ঢাকা, রবিবার, ২৮ পৌষ ১৪৩১, ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১১ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

‘তৃতীয় শক্তিই বিকল্প ও প্রথম শক্তিতে পরিণত হবে’

পলিটিক্যাল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৫
‘তৃতীয় শক্তিই বিকল্প ও প্রথম শক্তিতে পরিণত হবে’

ঢাকা: বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গড়বো বাংলাদেশ আহবায়ক ড. শাহেদা বলেছেন, জনগণ যাদের সামনে আনবে, নেতা মানবে তারাই তৃতীয় শক্তি এবং এই তৃতীয় শক্তিই বিকল্প ও প্রথম শক্তিতে পরিণত হবে।

সোমবার বিকেল চারটায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর রুনী মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইনসাফ পার্টির(বিআইপি)আয়োজনে ''পুড়ছে মানুষ জ্বলছে দেশ রাজপথে নামে দেশবাসী'' শীর্ষক আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তেব্যে তিনি একথা বলেন।



আলোচনার শুরুতে সাংবাদিকদের উদ্দেশ তিনি বলেন, এখানে যদি সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী অমুক তমুক ইত্যাদি উপাধিতে ভুষিত লোক উপস্থিত থাকতেন তাহলে চ্যানেল গুলোর হিড়িক পড়ে যেত। কিন্তু আমরা সাধারণ মানুষ নিয়ে আলোচনা করছি বলে তাদের উপস্থিতি এখানে নেই।

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছেন, আন্ডার ম্যাট্রিক খালেদা জিয়া এসএসসি পরিক্ষার্থীদের কষ্ট কি করে বুঝবেন। তিনি কি ভুলে গেছেন তাদের পরীক্ষার ব্যাঘাত ঘটিয়ে তিনি এক কোটি ভোটারের ভোট হারালেন। তিনি কিংবা তার ছেলে কি নির্বাচন করবেন না? যদি নির্বাচন করেন তাহলে ১৫ লাখ শিক্ষার্থীর মা বাবা ভাইবোনসহ মোট এক কোটি ভোটারের ভোট হারাবেন।

তিনি আরো বলেন, হরতাল অবরোধ মানে মানুষ মারার লাইসেন্স নেওয়া। হরতাল অবরোধ দিয়ে খালেদা জিয়া মানুষ মারার লাইসেন্স নিয়েছেন। তারা গণতন্ত্রের নামে মানুষকে পুড়িয়ে মারছেন। আর বলছেন, আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করছি। তারা যা করে সবই নাকি গণতন্ত্র। এটা কিসের গণতন্ত্র?

একজন রিকশাওয়ালাও একজন বুদ্ধিজীবী এমন প্রস্তাব করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের কোন প্রতিষ্ঠান বুদ্ধিজীবী এবং সুশীল সমাজের লোকদের সার্টিফিকেট দেয় তা জানা থাকলে আমি বলতাম কত আউন্স মগজ থাকলে একজন বুদ্ধিজীবী হওয়া যায়? একজন রিকশা চালককে দিয়ে প্রমাণ করাতাম যে তাদের থেকে খেটে খাওয়া এই মানুষগুলোই হলো সুশীল এবং বুদ্ধিজীবী। কারণ তারা তথাকথিত, কামাল, মান্নাদের মত সুযোগের সন্ধানে থাকে না। বুদ্ধিজীবী সুশীলরা কখনোই রাজপথে নামেন না। আমাদের দেশের তথাকথিত বুদ্ধিজীবী, সুশীলরা এখন খালেদার কার্যালয় গিয়ে ইট রেখে আসছে। যদি লাইগা যায় এই ভেবে।
তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত দুই নেত্রীর অবসান না হবে এবং নতুন নেতার নেতৃত্ব আসবে ততক্ষণ এই সংকটের সমাধান হবে না। তিনি বলেন, ৪ বছর আগে দুই নেত্রীকে আমি বলেছিলাম আপনারা সম্মান নিয়ে রাজনীতি থেকে ইস্তফা দেন। এবং পরবর্তী নেতা নির্বাচনের ভার জনগণের উপর ছেড়ে দিন। জনগণ নির্বাচন করুক কে ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু তারা তা না করে জনগণকে পুড়িয়ে মেরে ক্ষমতায় আসা ও যাওয়ার নোংরা রাজনীতি করছে।

তিনি বলেন, দুই নেত্রীর কাছে একটা মুরগীর জীবনের মূল্য আছে। কিন্তু আমাদের জীবনের মূল্য তাদের কাছে নেই। সূতরাং আমরা মরার আগে কিছু করতে চাই। এই জন্য তৃতীয় শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে হবে।

এদিকে মন্ত্রীদের মুখ ‘সেলাই’ করে দেয়ার জন্যও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন গড়ব বাংলাদেশের আহ্বায়ক ড. শাহেদা।

পেট্রোলবোমা হামলায় বিএনপির জনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়েছে মন্তব্য করে তিনি হাসিনাকে বলেন, ‘কোনো উপায়ে যদি পেট্রোলবোমা থেকে দেশকে বাঁচাতে পারেন তাহলে দেশের ১৮ কোটি মানুষ আপনার সঙ্গে থাকবে। ’

বাংলাদেশ ইনসাফ পার্টির চেয়ারম্যান শহিদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন-বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেয়ারম্যান এ আর এম জাফরুল্লাহ, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক মুক্তি আন্দোলনের চেয়ারম্যান আশরাফ আলী হাওলাদার, বাংলাদেশ স্বাধীন পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মো. সম্রাট জুয়েল চিশতী, নতুন ধারা গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান মনির হোসেন কাজী, গণঅধিকার পার্টির সভাপতি হোসেন মোল্লা, রিপালিকান পার্টির চেয়ারম্যান বাজলুর রহমান আমিনী প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশ সময়: ১০২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।