কুমিল্লা: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বাসে ছুড়ে মারা পেট্রোল বোমায় অগ্নিদগ্ধ ২০ জনকে ঢাকার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটসহ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও চৌদ্দগ্রামের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।
তবে কারো নাম ও পরিচয় জানা যায়নি।
মঙ্গলবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে তিনটার দিকে উপেজলার মিয়াবাজারের জগমোহনপুর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা আইকন পরিবহনের একটি বাসে (ঢাকা মেট্রো- ব ১৪- ৪০৪৮) পেট্রোল বোমা ছুড়ে মারা হয়।
এতে ঘটনাস্থলেই সাত যাত্রী পুড়ে মারা যান। পুড়ে বিকৃত হয়ে যাওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে নিহতরা পুরুষ নাকি নারী তা শনাক্ত করা যায়নি। ফলে, তাদের নাম ও পরিচয় মঙ্গলবার সকাল আটটা পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়নি।
এদিকে, অগ্নিদগ্ধ ২০ জনকে ঢাকাসহ কুমিল্লা ও চৌদ্দগ্রামের হাসপাতাল ও কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে, দুইজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও ১৫ জনকে চৌদ্দগ্রামের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।
মিয়াবাজার হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট নাজিম উদ্দিন বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, পুড়ে যাওয়া বাসটিকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গত ৫ জানুয়ারি থেকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের চলমান অবরোধ ও হরতাল কর্মসূচিতে সোমবার পর্যন্ত মোট ৪২ জন এবং সোমবার দিনগত রাতে পেট্রোল বোমায় পুড়ে আরো ১০ জন মারা যান। এ নিয়ে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত মোট ৫২ জন মারা গেলেন।
সোমবার দিনগত রাতে ১০ জন নিহতের মধ্যে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সাতজন, বরিশালের গৌরনদীতে লবণবোঝাই ট্রাকে আগুন লেগে এর চালক ও সহকারী পুড়ে মারা যান। তবে পুলিশের দাবি, নাশকতা নয়, রাস্তার পাশের খাদে পড়ে গেলে ট্রাকটিতে আগুন ধরে যায়। এতে তারা পুড়ে মারা যান।
এ ছাড়া সোমবার সন্ধ্যার পর লক্ষ্মীপুরে পিকআপভ্যানে পেট্রোল বোমা ছুড়ে মারা হলে এর চালক কামাল হোসেন (২৮) মারাত্মক দগ্ধ হন। তাকে দ্রুত লক্ষ্মীপুরের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে মঙ্গলবার ভোররাতে তিনি মারা যান।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৫