় বলেন, পরীক্ষার্থী তথা আমাদের সন্তানদের শিক্ষা জীবন অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দিয়ে এসএসসি পরীক্ষা বানচাল করতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া পরিকল্পিতভাবে ৭২ ঘন্টার হরতাল কর্মসূচি দিয়েছেন।
প্রায় মাসব্যাপী ২০ দল ঘোষিত অবরোধ চলছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ অবরোধ উপেক্ষা করে বাস-ট্রাক সবই চালাচ্ছে। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী একটি মহল অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। তাই বিকেববান, দেশপ্রেমিক সকল নাগরিককে বিএনপি-জামায়তের ধ্বংসাত্মক রাজনীতির বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানান তিনি।
জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও বগুড়ার সহকারী পুলিশ সুপার (সদর) গাজিউর রহমান বাংলানিউজকে জানান, সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত জেলার কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়নি।
কর্মসূচিতে যুবলীগ নেতা আলহাজ শেখ, শুভাশীষ পোদ্দার লিটন, আমিনুল ইসলাম ডাবলু, মাইসুল তোফায়েল কোয়েল, মিথুন এমরান মিথুন, নাছিরুজ্জামান টিটো, সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক, উদয় কুমার বর্মন, সাজেদুর রহমান সিজু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৫